
জাহিদ হোসেন:
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটিবাজারে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তার অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনে স্বাক্ষরের জন্যও গ্রাহকদের ঘুষ দিতে হয়, নইলে ফাইল বাতিল করে দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইলেকট্রিশিয়ানদের ‘দালাল’ আখ্যা দিয়ে কাজ বন্ধ করে নিজে অফিসার পরিচয়ে সংযোগ অনুমোদন করেন এবং পছন্দের লোক দিয়ে কাজ করিয়ে অবৈধ মুনাফা লুটে নেন। সম্প্রতি আটি মডেল টাউনের ১১ তলা ভবনে রাজউকের নিষেধাজ্ঞা ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত নথিতে গত ২৩ জুলাই সরাসরি স্বাক্ষর করেছেন রফিকুল ইসলাম।
তবে এটাই প্রথম নয়। মানিকগঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই কর্মকর্তা বর্তমানে কোটি টাকার মালিক, কিনেছেন জমি ও বাড়ি—যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
গত ২৫ আগস্ট আটিবাজার জোনাল অফিসের ইলেকট্রিশিয়ানরা জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তারা জানান, প্রতিটি ধাপে ঘুষ নেওয়ার কারণে গ্রাহকদের সঙ্গে বিরোধ বাঁধছে এবং অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। অভিযোগ করার পর থেকে ইলেকট্রিশিয়ানরা হুমকিও পাচ্ছেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজিএম রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—“আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।” তবে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।