এই দুর্নীতিবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকে আবেদন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভুয়া কোম্পানীর মাধ্যমে দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতিবাজ সাজ্জাদ খান, জাফর মীর, সৈয়দ হারুন ও এদের সেল্টার দাতা ও সুদখোর আমিরুল ইসলাম পিকু মৃধা চক্রের বিরুদ্ধে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর প্রেরিত ওই অভিযোগে বলা হয়, একটি দুর্নীতিবাজ ও অসৎ, জালিয়াতি চক্রেরা কিছু ভুইফোড় মাল্টি পারপাস কোম্পানী ও সঞ্চয় সমিতির নামে মাধ্যমে একাধিক কোম্পানী করে একেক সময়, একেক নামে, একেক জায়গায় সঞ্চয়/সমিতির অফিস খুলে নিরীহ মানুষদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এবং প্রচুর লাভের লালসা দেখিয়ে বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের কথা বলে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, বর্তমানে এই চক্রটি এখন অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার মালিক সেজেছে। এদের আত্মীয় স্বজন, পরিবার পরিজনদের নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এই চক্রটির সর্বশেষ অফিস এখন ঢাকার মিডর্ফোট হাসপাতাল বাবু বাজার ও সদরঘাট-কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থান নিয়ে অপকর্মগুলো চালিয়ে যাচ্ছে । এদের সকল অবৈধ কার্যক্রম রক্ষা করতে পুলিশের এক এডিশনাল এসপির ভাইকে পার্টনার বানিয়েছে। জনৈক এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম তারা যত্রতত্র ব্যবহার করছে এবং কতিপয় দালালদের ছত্রছায়ায় এই অবৈধ চোট ব্যবসা করে অসংখ্য মানুষের টাকা লুটপাট করছে। বর্ণিত চক্রটির কথিত অফিসের নাম “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি” যার কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন ও মীর জাফর, এছাড়া অপর কোম্পানী “মধুমতি কো-অপারেটিভ লিমিটেড” যার এম ডি হলো সৈয়দ হারুন অর রশীদ ওরফে জঙ্গী হারুন ওরফে আফগান হারুন, এনআইডি নং:-৮৬৭৭৭২৪৯১৯ এরা দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দিনের জন্য অফিস নিয়ে সেখান থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষকে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়, কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থেকে তাদের নিজ এলাকা গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন জয়নগর বাজার সহ কাশিয়ানী- মুকসেদপুর এলাকা জুড়ে স্থানীয় কিছু দালাল ও মোড়লদের ম্যানেজ করে কতিপয় পুলিশ প্রশাসনদের মাশোয়ারা দিয়ে তারা সুদের উপর টাকা লাগিয়ে গ্রামের হতদরিদ্র ও নিরীহ মানুষদের জায়গা-জমি, ভিটে-মাটি দখল করে নিয়ে অসংখ্য পরিবারকে সর্বশান্ত করে দিয়ে পথে বসিয়েছে।

তাদের অত্যাচারে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের হঠাৎ করে সম্পদশালী হওয়ার রহস্য নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরী হওয়ায়, এখন ঘরে ঘরে সঞ্চয় সমিতি ও চড়া সুদে লেনদেনের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। স্থানীয় ভাবে এদরে সল্টোর দাতা ও প্রভাবশালী দালাল সুদখোর আমরিুল ইসলাম পিকু মৃধা ও দালাল মিন্টু মৃধা এদের ভয়ে এলাকার মানুষ আতংকতি। অথচ উল্লেখ্যিত চোট ব্যবসায়ী (সুদখোর) দের সম্পর্কে স্থানীয় জনৈক শিক্ষক ও একজন মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় এই চোট ব্যবসায়ী “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির” কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন, সাত-আট বছর আগে এলাকার জয়নগর বাজারে মুদি দোকানে কাজ করতো এবং রাতের বেলায় বিভিন্ন দোকানের বেড়া কেটে এবং কখনো কারো দোকানের চালা ও জানালা কেটে বিভিন্ন মালামাল এবং টাকা-পয়সা চুরি করতো! এই চক্রটি বাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছিল, তারাই এখন অবৈধ উপায়ে কোটিপতি হয়ে এলাকায় এসে মানুষের বাড়ি ঘর, জমা জমি, হাস-মুরগি পর্যন্ত জুলুমবাজি সহ দখল করে নিচ্ছে। সুদখোর লুটেরাজদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদেরকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে, এমনি ঘটনার বিবরণিতে জানা যায়। সম্প্রতি এই সাজ্জাদ-হারুণ সুদখোর চোট বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর একজন সনামধন্য সমাজসেবক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মশি শ্রাবণ কে সন্দেহাতীত ভাবে বর্ণিত সুদখোর ও চোট ব্যবসায়ী দলনেতা দুর্নীতিবাজ সাজ্জাদ খান ও তার একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মারুফ বাহিনী নিয়ে মশি শ্রাবণের ঢাকার কাকরাইলস্থ অফিসে ও তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে হামলা চালিয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাছ সহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেছে। সৌভাগ্যক্রমে সাংবাদিক মশি শ্রাবণ দেশের বাহিরে থাকায় সাজ্জাদ বাহিনীর হাতে মশি শ্রাবণ আক্রান্ত বা হামলা শিকার হয়নি।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দুর্নীতিবাজ চক্রটিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে উক্ত “মধুমতি কো-অপারেটিভ লিঃ” যার এম ডি সৈয়দ হারুন অর রশীদ ওরফে জঙ্গী হারুন এবং “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি” যার কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন ও মীর জাফর সহ এদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদের হিসাব নেওয়া সহ এই চক্রের অন্যতম দালাল ও স্থানীয় গড ফাদার পিকু মৃধা, পিতাঃ- মৃত আঃ হক মৃধা, সাং- মহশেপুর, কাশয়িানী-গোপালগঞ্জ। এদের সকলের সম্পদের হিসাব নেওয়ার জন্য জরুরী কার্যকরী আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন একজন আইনজীবি।

বর্তমান সরকারের ভিশন দেশের অগ্রগতিঃ বিআইডব্লিউটিএর জামায়াত কর্মকর্তা ছাইদুরের ভিশন দূর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টারঃ
সর্বজনস্বীকৃত দূর্নিতিবাজ ছাইদুর রহমানের রহস‍্যময় আত্বজীবনী এবং উণ্হান কাহিনীঃ

গ্রামঃ মুক্তারামপুর(ত্রিমোহনী) ডাকঘরঃ খলিলগঞ্জ, ইউনিয়নঃ ত্রিমোহনী,থানা ও জেলাঃ কুড়িগ্রাম। মৃত আনিসুর রহমানের হতদরিদ্র পরিবাবের ছেলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী(ড্রেজিং) মোঃ ছাইদুর রহমান। অন‍্যের বাড়িতে ছাত্রজীবনে লজিং মাষ্টার থেকে যিনি লেখাপড়া করেছেন। চাকুরী জীবনের মাত্র কয়েক বছরে সেই হতদরিদ্র ছাইদুর রহমানের আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার ভয়ংকর দূর্নিতীর কাহিনীঃ

২০০৩ সালে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে বিআইডব্লিউটিএ যোগদান। মাত্র ১২ বছর চাকুরীকালে নির্বাহী প্রকৌশলী,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বর্তমানে পরিচালক আইটি সেল। পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে প্রায় ১০,০০০(দশ)হাজার কোটি টাকার ৪ টি ড্রেজিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। ২৪ নৌ পথ ড্রেজিং কাজে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে ১। মোঃ ছাইদুর রহমান,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক,বিআইডব্লিউটিএ।
২। মোঃ দিদার এ আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী ড্রেজিং,বিআইডব্লিটিএ।
৩। মোঃ মাহফুজুর রহমান,সহকারী প্রকৌশলী, ড্রেজিং, বিআইডব্লিউটিএ।
৪। মোঃ নজরুল ইসলাম,উপ সহকারী প্রকৌশলী,ড্রেজিং,বিআইডব্লিউটিএ। নামে ময়মনসিংহ জেলা সম্বনিত দূর্নিতী দমন কার্যালয়ে উপ পরিচালক মোঃ আবুল হোসেন এর অধীনে তদন্ত চলছে।
বিশ্বস্হসূত্রে জানা যায়, বিপুল অংকের টাকা লেনদেনের মাধ‍্যমে ছাইদুর রহমান এই অভিযোগ হতে অব‍্যাহতি পাওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বিএনপি -জামাতের এই সকল কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্প হতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করিতেছে। এ প্রকল্প ছাড়াও জনাব ছাইদুর রহমানের নামে মাদারীপুর- চরমুগুরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ নৌপথ খনন শীর্ষক ড্রেজিং প্রকল্প, নাটোরের আত্রাই ড্রেজিং প্রকল্প, এবং অভ‍্যান্তরীন নৌপথের ৫৩ টি রুটে ক‍্যাপিটাল ড্রেজিং(১ম পর্য‍্যায়ঃ ২৪ টি নৌ পথ) ২য় সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্প, এবং ১২টি নৌ পথ খনন প্রকল্পের টাকা আত্বসাত সহ অবৈধ‍্য সম্পদ অর্জনের জন‍্য স্ত্রী শামীমা আক্তার সহ তার নামে তদন্ত চলছে। প্রতিটি তদন্তেই এই মহা দূর্নিতিবাজ ছাইদুর রহমান অদৃশ‍্য ক্ষমতা এবং অবৈধ‍্য টাকার জোরে পার পেয়ে যাচ্ছেন। দুর্নীতির এই টাকা দিয়ে ছাইদুর রহমান ঢাকায় বনশ্রী, রামপুরা, সিদ্ধেশরী,শান্তনগর,বসুন্ধরা,মালিবাগ এলাকায় বিলাস বহুল ফ্লাট ও প্লট ক্রয় করেছেন। তার স্ত্রী ও নিজ নামে, মানামা এমডব্লিউ হাইটস ২৫/২ খিলগাও,ঢাকা ঠিকানায় মানামা ডেভেলপার কোম্পানি হতে ক্রয়কৃত ৬০০০ বর্গফুটের বিলাস বহুল ফ্ল‍্যাট রয়েছে। মৌজা বরপা রুপগঞ্জ ঢাকা এলাকায় ক্রয়কৃত জমি ৪৫ শতাংশ। নামে বেনামে ব‍্যাংক বীমা লীজিং কোম্পানিতে রয়েছে শতকোটি টাকা।এছাড়াও কুড়িগ্রাম, রাজিবপুর এলাকায় নামে বেনামে ক্রয় করেছেন শতশত একর জমি। মোঃ সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া উপ পরাচালক প্রশাসন বিআইডব্লিউটিএর এর সাথে রয়েছে ছাইদুর রহমানের রিয়েল এষ্টেটের শতকোটি টাকার ব‍্যবস‍া। এ শতশত কোটি টাকার উৎস কোথায়??. আওয়ামীলীগ সরকার বিরুধী কর্মকান্ডে ছাইদুর রহমান বিএনপি -জামায়াত সংগঠনকে বিপুল পরিমান টাকা যোগান দিচ্ছেন। তার চাকুরী জীবনের স্বল্প গড়িমায় তিনি একের পর একটা বড় বড় ড্রেজিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হয়েছেন। বর্তমানেও তা অব‍্যাহত রয়েছে। দূর্নিতীতে বিশেষভাবে পারদর্শী, তাই নৌপরিবহন মন্রনালয়ের একটি সংঘবদ্ধ চক্র অসৎ উদ্দেশ‍্য ছাইদুর রহমান কে প্রকল্প পরিচালক বানায়। ছাইদুর রহমান নিজ হাতে ২০১৬ সালে বলাকা জুয়েলার্স ১৩/৪ চাঁদনী চক মার্কেট ঢাকা ভাউচার নং ০১৪,তারিখঃ ৭/৫/২০১৬,টাকা=১২,৩৮,৫৬৬/ বলাকা জুয়েলার্স, ১৩/৪,চাঁদনী চক মার্কেট ঢাকা,ভাউচার নং ০২৫ তারিখঃ ২৫/৫/২০১৬ টাকা= ১৪,৮৭,৭০৪/এবং বলাকা জুয়েলার্স,১৩/৪, চাঁদনী চক ঢাকা,ভাউচার নং ০৩৪,তারিখঃ ১৫/৬/২০১৬ টাকা=৯,৭৭,৫৯৫/ স্বর্ন বিক্রয়ের ভূয়া বিল ভাউচার তৈয়ারী করে২০১৬-২০১৭ কর বর্ষে টিন নং-৬১৯৪৬১৫৭১২৬৩(বৈতনিক) কর অঞ্চল-০২ ঢাকা নথিতে প্রায় এক কোটি টাকা দেখিয়ে দূর্নিতির মাধ‍্যমে উপার্জিত কালো টাকা সাদা করেছেন। অথচ ভূয়া ভাউচারের এই স্বর্নের দোকানের কোন সন্ধান এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্ত ও প্রমানের জন‍্য অভিযোগপত্র এবং স্বর্ন বিক্রয়ের ভূয়া বিল ভাউচারের কিছু কপি সংযুক্ত করা হলো। এব‍িষয়ে তার বিরুদ্ধে স্বারক নং-০০.০১.০০০০.৫০১.০১.০৪০.২০/১৯২৮১/১(২) তারিখঃ ১৬/০৯/২০২০ ইং উপ পরিচালক সালাহউদ্দিন অনুসন্ধানকারী তদন্ত কর্মকর্তা,দূর্নিতী দমন কমিশন,প্রধান কর্যালয়-১ সেগুন বাগিচা ঢাকায় তদন্ত চলছে প্রায় তিন বছর যাবত। মাদারীপুর -চরমুগুরিয়া -টেকেরহাট -গোপালগঞ্জ প্রকল্পে টাকা আত্বসাতের জন‍্য ২০১০-২০১১ হতে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ড্রেজিং কাজে অনিয়মের জন‍্য স্বারক নং দুদক/অনুঃ ও তদন্ত-১/অনুঃ ২৩৮/ঢাকা/২১৪/২২৬৪৩/১(৭) দীর্ঘদিন যাবত অনুসন্ধান চলছে। এছাড়াও ফরিদপুর জেলা দূর্নিতী দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সীমাহীন দূর্নিতি এবং অভিনব কায়দায় বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন‍্য তার বিরুদ্ধে নৌ পরিবহন মন্রনালয়ের স্বারক নং -১৮.০১৪.০২৭.০০.০০.০০২.২০১০.৭৭৫ তারিখঃ ২৪/১১/২০১৫ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখার স্বারক নং-১৮.০১৪.০২৭.০০০০.০০২.২০১০/৪২৭ তারিখ৭/৬/২০১৬ অভিযোগ গৃহিত হয়।নিয়মকে অনিয়মে পরিনত করা তার প্রধান কাজ। পিপিআর বিধি লংঘন করে OTM পদ্ধতিকে DPM পদ্ধতিতে রুপান্তর করে প্রতিটি ড্রেজিং কাজ তার পছন্দের নিদিষ্ট ঠিকাদারকে পাইয়ে দেয়ার জন‍্য ছাইদুর রহমানকে দিতে হয় ১০℅ টাকা। এছাড়াও প্রতিটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল নিতে তার চাহিদা অনুযায়ী ৫℅ টাকা দিতে হয়। না দিলে ঠিকাদারকে নানাভাবে হয়রানি করেন। ইজিপি টেন্ডারের নামে তিনি দর এবং আইটেমে টেম্পারিং করার পাশাপাশি তার পছন্দের বিএনপি জামায়াত পন্হি ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান যেমন, ওটিবিএল ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান,নবারুন ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান,এশিয়ান ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানকে পূর্বেই টেন্ডারের রেট জানিয়ে তাদের কাজ পাইয়ে দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বদলী নিয়োগ বানিজ‍্য তার অন‍্যতম নেশা। বিআইডব্লিউটিএর বার্ষিক বনভোজন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ,২৬শে মার্চ, করোনা কালিন সময়ে মালামাল ক্রয় সহ জাতীয় প্রতিটি অনুষ্ঠানে ছাইদুর রহমান আহবায়ক ও পান্না বিশ্বাস সদস‍্য সচিব হয়ে বিআইডব্লিউটিএর ফান্ডের টাকা এবং বিভিন্ন ড্রেজিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে ভূয়া বিল ভাউচার প্রস্তত করে টাকা আত্বস্বাত করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী,সরকারের জৈষ্ঠ‍্য নেতা, আমলা,তার এলাকার প্রাথমিক ও গন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি এর নাম ব‍্যবহার করে চতুর ছাইদুর রহমান গড়ে তুলেছেন দূর্নিতীর সিন্ডিকেট। ছাইদুর রহমান বিআইডব্লিউটিএতে চেয়ারম্যান, সদস‍্যগন এবং বিভাগীয় প্রধানদের তোয়াক্কা করে না। তার সন্রাসী কর্মকান্ড হতে বিআইডব্লিউটিএর নিরীহ অসহায় কর্মকর্তা/কর্মচারীরা মুক্তিচায়। জামাতপন্হী এই ছাইদুর- সিরাজ গংদের খুটির জোর কোথায়??? । এত অভিযোগের পরও মহাদূর্নিতীবাজ ছাইদুর-সিরাজ গংদের কিছু হয় না। এতে প্রমানিত যে, দূর্নিতী দমন কমিশন সরকারের রাষ্ট্রযন্র এই মহাদূর্নিতিবাজ ছাইদুরের অবৈধ‍্য টাকার কাছে আত্ত্বসর্মপন করেছে। হীন চরিত্রের ছাইদুর রহমান তার বাবার মৃত নিয়ে ছলচাতুরি করেছে তার বাবা ২০২২সালে করোনায় মৃতবরন করেছে কিন্ত অসৎ উদ্দেশ‍্য তিনি তার বাবাকে ২০১৬-১৭ করবর্ষে মৃত দেখিয়ে আয়কর প্রদান করেছেন। তার প্রমান ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের আয়কর প্রদানের বিবরন। ছাইদুর রহমানের মহাদূর্নিতির সামান্য কিছু খন্ডিত অংশ প্রকাশ করা হলো মাত্র। সঠিকভাবে তদন্ত করলে বিআইডব্লিউটিএর প্রকল্প হতে ছাইদুর রহমান কর্তৃক সাগর চুরির রসহ‍্য উদঘাটিত হবে। তিনি বর্তমানে ৫৫-৫৬ সিদ্ধেশ্বরী,৪/এ আমিনাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করছেন। তাকে গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখতে হবে। ধূর্ত ছাইদুর যেকোন মুহূর্তে দেশ ত‍্যাগ করে পারেন।

সরকারের সকল পর্য‍্যায়ের গোয়েন্দা সংস্হা কাজে লাগিয়ে ছাইদুর গংদের দূর্নিতী র প্রতিটি অভিযোগের সঠিকভাবে তদন্ত করে কঠোর ব‍্যবস্হা গ্রহনের জন‍্য বিআইডব্লিউটিএর সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জাতীর শেষ ভরসার স্হল, বঙ্গবন্ধু কন‍্যা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তাছাড়া বিআইডব্লিউটিএ দূর্নিতীমুক্ত করা সম্ভব নয়।প্রধান মন্ত্রী যখন বলেন এক প্রকল্পে একজন করে কর্মকর্তা কাজ করবেন সেখানে
একাই কয়েকটি প্রকল্পের পিডি,দুদকে তদন্ত চলছে থেমে নেই ছাইদুরের কমিশন বাণিজ্য। প্রকৌশলী রোকনের মতো যে কোন সময় পালিয়ে যেতে পারেন ছাইদুর।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের