তারিখ লোড হচ্ছে...

সংসদে হারুনুর রশীদের প্রশ্ন- আইজিপি বোট ক্লাবের সভাপতি হতে পারেন কিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, ‘চিত্রনায়িকা পরী মনির ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সরকার আড়াল করতে চায়। বোট ক্লাবের মতো মদ, জুয়ার আসর যেখানে বসে সেই ক্লাবের সভাপতি কোনো আইজিপি হতে পারেন কিনা? এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি আশা করছি।’

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি মনে করি বিষয়গুলো সরকারের অত্যান্ত গুরুত্ব দেওয়া দরকার। যারা এই বিষয়গুলোর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দরকার। তাহলে মাদক বলেন, গণিকাবৃত্তি বলেন বা জুয়া খেলা বলেন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন না।’

এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন।

হারুনুর রশিদ পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেন, ‘রাজধানীর বেড়িবাঁধ এলাকায় বোট ক্লাবটি নদী দখল করে হয়েছে কিনা এবং সেই খানে নিয়মিত মদ্যপান করা হয়, জুয়া খেলা হয়, তাস খেলা হয়। ওই রকম একটি ক্লাবে পুলিশের কোনো আইজিপি কোনো আইনে সভাপতি থাকতে পারেন কিনা? আইজিপি সরকারের অনুমতি নিয়ে ক্লাবটির সভাপতি হয়েছেন কি না এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছি।’

বর্তমান আলোচিত বিষয় নিয়ে সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদের প্রতি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘অনুমতি ব্যতিত কোনো অ্যালকোহল পান করা যাবে না এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন অথবা সরকারি মেডিকেল কলেজের কোনো সহযোগী অধ্যাপকের লিখিত অনুমতি ব্যাতিরেকে কোন মসুলমানকে অ্যালকোহল পানে অনুমতি দেওয়া যাবে না।’

চিত্র নায়িকা পরী মনি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে পরীমণি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাতে এরইমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানটি র‌্যাব চালিয়েছিল। র‌্যাব এটির তদন্তের দাবি জানিয়েছিল কারণ এর পেছনে অনেক বড় শক্তি জড়িত। এই সমস্ত অপরাধীদের যারা ব্যবহার করছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার।’

এসময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিনটি বিষয়ের উপর বিবৃতি দাবি করেন। সেগুলো হলো- মাদক, বণিকাবৃত্তি, জুয়া খেলা ও বোট ক্লাবটি সরকারের অনুমতি নিয়ে হয়েছে কি না? সেখানে পুলিশের প্রধান অনুমতি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন কি না?

বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন ৬২ পুলিশ সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার:

সাহসিকতা, সেবা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য এবার ৬২ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রদান করা হচ্ছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার পদকের সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে।

বিপিএম (সাহসিকতা ও সেবা) এবং পিপিএম (সাহসিকতা ও সেবা)—এই চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তালিকা চূড়ান্ত করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশ হবে চলতি সপ্তাহেই।

২৯ এপ্রিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ’। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদকপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন। তিনি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও বিশেষ দরবারে সভাপতিত্ব করবেন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “এবার যাদের সাহসিকতা ও নিষ্ঠার প্রমাণ আছে, কেবল তাদেরই পদকের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।”

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম