তারিখ লোড হচ্ছে...

আযানে আপত্তি চট্টগ্রাম ক্লাবের চেয়ারম্যান নাদের খাঁনের

 

চট্টগ্রাম অফিসঃ

চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার মহল্লার জামে মসজিদে উচ্চস্বরে আজানের আওয়াজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি লিখিত আপত্তি জানিয়েন চট্টগ্রাম ক্লাবের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি নাদের খাঁন ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা খাঁন। এদিকে এই দুজনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কর্মকান্ড ও অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে থানায় সাধারন ডায়েরি (ডিজি) করেছেন পূর্ব নাসিরাবাদ মহল্লা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা খুলশি থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করেন শিল্পপতি নাদের খাঁন। জানা গেছে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি এই এলাকার শাহী জামে মসজিদে আযানের সময় উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করে আসছিলো এবং মসজিদ কমিটি ও ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আলম বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন নাদের খাঁন ও হাসিনা খাঁন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মসজিদের আযানের আওয়াজ মসজিদে ভিতরেই সীমাবদ্ধ রাখার জন্য। তাদের লেখা দরখাস্তে আরো উল্লেখ করেন, আপনারা যদি আমাদের অগ্রাহ্য করেন, তবে সব ধরনের সহযোগিতা থেকে আমরা বিরত থাকবো।আরো লিখেছেন, আপনার নিকট ও মসজিদ কমিটির সম্মানিত নেতৃবৃন্দের নিকট বারবার অনুরোধ করে এই পর্যন্ত শোনার ও বুঝার চেষ্টা করছেন না আমাদের এই এলাকায় একই সাথে ৮ থেকে ৯টি মসজিদ হইতে আযান শোনা যায়। অথচ আপনারা কেউ কেউ এ কথা ও বলছেন যে আপনারা যেহেতু দূরে থাকেন, শোনার সুবিধার জন্য মাইকের আওয়াজ বাড়িয়ে রাখেন। এই বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই পছন্দ করবেন না। দরখাস্তে আরো লেখা হয় শুক্রবারে মসজিদে মাইকের মাধ্যমে ওয়াজ প্রচার করা হয়, আপনাদের কে অনুরোধ করছি এই আওয়াজ আপনারা মসজিদের ভিতরে রাখেন কিন্তু এই পর্যন্ত তাও হলো না। অনেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন, শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অসুবিধা হতে পারে। অসুস্থ লোকের অসুবিধা হতে পারে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা বিকট আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই বোঝা যায়না,মসজিদুল হারাম, মসজিদুল নববী এই সকল মসজিদে মাইক ব্যবহার হচ্ছে কিনা খবর নেন। আপনারা যদি আমাদের অনুরোধ আগ্রাহ্য করেন, তবে সব ধরনের সহযোগিতা থেকে আমরা বিরত থাকবো।এদিকে এমন অভিযোগ করার কথা জানাজানি হওয়ার পরে পূর্ব নাসিরাবাদ মহল্লা কমিটির সভাপতি আমির হোসেন খান এবং সাধারণ সম্পাদক অহিদ চৌধুরী মুক্তি এ নিয়ে খুলশী থানায়, একটি জিডি নং ১১৬৫ দায়ের করেন। ১৮ ডিসেম্বর রোজ রবিবার দায়ের করা অভিযোগে। তাঁরা উল্লেখ করেন, এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা নাদের খাঁন ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা খাঁনের ওপর ধিক্কার জানান। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ এবং যে কোন ধরনের অঘটন ঘটার আশস্কা প্রকাশ করেন তারা।

বহু অপকর্মের হোতা রাজউকের পরিদর্শক সোলাইমান বহাল তবিয়তে!

স্টাফ রিপোর্টার :

দীর্ঘ সময়ের ফ্যাসিবাদের সুযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতিতে। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে আসছে অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র। রাজউকের অনেক কর্মকর্তার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এলেও অনেক কর্মকর্তার দুর্নীতি রয়েছে অগোচরে। বর্তমান সময়ে বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন সাধারণ ভুক্তভোগী জনতা। এবার প্রকাশ্যে এলো রাজউকের ইমারত পরিদর্শক সোলাইমান হোসাইনের দুর্নীতির চিত্র।

ঝিনাইদহের চাপড়ী গ্রামের সন্তান মোঃ সোলাইমান হোসেন রাজউকে ইমারত পরিদর্শক হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন ২৫ অক্টোবর ২০১৫ সালে। যোগদানের পরে জোন ১/৩ এ কর্মরত থাকাকালিন নোটিশ ব্যবহার করে ভবন মালিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপার্জন, ঘুষ গ্রহন করে অনৈতিক ও আইন বিরোধী কাজে লিপ্ত হন।

পরিদর্শক মোঃ সোলাইমান হোসাইন জোন ৩/২ সাভার আশুলিয়ার বিরুলিয়া ব্রীজ পার হয়ে চারাবাগ বাজারের সাথে কিংশুক হাউজিং ও তার আশে পাশে নানান অপকর্ম সাধন করেছেন। এছাড়াও জানাগেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানীর বিল্ডিং তৈরির পরে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহন করে প্লান অনুমোদন করিয়ে দিয়েছেন। ৪ জুলাই ২০২৪ এ রাজউকের এড়িয়া পুনরায় ভাগের পূর্বে সোলাইমান জোন ১/৩ এ কর্মরত থাকাকালিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোন ৩/২ এর এড়িয়ায় ঢুকে এই অপকর্ম করতেন।

কিংশুক হাউজিং এর এক বাড়ির মালিক আলাউদ্দিন বলেন পরিদর্শক সোলাইমান ও অথোরাইজড অফিসার নুর আলম ৪০-৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেন পরে তারা ০৭ জন বিল্ডিং মালিকের থেকে ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন।

অন্য এক বাড়ির মালিক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তারিকুল ইসলাম ধ্রব বলেন তার বিল্ডিংয়ের কাজ চলাকালিন পরিদর্শক মোঃ সোলাইমান হোসাইন সেখানে গিয়ে নাম পরিচয় না দিয়ে মাফিয়া স্টাইলে কাজ বন্ধ করতে বলেন এবং শ্রমিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইউসুব আলি জানান ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত হয়ে ত্রুটিপূর্ন যে বাড়িগুলো ভেঙে দিয়েছেন সেই বাড়িগুলোর কাগজ ঠিক করতে পরিদর্শক সোলাইমান ও অথোরাইজড অফিসার নুর আলম প্রতি বাড়ি থেকে ১ লক্ষ করে টাকা নিয়েছেন। তিনি আরও জানান কিংশুক হাউজিংয়ের আশেপাশে এই হাতিয়ে নেয়া অর্থে পরিদর্শক সোলাইমান বাড়ি করেছেন।

কিংশুক হাউজিংয়ের মোঃ খোকন মিয়া জানান আমরা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমোদন এনে বাড়ি তৈরি শুরু করলে রাজউক বাধা দেয়। আমরা একাধিকবার রাজউকে অনুমোদনের জন্য গিয়েও অনুমোদন না পেলে পরিদর্শক সোলাইমান আমাদের কাছে প্রতি বিল্ডিংয়ের জন্য সাড়ে ৬- ৭ লক্ষ টাকা দাবী করে। তার এখানে একটা জমি আছে বলেও আমি শুনেছি।

একাধিক ব্যক্তি জানান ইমারত পরিদর্শক সোলাইমান বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে নোটিশের মাধ্যমে উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে এবং তাতেও কাজ না হলে উচ্ছেদ করে অথবা বিল্ডিংয়ের কিছু অংশ ভেঙে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

পরিদর্শক সোলাইমান ও অথোরাইজড অফিসার নুর আলমের এই অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে ভবন মালিকগন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশনের আশ্রয় নিলে হাই কোর্টের বেঞ্চ ঐসকল ভবনগুলোতে রাজউকের সকল কার্যক্রমে স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মহাখালী রাজউক অফিসে গিয়ে ইমারত পরিদর্শক সোলাইমানের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সে সকল বিষয় অসত্য ও বানোয়াট বলে দাবি করে আরও ভালোভাবে অনুসন্ধান করার অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন কিছু অসাধু ব্যক্তিদের চাঁদা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে এই সকল অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম