তারিখ লোড হচ্ছে...

নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার!

নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার!

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুরে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে আব্দুল মোতালেব ওরফে হাজী মিয়া (৬৫) নামে ১ মনোহারি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪অক্টোবর) বিকেলে শহরের সাতানীপাড়া এলাকার হরিজন পল্লীর পেছনের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মোতালেব পার্শ্ববর্তী গোপালবাড়ী এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিনিধিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মোতালেব বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে শহরের সাতানীপাড়ার হরিজন পল্লীর পেছনে ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জোবায়দুল আলম প্রতিনিধি কে জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া প্রকৃয়াধীন রয়েছে।

২৮ বছরেও ভবন হয়নি তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

২৮ বছরেও ভবন হয়নি তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা:

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ২১০ নং তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। অথচ দীর্ঘ ২৮ বছরেও বিদ্যালয়টিতে নির্মিত হয়নি কোনো স্থায়ী ভবন। এখনও জরাজীর্ণ টিনের ঘরে অমানবিক পরিবেশে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সোমবার (৪ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষের ছাউনির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে পুরনো মরিচা ধরা টিন। দেয়ালজুড়ে স্যাঁতসেঁতে দাগ, ফাটল ধরা মেঝে আর কোথাও কোথাও জমে থাকা পানিতে বৃষ্টির দিনে ক্লাস চালানো প্রায় অসম্ভব। গ্রীষ্মে ঘরের ভেতরে তীব্র গরমে ছোট ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভাঙা বেঞ্চে বসে ভিজে বই-খাতায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যেন এক যুদ্ধ।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪২ জন। মাত্র ৫ জন নারী শিক্ষক প্রতিদিন এই অমানবিক পরিবেশে ক্লাস পরিচালনা করছেন। ভেঙে পড়া স্বপ্ন, স্থগিত প্রকল্প বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED) ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে। নির্মাণকাজ শুরুর প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর প্রকল্পসহ অন্যান্য বরাদ্দ স্থগিত হয়ে যায়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জোহরা পারভীন বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে বহুবার আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার পরিবেশ ভয়াবহভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান তামিহ জানায়, বৃষ্টির সময় বই ভিজে যায়। গরমে মাথা ঘুরে। ঠিকমতো বসাও যায় না। অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলেন, ২৮ বছরেও একটি স্থায়ী ভবন হয়নি! এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা অভিভাবকরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

উপজেলার অন্যান্য স্কুলে একাধিক নতুন ভবন হয়েছে। কিন্তু শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ বিদ্যালয়ের দিকে নজর নেই কারও। এটি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এই অঞ্চলের শিক্ষার ভিত্তি। ২৮ বছরেও ভবন না থাকা সরকারি অবহেলার নিদর্শন। অবিলম্বে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে।

তালা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল এবং বাস্তবায়নের সকল প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাদ্দ স্থগিত রয়েছে। পুনরায় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সাড়া মিলবে। তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম বলেন উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ এ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ খুবই প্রয়োজন। আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম