তারিখ লোড হচ্ছে...

ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী সাংবাদদাতা:

নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ব্যারাক থেকে মোহাম্মদ মোহন মজুমদার (৩৫) নামে এক পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কনস্টেবল মোহাম্মদ মোহন মজুমদার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা ইউনিয়নের আলী মজুমদারের ছেলে।

সেনবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতের ডিউটি শেষে শনিবার ভোরে কনস্টেবল মোহন ব্যারাকে ফিরে আসেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি থানার ব্যারাকের ৪র্থ তলায় নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। বিকাল সাড়ে ৩টার পর সহকর্মীরা তাকে দুপুরের খাবারের জন্য ডাকাডাকি করলেও সাড়া পাননি। পরে বিষয়টি তারা থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। এরপর দ্রুত তাকে ব্যারাক থেকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মরদেহের সুরতহাল শেষে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ মোহন মজুমদারের অকস্মাৎ মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ্‌-আল-ফারুক।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ ও সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। সহকর্মীদের উপস্থিতিতে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।

সেন্টুকে ‘খুনী’ আখ্যা ছাত্রদল নেতা নাজমুলের, দাবি জানালেন গ্রেফতারের

স্টাফ রিপোর্টার:

ফতুল্লার কুতুবপুরের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ছাত্রদল নেতা নাজমুল৷ বিগত ১৬ বছর শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় থাকা সেন্টুকে ‘খুনী’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সেন্টুকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানান জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই সহসভাপতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার দেয়া ওই স্ট্যাটাস ঘিরে তোলপাড় চলছে ফতুল্লা ও কুতুবপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে৷

সেন্টুকে শামীম ওসমানের ‘ছোট ভাই’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন নাজমুল। অবশ্য নাজমুলের এই দাবিকে ‘যুক্তিসঙ্গত’ বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, শামীম ওসমান নিজে সেন্টুকে  ‘ছোট ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রায়ই৷ এদিক দিয়ে অবশ্য সেরের উপর সোয়া সের ছিলন সেন্টু। শামীম ওসমানকে ‘পীর’ আখ্যায়িত করে একবার ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন৷ এরপরেও শামীম ওসমানকে নিয়মিতই ‘শ্রদ্ধেয় বড় ভাই’, রাজনৈতিক অভিভাবক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ শামীম ওসমানের দয়াতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন৷ ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন সেন্টু নিজেই৷

আর সেই সেন্টুই পটপরিবর্তনের পরে এবার বিএনপিতে ফিরতে মরিয়া৷ চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রে। সেখানে নিজেকে ‘ত্যাগী’ উল্লেখ করে শামীম ওসমানের প্রেমে দলত্যাগের কথা উল্লেখ করেননি৷ একইভাবে চেপে গেছে নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান হওয়া, পীর শামীম ওসমানের মুরিদ হওয়ার বিষয়টিও৷ এসব দেখেশুনেই ক্ষেপেছন ছাত্রদল নেতা নাজমুল৷ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কেন্দ্রীয়  বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কিভাবে আওয়ামী লীগের দোসর, শামীম ওসমানের ছোট ভাই মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপির প্রোগ্রাম ও ব্যানার  করতে সাহস পায়? যার হাত ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত এখনো, ছাত্র হত্যা মামলার আসামি সে কুখ্যাত খুনি সেন্টু বহিষ্কার প্রত্যাহার কিভাবে আবেদন করে ?
আমি বিএনপি’র ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আপনাদের কাছে আবেদন জানাই তাকে যেন অতি শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হয়।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।।

জানা যায়, সেন্টুকে প্রতিরোধের যাবতীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা কোনোভাবেই আর সুবিধাবাদী সেন্টুকে বিএনপির নাম ব্যবহার করতে দিতে রাজি নন৷ আওয়ামী দোসর সেন্টুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগও নিচ্ছেন তারা৷ এখন দেখার বিষয়, নৌকার সেন্টু নৌকা থেকে নেমে ধান চাষে নামতে পারেন কি না!

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম