তারিখ লোড হচ্ছে...

অপূর্ব পালকে স্থায়ী বহিষ্কার, মামলা করবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

অপূর্ব পালকে স্থায়ী বহিষ্কার, মামলা করবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। রোববার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোরআন অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা দায়ের করবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে।

জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ মানসুর হাশিমের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান ‘শূন্য সহনশীলতা’। শনিবার (৪ অক্টোবর) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা বিভাগ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের পরিবেশ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন।

ফ্রিজে মায়ের হাত-পা বাঁধা লাশ

স্টাফ রিপোর্টার//

হাত খরচের টাকার জন্য বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রেখেছিলেন সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯)। নিহতের ছোট ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। সাদ তার মাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন পরে তাকে আটক করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এ তথ্য জানান।

আটককৃত সাদ বিন আজিজুর রহমান বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়া এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে এবং দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরপাড়া এলাকায় ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’ নামক বাড়ির একটি ফ্ল্যাটের ডিপ ফ্রিজ থেকে উম্মে সালমা (৫০) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান বলেন, সাদ হাত খরচের জন্য তার বাবার কাছ থেকে প্রায় ৫০০ বা ১০০০ টাকা নিতেন। এটা নিয়ে তার মায়ের কাছে ধরাও খেয়েছে বেশ কয়েকবার। মায়ের সাথে ঝগড়া বা বাকবিতন্ডাও হয়েছে। এগুলোকে কেন্দ্র করে তার মায়ের উপর ক্ষোভ ছিল। ঘটনার দিন মা-ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে সাদ রাগ করে সকালের নাস্তা না খেয়ে মাদ্রাসায় চলে যান। পরে বেলা ১১টায় মাদ্রাসায় বিরতি পেলে তিনি চলে আসেন। এদিন দুপুর ১২টায় তিনি বাসায় ফিরে দেখতে পান তার মা রান্নার জন্য বটি দিয়ে সবজি কাটছেন। ওই সময় তিনি পেছন থেকে তার মায়ের নাক-মুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর তার মায়ের দুই হাত ওড়না দিয়ে বেঁধে ডিপ ফ্রিজে রেখে ডাকাতির ঘটনা সাজানোর জন্য আলমারিতে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। পরে মেইন গেটে তালা দিয়ে বের হয়ে যান। পরে বাড়িতে এসে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাবাসহ অন্যদের ফোন দেয়। পরে সবাই বাসায় খোঁজাখুঁজির করেন। এক পর্যায়ে সাদ ডিপ ফ্রিজ থেকে তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনার পরপর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। নিহতের ছোট ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সাদ তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলার বাদী তার পরিবারের মধ্য থেকেই হয়তো কেউ হবে। যদি কেউ না হয় তবে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

সবা:স:জু-১১১/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম