তারিখ লোড হচ্ছে...

ভোলাহাটে সাঁপের কামড়ে দু’জনের মৃত্যু ও ১জন গুরুতর!

ভোলাহাটে সাঁপের কামড়ে ২ জনের মৃত্যু ১জন গুরুতর!

এম. এস. আই শরীফ, ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জমিতে ঘাস কাটতে গিয়ে ও অপর জন রাতে ঘরের ভিতর সাঁপের কামড়ে অবশেষে গত দু’দিনে দু’জন মারা যাবার ও ১জন গুরুতর হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাড়বাটরা গ্রামের মৃত মোসলেম আলীর ছেলে আজিজুল (৫০) ও একই ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামের আওকাত আলী গুধার ছেলে রানা (৩৫) দু’জনের মধ্যে আজিজুল ঘাস কাটতে গিয়ে আরেকজন নিজ বাড়ীতে সাঁপের কামড়ে মারা যায়।

জানা যায়, আজিজুল প্রতিদিনের ন্যায় চাঁনশিকারী নামকস্থানে ঘাষ কাটতে গিয়ে মাঁইছা আলাদ নামের সাঁপের কামড় দেয় ও আলালপুর গ্রামের রানাউলকে নিজ বাড়ীতে কিং কোবরা সাঁপে কামড় দেয়।

আরো জানা যায়, সাঁপের কামড়ের আজিজুলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পরে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়। পরে ঐদিনই রাজশাহীতে নেয়ার পথিমধ্যে মারা যায় আজিজুল।

আরেকজন রানাউলকে শনিবার দিবাগত রাত প্রায় ১১টার সময় নিজ ঘরের থাকা কিং কোবরা সাঁপ কামড় দিলে তাঁর চিৎকারে বাড়ীর বাবা ও মাসহ স্থানীয়রা দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রানাউল মারা যায়।

মৃত আজিজুল ও রানাউল উভয়কে রোববার আসরের পরে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। আরো জানা গেছে, সাঁপের কামড়ে আহত হয়ে একই উপজেলার হোসেনভিটা গ্রামের আনারুল ইসলাম (৫৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী নিহত

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী নিহত

নরসিংদী সংবাদদাতা:

নরসিংদীর মনোহরদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে রিয়াদ হোসেন (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ হোসেন পশ্চিম মনতলা এলাকার মো. খোকন মিয়ার ছেলে ও খিদিরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে মাদ্রাসা মাঠে ফুটবল খেলায় ফাউল করাকে কেন্দ্র করে রিয়াদের সঙ্গে রামপুর এলাকার তায়েব ও পরশের বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন বিকেলে তায়েব ও পরশের নেতৃত্বে ৮-১০ জন রিয়াদের ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরপর ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাবা খোকন মিয়া বলেন, ফুটবল খেলার দ্বন্দ্বের জেরে আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি দোষীদের ফাঁসি চাই।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জাব্বার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের শরীরে বিশেষ করে বুকের ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম