তারিখ লোড হচ্ছে...

মানবিক জনকল্যাণ মহিমার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে ভিডিপি জসিম উদ্দিন

মানবিক জনকল্যাণ মহিমার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে ভিডিপি জসিম উদ্দিন

মোঃমাসুদ রানা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির ইউনিয়ন দলনেতা মোঃ জসিম উদ্দিন সামাজিক সেবার মাধ্যমে এলাকায় এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজের উদ্যোগ ও ব্যক্তিগত খরচে ২নং চেঙ্গি ইউনিয়ন থেকে ১নং লোগাং ইউনিয়নে স্কুল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে একটি সাকু নির্মাণ করে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করেছেন।

সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ এই জনদরদী ব্যক্তি শুধু সেতু নির্মাণেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। একই ইউনিয়নের আনসার কোম্পানি কমান্ডার জমীর উদ্দিনও এই সামাজিক কাজে তার সহযাত্রী হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

মোঃ জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি একজন পরোপকারী ও সমাজসেবক হিসেবে সমাজে সুপরিচিত। কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি নিয়মিতভাবে অসচ্ছল পরিবারকে সহায়তা করেন, চিকিৎসা সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের সহায়তাও প্রদান করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে, গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে তিনি লোগাং বাজারের নুরানী মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্যশস্য বিতরণ করেন। তার এই উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “জসিম উদ্দিন শুধু একজন আনসার ভিডিপি সদস্য নন, তিনি আমাদের সমাজের আপনজন।”

তার এধরনের কর্মতৎপরতা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির নামকে আরও উজ্জ্বল করেছে এবং স্থানীয় তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। সমাজকল্যাণে নিজের শ্রম, অর্থ ও সময় ব্যয় করে মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা ও উদ্যোগ থাকলে একজন মানুষও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

কুড়িগ্রামে স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামে স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা:

কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীতে মেলায় ডেকে নিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে বাড়িতে নিয়ে ১০ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য, ঠিকাদারসহ চারজনের নামে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর বাবা। এদিকে, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া এলাকায়।

পরে গত রোববার (৩ আগস্ট) নাগেশ্বরী থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলাটি করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গাগলা খামারটারী এলাকার রাব্বী মিয়া, নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকার বাঁশেরতলের জুলহাস মিয়া, রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সাপখাওয়া এলাকার শফিয়ার রহমান ওরফে শফি কন্ট্রাক্টর এবং রায়গঞ্জ ইউনিয়নের গাটিরখামার এলাকার ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া। এর মধ্যে রাব্বী মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়, রাব্বী মিয়া ওই কিশোরীর জেঠাতো বোনের স্বামী। সে প্রায়ই কিশোরীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতো। এ নিয়ে রাব্বীকে সতর্ক করেন কিশোরী। গত ২৩ জুলাই কিশোরীকে নাগেশ্বরী ডিএম একাডেমী ফুটবল মাঠে হস্ত, বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলায় ডেকে আনে। ঘোরাঘুরির পর কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ালে সে অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত রাব্বি তার গাগলা খামারটারীর ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আবারও তাকে চেতনাশক খাওয়ায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাগেশ্বরী থেকে দূরপাল্লার বাসে ঢাকায় অজানা উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়। সকালে ঢাকায় পৌঁছার পর বাসের সুপারভাইজার দেখতে পায় কিশোরী অচেতন। পরে তাকে বোনের বাসায় নেন সুপারভাইজার। রাতে ফিরতি বাসে নাগেশ্বরী পাঠিয়ে দেন।

এদিকে, পরদিন সকালে নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামলে রাব্বী, জুলহাস ও মোতালেব মেম্বার জোর করে পৌরসভার হাসেম বাজার এলাকার ফারুক হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও তাকে ধর্ষণ করে রাব্বী। আবারও তাকে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় অচেতন কিশোরীকে নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড এনে জুলহাসের হাতে তুলে দেয় রাব্বী। অটোরিকশায় করে রায়গঞ্জ বোর্ডের বাজারের পাশে শফিয়ের আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে কিশোরীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে খুনের হুমকি দেন তিনি।

language Change
সংবাদ শিরোনাম