তারিখ লোড হচ্ছে...

অস্ত্র ও নাশকতা সামগ্রীসহ ইউপিডিএফ আস্তানা শনাক্ত, সেনা অভিযানে উদ্ধার

অস্ত্র ও নাশকতা সামগ্রীসহ ইউপিডিএফ আস্তানা শনাক্ত, সেনা অভিযানে উদ্ধার

মোঃমাসুদ রানা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়া এলাকার গহীন জঙ্গলে সেনা অভিযানে ইউপিডিএফ এর গোপন আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

সোমবার ০৬ অক্টোবর ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি অভিযানিক দল ইউপিডিএফ এর একটি গোপন আস্তানা ঘেরাও করার পর তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইউপিডিএফ এর শীর্ষ স্থানীয় গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা পলায়ন করে। পরবর্তীতে, উক্ত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহৃত ০১টি পিস্তল, ০১ টি ম্যাগজিন, ০২ রাউন্ড এ্যামোনিশন, ১৫ টি ব্যানার, ০২ টি ওয়াকিটকি চার্জার, ০২ টি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র এবং বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাহত করতে ইউপিডিএফ স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র ও ছাত্রীদের সেনা বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করে। আজকের ঘটনা সহ বিগত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার নারী এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র সদস্যদের সন্ধানে সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের শঙ্কা, ১৪৪ ধারা জারি

স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের এক নেতার গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সজিব রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশেষ অভিযানে উপজেলার বংশিকুণ্ডা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করা হয়।

মধ্যনগর বিএনপির নেতা শহীদ মিয়া দাবি করেন, গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা বিএনপিপন্থি ও তার লোক। কিন্তু উপজেলার অন্য গ্রুপের বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ূম মজলু এটা মানতে নারাজ। এর প্রেক্ষিতে বিএনপির শহীদ গ্রুপ ও মজলু গ্রুপের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে ও সাধারণ মানুষের জানমাল এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

মধ্যনগর বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ূম মজলু গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত মিজান যুবলীগ নেতা। তার দ্বারা উপজেলার অনেক মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে বিএনপির শহীদ তার পক্ষ নিয়ে উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে, বিএনপির অফিস ভাঙচুর করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও মধ্যনগর বিএনপি নেতা শহীদ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, যুবলীগ নেতা বানিয়ে যে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিএনপি বলয়ের লোক। আমি শুধু পুলিশকে বলেছি অহেতুক যাতে কোনো নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হন, সেটা দেখবেন।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সজিব রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে উপজেলা ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে৷

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেজন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম