তারিখ লোড হচ্ছে...

স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বরিশাল সাংবাদদাতা:

বরিশালের মুলাদীতে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ গুমের দায়ে স্বামী সোহরাব হোসেন আকনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. রকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন আকন বরিশালের মুলাদী উপজেলার তেরচর গ্রামের মৃত লাল মিয়া আকনের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ছিলেন সোহরাবের দ্বিতীয় স্ত্রী এলমা আক্তার লিমা। ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর সোহরাব দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য লিমাকে গলা টিপে হত্যা করে এবং পরে মরদেহ গুম করে।

এ ঘটনায় নিহতের বোন ডলি বেগম বাদী হয়ে মুলাদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জুবায়ের তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

মধ্য ধরান্দীর সেই বেতন বিহীন প্রধান শিক্ষক শ্রীঘরে

পটুয়াখালী সংবাদদাতা:

হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান দুই আসামিকে জামিন নামঞ্জুর করে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আমলি আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম এর বেঞ্চে এ শুনানি হয়। শুনানিটি পরিচালনা করেন পটুয়াখালী জজকোর্টের সিনিয়ার এডভোকেট আবুল বাসার।
জানা যায় মোঃ শহিদুল ইসলাম মধ্য ধরান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেতন বিহীন প্রধান শিক্ষক। এবং কালু ধরান্দী ডিগ্রি কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। এ দুজন সহ আরো সাতজন রেজাউল করিম ফারুক কে গত ২৫/৮/২০২১ তারিখ কুপিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। পরের দিন ভিকটিম এর বড় ভাই মোঃ শাহ আলম মিয়া বাদী হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে অত্র মামলার প্রধান আসামি মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং কালু কোর্টে হাজির হতে আসে। ভিকটিমের অবস্থা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে
পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এ ব্যাপারে বাদী মোঃ শাহ আলম মিয়া অভিযোগ করে বলেন “আসামিরা খুবই উদ্ধত পরায়ন এবং ডাকাত প্রকৃতির। শহিদুল এবং কালুর জামিন না মঞ্জুর করার কারণে অন্যান্য আসামিরা যারা ইতোমধ্যেই যাবিনে রয়েছে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। অনেকটা পাগলা কুকুরের মত আচরণ করে যাচ্ছে। খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নষ্ট প্রকৃতির এবং চরিত্রহীন মহিলাদের দিয়ে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখাচ্ছে”এ ব্যাপারে আসামিদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন ধরনের বক্তব্য দেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম