তারিখ লোড হচ্ছে...

আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কর্মকর্তার সংবাদ সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ এনে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগীরা। সোমবার সকালে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি চক বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রুটি-নুরপুর গ্রামের ভূক্তভোগীদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামীম সরকার।

লিখিত বক্তব্যে শামীম সরকার বলেন, রুটি গ্রামের আইনজীবী মো. শফিকুর রহমান আইন পেশার অপব্যবহার করে অসহায় নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এই আইনজীবী রুটি গ্রামের একাধিক মসজিদসহ বাজার কমিটির সভাপতি দাবী করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেন। তার এসব অপকর্মের যে প্রতিবাদ করে তার নামেই একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।

তিনি বিগত ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমিসহ আমার পিতা এবং দুই ভাইয়ের নামে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীণ সময়ে আমি রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার পদে কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি।

মামলার উল্লেখিত দিন তারিখে চাকুরির সুবাদে আমি কর্মস্থল রাজশাহীতে ছিলাম। এক ভাই প্রবাসে ছিল। আইনজীবী শফিকুর রুটি পূর্ব উকিল পাড়া রেজভিয়া সুন্নীয়া জামে মসজিদের সভাপতি দাবী করে ওই মামলা করেন। অথচ ওই নামে রুটি গ্রামে কোন মসজিদ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নাই। প্রায় এক বছর মামলা চলার পর সঠিক প্রমানাদি দাখিল করতে না পারায় মামলা থেকে আমরা রেহাই পাই। এছাড়াও এই আইনজীবী আইন পেশার অপব্যবহার করে রুটি গ্রামের বাদল মিয়া, গোলাম মোস্তাফা, ওসমান গণিসহ বহু মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাদল মিয়া, ওসমান গণি, গোলাম মোস্তাফাসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা ওই আইনজীবীর হয়রানি মুলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

আইনজীবী শফিকুর রহমানের এসব হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য কসবা-আখাউড়া সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগীরা।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আইনজীবী মো. শফিকুর রহমান বলেন, শামীম সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে দেওয়ানী ও ফৌজধারী মামলা আছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।

ধরাছোয়ার বাহিরে বিএমইটিতে দুর্নীতি সিন্ডিকেটের গডফাদার এইচপি ওভারসিসের মালিক প্রবির সিকদার!

ষ্টাফ রিপোর্টার:

শত অপকর্ম করেও এখনো ধরাছোযার বাহিরে প্রবির,  অভিযোগ রযেছে প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদেরকে মাসোহারা দিয়ে তার সকল অবৈধ কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

নিয়মের প্রশাসন কর্তৃক ভয়ংকর অনিয়ম চলছে বিএমইটিতে। সক্রিয় বেশকিছু অসাধু মানবপাচার সিন্ডিকেট। দেশের মানব পাচার এসব সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে বেশ কয়েকটি রিস্ফুটিং এজেন্সি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের খোদ কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি এইচপি ওভারসিস (লাইসেন্স নাম্বার ১৩৮৮) নামে একটি রিক্রুট এজেন্সির বেশ কিছু ভুয়া ডকুমেন্টস ও জাল জালিয়াতি ধরা পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এইচপি ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী প্রবীর বণিক গেল নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ দুবাই বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য একটি ফাইল সাবমিট করেছিলেন। যেখানে ২০ টি ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নথি উপস্থাপন করেন।
উক্ত ভুয়া সার্টিফিকেটের ফাইলে স্বাক্ষর করেন বিএমইটির সহকারি পরিচালক ও উপপরিচালক। কিন্তু পরিচালকের টেবিলে গিয়ে আটকে যায় ভুয়া কাগজপত্র সংযুক্ত ফাইলটি। যাচাই বাছাই করে সকল কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত ফাইল মহাপরিচালক বাতিল করে। সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা করানোর জন্য মন্ত্রণালয় সুপারিশ প্রেরণ করেন। এছাড়া ভুয়া পাইলে সরকারি দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

উক্ত ভুয়া জালিয়াতি ফাইলে সাইন করা উপ-পরিচালক প্রতিবেদকের সঙ্গে স্বীকার করেন বিষয়টি। তিনি বলেন, ইন্টারনেট দুর্বলতার কারণে ঐদিন অনলাইনে চেক করা সম্ভব হয়নি। তাই সরল বিশ্বাসে আমি ফাইলটিতে স্বাক্ষর করি কিন্তু তারা এভাবে প্রতারণা করবেন সেটি আমার কল্পনাতেও ছিল না।

এসব জালজালিয়াতির কাগজপত্র সিন্ডিকেট ধরা পরার পর সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আর চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডকুমেন্টস জালিয়াতি করে মানব পাচারের সাথে জড়িত রিক্রুট এজেন্সির স্বত্বাধিকারী প্রবীর বনীকের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মাধ্যমে অস্বাভাবিক অবৈধ অর্থ অর্জন করে ভারতে পাচারের চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চিত একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর চিটাগাং রোডে নিয়মিত বিলাসবহুল আটতলা বাড়ি ছাড়াও ভারতে পাছারকৃত অর্থে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। তার পরিবারের অনেকেই ভারতে বসবাস করেন এবং তার সম্পদের দেখভাল করেন। এছাড়াও রাজধানীর জিনাত টাওয়রে নিজস্ব দুটি ফ্ল্যাটে দুইটি অফিস, অফিসের নিচে স্মার্ট কেয়ার সেলুন। এইচপি ওভারসিজ ব্যতীত আরও তিনটি রিক্রুট এজেন্সির মালিক রয়েছেন এই প্রবীর বণিক।এ বিষযে তাকে বার বার কল দিয়ে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি আর অফিসে গেলে সে দেখা করেননি।

চলবে…..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম