তারিখ লোড হচ্ছে...

শ্রাবণ্য তৌহিদা এবার রাঁধুনির খোঁজে

বিনোদন প্রতিবেদক॥

খেলার মাঠ, মঞ্চ কিংবা টিভি পর্দা, সব জায়গায় নান্দনিক উপস্থাপনায় দর্শক মাতিয়ে রাখেন শ্রাবণ্য তৌহিদা। এবার তিনি যুক্ত হলেন রান্না বিষয়ক দেশের সবচেয়ে বড় রিয়েলিটি শো ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৯’ উপস্থাপনায়।

‘রান্নার জগতে হয়ে উঠুন উজ্জ্বল তারকা’-এই স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এবারের আসর। সেরা রাঁধুনি বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৮টি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হয়েছে অডিশন রাউন্ড। অডিশন রাউন্ড থেকে গ্র্যান্ড ফিনালে প্রতিটি পর্বেই উপস্থাপনায় থাকছেন শ্রাবণ্য। বর্তমানে গাজীপুরে চলছে এর শুটিং।

নতুন শো প্রসঙ্গে শ্রাবণ্য বলেন, ‘রান্না যে একটা শিল্প এটা আমরা ভুলে যাই। প্রতিটি রাঁধুনি যে এক একজন শিল্পী, এটা আমাদের সমাজের মানুষের মনে রাখা উচিত। তাহলে নারীদের প্রতি সম্মানটা আরো প্রতিষ্ঠিত হবে সমাজে। তাই রাঁধুনিদের নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় কুকিং রিয়েলিটি শোতে এমন একটা আয়োজনে সঞ্চালনা করতে পারাটা আমার জন্য অনেক আনন্দের এবং গর্বের।’

এবারের প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে মঞ্চে শ্রাবণ্য পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, শেফ শুভব্রত মৈত্র ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতাকে।

রাঁধুনি অন্বেষণ ছাড়াও শ্রাবণ্য নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন চ্যানেল নাইনের ‘ট্রাভেলার স্টোরি’, মাই টিভির ‘ফোনোলাইভ স্টুডিও কনসার্ট’, মাছরাঙার ‘স্বাস্থ্য কথা’, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘আমার স্বপ্ন আমার ঘর’, এনটিভির ‘কঙ্কা সেরা পরিবার’ অনুষ্ঠানগুলো। শ্রাবণ্য জানিয়েছেন, আসন্ন বিপিএল-এর মাঠেও উপস্থাপনা নিয়ে থাকবেন তিনি। উপস্থাপনার পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

 

গাবতলীর আবাসিক হোটেল গুলো যেনো মিনি পতিতালয়

স্টাফ রিপোর্টারঃ

:রাজধানীর মিরপুর ও গাবতলীর বেশ কিছু চিহ্নিত আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ । এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে।

তবে অনুসন্ধান বলছে ভিন্নকথা, গাবতলীতে আমির,ম্যানেজার গাজী,ওসমান, মামুন, জুলহাস ও রাজিবের নিয়ন্ত্রণে হোটেল আগমন,স্বাগতম, যুমনা,হোটেল মধুমতি, হোটেল চৌধুরী, হোটেল বলাকা, হোটেল রোজ হ্যাভেন, রজনীগন্ধা আবাসিক হোটেলগুলো মিনি পতিতালয়ে দেদারসে চলছে। এছাড়াও মিরপুর ১ নম্বরের বাগদাদ,ডায়মণ্ড,টাইম স্টার,গোল্ড স্টার,শাহ আলী,প্রিন্স হোটেলসহ গোটা মিরপুরের প্রায় সবগুলিই হোটেলেই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।
এই আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভেই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।
বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতীতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুঙ্কার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ। আরও রয়েছে নামধারী সাংবাদিক, স্থানীয় নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসছে। পতিতা-দের নিয়ে রাত্রি যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সন্ত্রাসীদের। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মত কাজও চলছে।

নিয়মানুযায়ী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। এছাড়াও কয়েকটি হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বানিজ্য। এব্যাপারে দারুসসালাম থানা অফিসার ইনচার্জ ওসির মুঠোফোনে একাধিক কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম