তারিখ লোড হচ্ছে...

বেশি বাড়াবাড়ি করলে সাংবাদিক ফিরোজ’কে ধর্ষণের মামলা দিবো-মাছ সাদ্দাম

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

সাংবাদিক ফিরোজ’কে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর হুমকি সাংবাদিক সংগঠনের উদ্বেগ
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদপ্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক ফিরোজ’কে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানো হুমকি মাছ সাদ্দামের।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার শেরশাহ্ বাংলাবাজারের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় পত্রিকা “দৈনিক চট্টগ্রামের পাতার সহ-সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান” কে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম” এর বিরুদ্ধে। যার একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

গুরুত্বপূর্ণ লিংকরোডের রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ শেরশাহ্ বাংলাবাজারের চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ঢালাওভাবে সংবাদ প্রকাশ হলে অবৈধ বাজারটির সিন্ডিকেটের মূল হোতা চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম” এর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই মানববন্ধন করেন বাজারটির চাঁদা উত্তোলনকারী সংগঠনের সদস্যরা।

সংবাদগুলো দ্বায়িত্ব প্রাপ্তদের নজরে আসায় সড়কটিতে যানচলাচলের উপযোগী করতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট বাজারটি উচ্ছেদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পত্রিকার প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে চাঁদাবাজরা। এতে স্থানীয় সাংবাদিক ফিরোজ খান’কে ইঙ্গিত করে কয়েকদিন আগে “বেশি বাড়াবাড়ি করলে ধর্ষণ মামলায় দিবো” বলে চাঁদাবাজ সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম ” এর পক্ষ থেকে হুমকি প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে নিজের নিরাপত্তায় সেই চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দামের বিরুদ্ধে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাংবাদিক ফিরোজ খান। যার জিডি নং – ১৮০৩।

সাংবাদিক ফিরোজ খান বলেন, বাংলাবাজারের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় অনেক আগে থেকেই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এর আগে চাঁদাবাজরা সকলে একত্রিত হয়ে আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেছে।
এই বাংলাবাজারের চলমান অপকর্মের বিষয়ে আবারো সাংবাদপত্রে আলোচনা শুরু হলে চাঁদাবাজরা আমাকে টার্গেট করে আবারো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পাঁয়তারা শুরু করেছে। প্রকাশ্যে আমাকে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি ইতিমধ্যে থানায় নিজের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

এ বিষয়ে চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে কিছু বলতে চাননি। প্রতিবেদকে সরাসরি দেখা করার জন্য বলেন তিনি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান এবিষয়ে দ্রুত তদন্তের জন্য একজনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন বলে তদন্ত পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা হবে বলে জানান।

এদিকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় পত্রিকা “দৈনিক চট্টগ্রামের পাতার সহ-সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান” কে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক সোসাইটিসহ সাংবাদিক সংগঠন সমূহ। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সরাসরি মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকিটি সাংবাদিকতা পেশার উপরই হুমকি বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় তা নজরে রেখে প্রয়োজনপ আমাদের কর্মসূচি পালন করবো।
তথ্যমতে, বাংলাবাজার থেকে চাঁদা উত্তোলনসহ নানান অপরাধ অপকর্মে সরাসরি সম্প্রিক্ততার কারনে সাদ্সামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কল্যান সমবায় সমিতি সমিতির আড়ালে পুরো সড়ক দখল করে বসানো হয়েছে ভ্যান গাড়ির ভাসমান অবৈধ বাজার। আর এ অবৈধ ভাসমান বাজার থেকে মাসে চাঁদা তোলা হয় সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ভ্যান বসানোর শুরুতে নেয়া হয় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ভ্যানে সংযোগ দেয়া বিদ্যুতের বাল্বপ্রতি দৈনিক বিল নেয়া হয় ২০ টাকা। বাজারে ৫ শতাধিক বাল্ব রয়েছে। সেই হিসাবে মাসে ৩ লক্ষাধিক টাকার চাঁদা তোলা হয় বিদ্যুৎ খাতে। যার সাথে প্রত্যেক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম ওরপে মাছ সাদ্দাম।

ব্রাহ্মণপাড়ায় সালিশ বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মারধর শ্লীলতাহানি! ৩লাখ টাকা কাবিন ১০লাখ জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক;

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউপির অলুয়া গ্রামে সামাজিক সালিশে ইউপি চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে প্রবাসী স্বামীর পরিবারের সদস্যদের ওপর
হামলা, মারধর, শ্লীলতাহানি এবং স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরোকিয়ার পাল্টা পাল্টি অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদের সালিশ বৈঠকে গত শুক্রবার আনুমানিক সারে ৯টায় অলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রহসনের রায় আখ্যা দিয়ে আদালতে যাওয়ার সীদ্ধান্তের কথা জানালে মারধরে আহত হয়েছেন প্রবাসী আব্দুলাহ মোহাম্মদ ফয়জুর(২৭) এর পিতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আব্দুল কাদের (৫৫) তার স্ত্রী(৫০), ২ কন্যা ও ভাতিজা।

স্থানীয় এলাকাবাসী, উপস্থিত মাতুব্বর ও ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে জানা যায়, প্রায় বছর তিনেক আগে গোপালনগর গ্রামের সফিকুল ইসলামের মেয়ে আঁখি আক্তার (২১) এর সাথে পারিবারিক ভাবে একই উপজেলার অলুয়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ফাইজুরের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ২ বছর বয়সী সন্তান রয়েছে তাদের। পরোকিয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ সহ সংসারে নানা অশান্তি দেখা দেয়। স্বামী স্ত্রীর মাঝে বনিবনা না হওয়ায় পারিবারিক ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় উভয়ে। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় সামাজিক ভাবে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ খন্দকার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল, ভুট্টু ও সফিক সহ শ‌ওকত মাষ্টার, ফরিদ ভুঁইয়া ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অলুয়া গ্রামের জনৈক শাহজাহানের বাড়ির উঠানে সালিশ কার্যক্রম শুরু হয়।

সৌদি প্রবাসী ফাইজুরের পরিবারের অভিযোগ, গোপালনগর এর ইউপি সদস্যসহ বেশকিছু বহিরাগত লোকজন নিয়ে সালিশে হাজির হয় মেয়ের পরিবার। বিয়ের কাবিনে ৩ লক্ষ টাকা উল্লেখ থাকলেও আগে থেকেই ঠিক করে রাখা প্রহসনের সালিশে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা নির্ধারণ করা হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে রায়ের একটি অংশ কার্যকর করতে বলা হয়। সালিশের এ রায়ে আপত্তি জানায় ফাইজুরের পিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আঁখি আক্তারের ভাই শান্ত, চাচা রুবেল, সহ বহিরাগত ভারাটে সন্ত্রাসীরা বৈঠকে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মাতুব্বরদের সামনেই বাকবিতন্ডা ও অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠির আঘাত জ্ঞান হারান প্রবাসীর পিতা আব্দুল কাদের। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তার দুই কন্যা, স্ত্রী ও ভাতিজা দুলালও মারধরে আহত হন। ভুক্তভোগীরা আরো জানায়, এসময় প্রবাসীর ২ বোনকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। এক বোন ও মায়ের গলা থেকে দুটো চেইন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করেন তারা ।

এদিকে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আহত আব্দুল কাদের ও দুলাল কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করে। তিনি বর্তমান কুমিল্লা সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ বিষয়ে প্রবাসীর পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিন বলে জানিয়েছেন।

এসব বিষয়ে কয়েকবার চেষ্টা করেও আঁখি ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উক্ত সালিশ বৈঠকের সভাপতি মালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ সালিশে হট্টগোল ও মারামারির সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি এবিষয়ে আর কোন প্রকার সালিশ করবেন না জানিয়ে, ভুক্তভোগীদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বলে জানান।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম