তারিখ লোড হচ্ছে...

কেন ভাঙছেনা রাজউক জোন-৫/১ এর ইমারত পরিদর্শকদের সিন্ডিকেট?

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জোন-৫/১ থেকে জোন-২/১ এ ২২ সেপ্টেম্বর বদলি হওয়া অথরাইজড অফিসার মোঃ হাসানুজ্জামান জোন-৬/১ থেকে জোন-৫/১ এ এসে দুর্নীতির উদ্দেশ্যে ইমারত পরিদর্শকদের নিয়ে গড়ে তোলেন গোপন সিন্ডিকেট। জোন-৫ এর পরিচালক মোঃ হামিদুল ইসলাম দুর্নীতিতে ডুবে থাকায় এই সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে। অথরাইজড অফিসার মোঃ হাসানুজ্জামান বদলি হয়ে গেলে জোন-৫/১ এর ০৫ ইমারত পরিদর্শকদের নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেট এর নেতৃত্বে বর্তমানে আছেন প্রধান ইমারত পরিদর্শক মোঃ সাব্বির আহমেদ। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন ইমারত পরিদর্শক মো: তুহিন রেজা, মো: আমিনুল ইসলাম, আবদুল ছাত্তার, উজ্জ্বল চন্দ্র দেব, মোঃ মেহরাব হোসেন, মোঃ রহমত উল্লাহ।

জোন-৫ এর তিনটি সাব-জোনের মধ্যে একটি হল ৫/১, যার আওতায় রয়েছে মহাখালি বাস স্টপ- সাব-জোন ৩/২ এর দক্ষিন সীমানা সাব-জোন ৩/৩ এর দক্ষিন সীমানা ঢাকা জেলা সীমানা- কালিগঙ্গা নদী-ধলেশ্বরী নদী- চুনার চর ঘাট- ইটাখোলা ব্রিজ- ইসলামবাগ রোড- বুড়িগঙ্গা নদী- বসিলা ব্রিজ- বসিলা রোড- আসাদ এভিনিউ- মিরপুর রোড-মানিক মিয়া এভিনিউ- খামার বাড়ি রোড- কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ- তেজতুরী বাজার এভিনিউ- ঢাকা এলিভার্টেড এক্সপ্রেসওয়ে-তেজগাঁও রেললাইন- মহাখালি বাস টার্মিনাল।

এই এরিয়ার মধ্যে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা। মোহাম্মদপুর হাউজিং, মোহাম্মদপুর সোসাইটি, বসিলা গার্ডেন সিটি, জাপান গার্ডেন সিটি, ঢাকা উদ্যান, চাদ উদ্যান সহ একাধিক আবাসিক এলাকায় সরকারি খাস জমি দখল, প্লান বহির্ভূত অনুমোদনহীন অবৈধ ভবন থেকে বিভিন্নভাবে অর্থ আদায় করছে এই সিন্ডিকেট।

এই সিন্ডিকেট নিয়ে সদ্য জোন-৫/১ এ দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরাইজড অফিসার সাঈদা ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সদ্য যোগদান করার ফলে এখনো সব বুঝে নিতে পারিনি। আশাকরি দ্রুত সকল দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করবো। তিনি আরও বলেন, আপনি যে প্রশ্ন করেছেন সেই বিষয়ে উত্তর দিতে গেলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার থেকে অনুমতি নিতে হবে।

বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন ডা. সাবরিনা…

স্টাফ রিপোর্টারঃ

৮ বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন ডা. সাবরিনা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা ডা.সাবরিনা শারমিন আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জানা গেছে মাত্র মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছর বয়েসে এমবিবিএস পাস করেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দাখিলকৃত চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী ডা.সাবরিনার প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৬ সাল। দ্বিতীয় এনআইডিতে জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৮৩ সাল। ১৯৯১ সালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন।
চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। সাবরিনা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ১৪ ধারা অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও ১৫ ধারা অনুসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অপরাধসহ পেনাল কোডের ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। তবে ২০২১ সালের ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম