তারিখ লোড হচ্ছে...

ইউএন মিশন থেকে ফিরছে পুলিশের একটি কন্টিনজেন্ট

ডেস্ক রিপোর্ট:

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের একটি কন্টিনজেন্ট দেশে ফেরত আসছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের প্রত্যাবর্তনের কথা হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বাজেট স্বল্পতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র বলছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইউএন–অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছি। মিশনের বাজেট ঘাটতির কারণে একটি কন্টিনজেন্ট ফেরত আসবে। বাজেট সমস্যার দূর হলে আবার হয়তো কঙ্গো বা অন্য কোনো দেশে প্রয়োজন হলে নতুন কন্টিনজেন্টকে ডাকা হবে।

৭৫ নারী পুলিশসহ ১৮০ সদস্যের ওই কন্টিনজেন্ট ২৬ আগস্ট কঙ্গোতে পৌঁছায়। প্রশিক্ষণ শেষে তারা ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু করে। তারা কঙ্গোর কিংশাসায় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বুধবার থেকে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ আছে। ২০০৫ সাল থেকে কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করে আসছে পুলিশ কন্টিনজেন্ট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কঙ্গো ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশ পুলিশের আর কোনো কন্টিনজেন্ট জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নেই। কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকারী ক্যামেরুন, সেনেগাল ও মিশরের মতো দেশের কন্টিনজেন্টও আংশিকভাবে কমানো হবে। তবে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট পুরোপুরি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।আরেকটি সূত্র জানায়, ২০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টকে ফেরত পাঠানোর কথা হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক সদস্য হয়ত আরও কিছু দিন সেখানে অবস্থান করে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। সরঞ্জাম ফেরত আনতে তা গোছানোর কাজটি করবেন তারা। ফেরত পাঠানোর সময় না বাড়লে অধিকাংশ সদস্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত আসবেন।সম্প্রতি রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে উঠে আসে, আগামী কয়েক মাসে বিশ্বব্যাপী নয়টি মিশন থেকে অন্তত ২৫ শতাংশ শান্তিরক্ষী কমাবে জাতিসংঘ। এমন সিদ্ধান্তের মূল কারণ অর্থের ঘাটতি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ তহবিলের অনিশ্চয়তা। এর কারণে ১৩ থেকে ১৪ হাজার সৈন্য ও পুলিশ এবং উল্লেখযোগ্য বেসামরিক কর্মী এই ছাঁটাইয়ের আওতায় আসবেন।জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র মিশনের প্রায় ২৬ শতাংশ তহবিলের যোগান তারা দেয়। তাদের পর রয়েছে চীন, দেশটি তহবিলের প্রায় ২৪ শতাংশ দেয়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সঙ্গে  কাজ করছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। শান্তিরক্ষী পাঠানোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ হিসেবে নেপাল শীর্ষে। দ্বিতীয় অবস্থানে রুয়ান্ডা। ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। পুলিশের প্রথম মিশন ছিল নামিবিয়ায়। ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২১ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা বিশ্বজুড়ে ২৪টি দেশে ২৬টি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান ও মধ্য আফ্রিকা। বর্তমানে দক্ষিণ সুদান ও মধ্য আফ্রিকায় আইপিও সদস্য হিসেবে কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন।

কে হচ্ছেন সংসদ উপনেতা

স্টাফ রিপোর্টা্র॥
জাতীয় সংসদের উপনেতা পদে মনোনয়ন চূড়ান্ত হতে পারে আজ। একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা যাওয়ায় পদটি ফাঁকা রয়েছে। এই পদটিতে কে আসছেন সেটি আজই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধান দল আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের ষষ্ঠ সভা আজ। রাত ৮টায় জাতীয় সংসদের সরকারি দলের সভা কক্ষে এই সভা হবে। এতে সংসদীয় দলের নেতা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সব সদস্য অংশ নেবেন।
জানা গেছে, এই বৈঠক থেকেই সংসদ উপনেতার নাম প্রস্তাব করা হতে পারে। সংসদের বিধান বলছে, সংসদ উপনেতা পদের জন্য কোনো ভোটাভুটি দরকার হয় না। সংসদ নেতা তার মতটি স্পিকারকে জানান।

এখানে সংসদীয় দলের সদস্যদের মত নিয়ে সংসদ নেতা যে নামটি প্রস্থাব করবেন স্পিকার সেটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠাবেন। এই পদের জন্য কোনো শপথ নেওয়ার দরকার হয় না। তবে সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সংসদীয় আইন অনুযায়ী সংসদ উপনেতা নিয়োগে বাধ্যবাধকতা নেই। বিএনপি তাদের সময়ে এ পদে কাউকে মনোনীত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই তাদের সিনিয়র কোনো নেতাকে দিয়ে এ পদটি অলঙ্কৃত করেছে।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমে জিল্লুর রহমানকে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। তিনি ৯৬ আমলেও দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি শপথ নেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। সংসদ উপনেতা হন সাজেদা চৌধুরী। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় তিনি ছিলেন সংসদ উপনেতা। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হয় পদটি।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে সংসদ উপনেতার পদে কাকে মনোনীত করা যায় এ নিয়ে নেতাদের মত চাইতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর দিকে সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দিতে পারেন।

সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকেই জানা আলোচনা চলছিল তার উত্তরসূরী নির্বাচন নিয়ে। সাধারণত দলের প্রবীণ নেতাদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হয় এই পদে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রমুখ।

গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপনেতা পদে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে বিষয়ে মত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একজন নারীকেই সংসদ উপনেতা করব।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সবাই ধরে নেয় যে, সংসদ উপনেতা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী তার মত পরিবর্তন করলে অন্যদের ভাগ্য খুলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে শেখ হাসিনার ওপর।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম