তারিখ লোড হচ্ছে...

আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের

ডেস্ক রিপোর্ট :

গতকাল রোববার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির তথ্য জানানো হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে।রাজধানীতে আমরণ অনশনে বসা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা হারে বাড়াতে সম্মত হয়েছে সরকার। তবে সরকারের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অনশনে থাকা শিক্ষকরা আজ সোমবার থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন।

চিঠিতে বলা হয়  সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) করা হলো। এ আদেশ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে, তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত যুক্ত করে চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বাড়ি ভাড়া ভাতা পরবর্তী সময়ে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সমন্বয় করতে হবে। ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। এ ক্ষেত্রে সব আর্থিক বিধিবিধান অবশ্যই পালন করতে হবে। এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যায়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবে।জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের উপসচিব মিতু মরিয়ম সমকালকে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেটি বিবেচনা করে একটি সম্মতিপত্র পাঠিয়েছি আমরা।

এদিকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির আদেশকে আন্দোলনের  প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছেন আন্দোলনে থাকা শিক্ষকরা। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী গতকাল সমকালকে বলেন, ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত সব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।তিনি জানান অনশনে থাকা শিক্ষকরা সোমবার থেকে আমরণ অনশনে যাবেন। এ ছাড়া আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকরা সমাবেশ করবেন।

 

ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ইবির ৫ ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার॥
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)-এর নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আজ বেলা ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত উপাচার্যের দপ্তরে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম। সভা থেকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা (সেশন: ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০-২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। বাকিরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ তার সহযোগীরা।

ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। গত পহেলা মার্চ জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যে তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ও হলের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। তারা চারজনই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম