তারিখ লোড হচ্ছে...

সড়ক নিরাপত্তা আইন দ্রুত প্রণয়নের দাবি

ডেক্স রিপোর্ট

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ দ্রুত প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তরুণরা।  বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সামনের সড়কে জাতীয় প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে এই দাবি জানান আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সদস্যরা।তরুণদের মতে, সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী হলো তরুণরা, আর তরুণদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ রোড ক্রশ।

এ বছর নবমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত জাতীয় দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তরুণ প্রতিনিধিরা বলেন, সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’ অনুসরণ করে নিরাপদ সড়কসংক্রান্ত আইন প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।

তারা আরও উল্লেখ করেন, এ বছরের শুরুর দিকে মরক্কোতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে-২০২৭ সালের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, ২০২৬ সালের মধ্যে গতিসীমা ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা এবং মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের গাইডলাইন তৈরি করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং-এর তরুণরা।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বেশিরভাগই মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট। দুর্ঘটনার প্রায় ৪৩ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, যার প্রধান কারণ বেপরোয়া গতি। অন্যদিকে, চালকের অসচেতনতা ও গতি নিয়ন্ত্রণের অভাবে প্রায় ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে।তাই এবারের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে তরুণরা বলেন, সড়ক নিরাপত্তা আইন দ্রুত প্রণয়ন ও গতিসীমা ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।

বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

স্টাফ রিপোর্টার:

বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা।

রাজধানী শহরটির বায়ুমানের স্কোর এখন ১৯৪, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়।

সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূচকে এখন ১৯৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি, শহরটির স্কোর ১৭০। এই দুটি শহরের বায়ুমান ‘অস্বাস্থ্যকর’।

তালিকায় এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, স্কোর ১৪৮; পঞ্চম স্থানে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, স্কোর ১৪৭; ষষ্ঠ বাহরাইনের রাজধানী মানামা, স্কোর ১৩২; সপ্তম স্থানে সেনেগালের রাজধানী শহর ডাকার, স্কোর ১২৯; অষ্টম পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১২৬; নবম আমিরাতের দুবাই, স্কোর ১১০; দশম স্থানে রয়েছে কুয়েত সিটি, শহরটির স্কোর ১০৬।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার প্রতিদিনই বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোরের মাধ্যমে এর মান পর্যবেক্ষণ করা হয়।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয়, ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০০-এর বেশি হলে তা বিপজ্জনক বলে ধরা হয়।

language Change
সংবাদ শিরোনাম