তারিখ লোড হচ্ছে...

যমুনা অয়েলে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছে একাধিক দুনীতিবাজ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
সম্প্রতি যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা ডিপোতে পৌনে চার লাখ লিটার ডিজেল গায়েব হয়েছে৷ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে চার দফা । ইতিমধ্যে সকল তদন্ত কমিটির মেয়াদের সময়সীমা পার হয়ে গেছে, তবে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সবকটি কমিটিই। তেল চুরির এই মহা জালিয়াতর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা ডিপোর ইনচার্জ মোহাম্মদ আসলাম খান আবু উলায়ী ও এজিএম অপারেশন ( ডিপো) শেখ জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে । তদন্তের স্বার্থে এই দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের দাবি তুলেছে যমুনা অয়েলের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা । তবে মজার বিষয় হচ্ছে বরখাস্ত নয় বরং এই দুজনকে পদোন্নতি দেয়ার ব্যবস্থা করছে প্রতিষ্ঠানটি জিএম এইচ আর মাসুদুল ইসলাম।
যমুনা সুত্রে জানা গেছে আজ ২৩ অক্টোবর বিকাল পাঁচটা১৫ মিনিটে ঢাকা লিয়াজো অফিসে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সম্পর্কিত একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পদোন্নতির তালিকায় মোহাম্মদ আসলাম খান ও শেখ জাহিদ আহমেদের নামের প্রস্তাবও ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে । জানা গেছে জিএম এইচ আর মাসুদুল ইসলাম মাস তিনেক পর প্রতিষ্ঠানটির এমডি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে৷ তারই ধারাবাহিকতায় তার পছন্দের লোকজনকে পদোন্নতি দিতে ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। আসলাম খান আবু উলায়ী ও শেখ জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা ডিপোর তেল চুরির ঘটনা ছাড়াও অনিয়ম ও অভিযোগের শেষ নেই । তাদের পদোন্নতির আগাম খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যমুনা অয়েলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ।
শোখ জাহিদ আহমেদ এজিএম অপারেশন ডিপো ( সকল ডিপো গুলোর ইনচার্জ)। ফতুল্লা ডিপোতে ডিজেল গায়েব হওয়ার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি কোন ভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেনা। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই তার পদোন্নতির বিষয়টি, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা বলে মনে করছে অনেকই। জানা গেছে সেনাবাহিনী হতে চাকুরীচ্যুত জাহিদ আহমেদকে প্রতিষ্ঠানটিতেও চাকরি দেয়া হয়েছে অবৈধ ভাবে। ২০১১ সালের ফ্যাসিস্ট সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সুপারিশে টার্মিনাল সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসাবে তিনি যোগদান করেন। ২০১৪ সালে টার্মিনাল এ ১১ নং ষ্টোরেজ ট্যাংকে আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত কমিটি জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পায়। স্থগিত করা হয় দুই বছরের জন্য তার ইনক্রিমেন্ট। পরবর্তীতে তাকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উল্টো পদায়ন করা হয় রাজশাহী ডিপোর বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে। সিকিউরিটি ইনচার্জ থেকে বিক্রয় কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠানটির নিয়মে নেই, কিন্তু শেখ জাহিদ আহমেদের বেলায়, সেটাই হয়েছে । এখানেই থেমে নেই, পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে নাটোর, ফতুল্লার মতো গুরুত্বপূর্ণ ডিপো ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে৷ ফতুল্লা থাকাকালীন সময়ে শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমীর ওসমানের ডানহাত হিসাবে পরিচিতি পায় এই শেখ জাহিদ আহমেদ । এমন কোন অপকর্ম নেই, ফতুল্লা ডিপোতে তিনি করে যায়নি৷ তার দায়িত্ব থাকাকালীন তেল চুরির মহা উৎস চলেছে, ফতুল্লা ডিপোতে। যা বর্তমানেও বলবৎ আছে । এদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান চিকিৎসক ডা: উত্তম বড়ুয়া কর্তৃক একাধিকবার তাকে মানষিক ভাবে অপ্রতিষম্য ( মেন্টালি ডিস অর্ডার) প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কিনে জামাতের আখড়া তৈরির চেষ্টা সুহানের!

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রিভেরি পাওয়ার অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক সোহানের বিরুদ্ধে পারিবারিক প্রতারণা, ব্যবসায়িক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে এক সোহানের হাতেই জিম্মি হয়ে আছে বিদ্যুৎ সেক্টর। বাংলাদেশে বিদ্যুতের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, পিডিবি, পল্লী বিদ্যুৎ, পিজিসিবি, ওজোপাডিকোসহ প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সাপ্লাই ও ঠিকাদারী ক্ষেত্রে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে সোহানের মালিকানাধীন রিভেরী পাওয়ার অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।

একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজেশে নিম্নমানের সামগ্রী দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে সরবরাহ করে এরই মধ্যে এ সেক্টরের বারোটা বাজিয়েছে রিভেরী পাওয়ার। তাদের সরবরাহকৃত সাবস্টেশন, ট্রান্সফরমারসহ নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি নির্ধারিত সময়ের আগেই বিকল হয়ে পড়ছে।

যার প্রভাব পড়ছে দেশের বিদ্যুৎ সেক্টরে। মূলত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের লাগামহীন দুর্নীতির কারনেই প্রধানমন্ত্রীর শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

বৈদ্যুতিক সেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে রিভেরি পাওয়ারের দুর্নীতির নানা তথ্য। মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মকর্তাদের উচ্চবেতনে নিয়োগ নিয়ে তাদেরকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার ও পিডিদের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এক্ষেত্রে কমিশন বাণিজ্য থেকে শুরু করে ব্ল্যাকমেইলিং পর্যন্ত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে কাউকে কাউকে সুন্দরী মেয়ের ফাঁদে ফেলেও কাজ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব কারনে দুর্বল কোম্পানি ও মানহীন পণ্য ও ওভারপ্রাইসড হওয়া স্বত্বেও বারবার কাজ পাচ্ছে রিভেরী।

ফলে একদিকে আরিফুল হক সোহান যেমন হয়ে ওঠছেন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাষ্ট্র।সম্প্রতি ডিপিডিসি ও পিজিসিবির দুই অসাধু কমকর্তাদের হাতে নিয়ে রাসটের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের একটি নিল নকশা একেছেন সোহান। একে একে আমরা সোহানের সাথে জড়িত অসাধু বিদ্যুৎ খাতের সিন্ডিকেটের নাম প্রকাশ করবো। সোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি জামাতের অর্থায়নে নিয়মবহির্ভুতভাবে স্কলারস ইউনিভার্সিটি নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিনে নিয়েছেন।

সাড়ে আট একর জমিসহ কিনে নেয়া দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স এর ভাইস চেয়ারম্যান সোহান। অভিযোগ রয়েছে ইসলামী শিক্ষার নামে বিশ্ববিদ্যালয়টি জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। আধুনিকতার লেবাসে মূলত জামায়াতী এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সোহান। শুধু তাই নয়, রিভেরি পাওয়ারের ব্যবসার আড়ালে মূলত জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দেশের বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রিভেরী স্কুল নামে আরো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন সুহান। এই রিভেরী স্কুলের মালিকানায় সুহান থাকলেও এর অর্থায়ন জামাতের মাধ্যমে হয়েছে।

এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সুহান স্বীকার না করলেও রিভেরী স্কুলের স্টুডেন্টের প্যারেন্টসরা জানিয়েছেন,কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের আড়ালে উগ্র ইসলামী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। সুহান পারিবারিকভাবে জামায়াতপন্থী পরিবারের সদস্য। সুহানের বাবা এমদাদুল হক গোলাম আজমের ঘনিষ্ট বন্ধু। এমনকি মগবাজার কাজী অফিস লেনে গোলাম আজমের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের মসজিদ কমিটি নিয়ন্ত্রণ করেন সুহানের বাবা এবং সুহান। অথচ গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে শুধুমাত্র বিদ্যৎ খাত থেকে লোপাট করেছে কয়েকশো কোটি টাকা।….চলবে…

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম