তারিখ লোড হচ্ছে...

জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে তরুণ নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট :

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাত ৩টা ৪০ মিনিটে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।নিহত তরুণের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভোরে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। সে সময়ে জাহিদ বাসা থেকে বাইরে বের হন। তখন একটি ককটেল এসে তার মাথায় পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। গুরুতর অবস্থায় জাহিদকে প্রথমে স্থানীয় ট্রমা সেন্টারে নেওয়া হয়েছিল। পরে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। পরীক্ষা করে ভোর সাড়ে চারটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহতের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জাহিদ জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। রাজধানীর কল্যাণপুরে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি।

 

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মোশাররফ হোসেন নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে অস্ত্রোপাচারের সময় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে স্বজনরা।

নিহতের স্বজনরা জানান, বুকে ব্যথ্যা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে গ্রীণ লাইফ হাসপাতালে ডাক্তার দেখান মোশাররফ। পরে শনিবার অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অস্ত্রোপাচারের আগে মুহূর্তেও সুস্থ ছিলেন তিনি। তবে অস্ত্রোপাচার শেষে মোশাররফের নিথর দেহ বের করে আনা হয়।

তারা আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মোশাররফের মৃত্যু হলেও রাত সাড়ে ৯টা বাজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর খবর জানায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ টাকা ও চাকরির প্রলোভন দেখায় বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা।

নিহতের ছেলে আতিকুর রহমান লিটু বলেন, অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলমের অধীনে আমার বাবার অপারেশন হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তার সহকারীরা বাবার অপারেশন করেছে।

নিহতের মেয়ে ফারজানা আক্তার বলেন, অস্ত্রোপাচার শুরু হওয়ার অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম থিয়াটারে আসেননি।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসার অবহেলায় মোশাররফের মৃত্যু হয়নি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই তার অপারেশন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রীন লাইফ হাসপাতালের গাফিলতি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সবা:স:জু- ৪৬৭/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম