তারিখ লোড হচ্ছে...

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিয়বাংলার সাংবাদিক বিল্লাল মাহমুদ আহত

মো. শাহীনউজ্জামান

রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল সড়কে উল্টোপথ দিয়ে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেল আরোহী সাংবাদিক ও অভিনেতা বিল্লাল মাহমুদ (২৮) গুরুতর আহত হয়েছেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল সড়কের ২নং সেতুর ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বিল্লাল কে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আহত বিল্লাল ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণের সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রিয়বাংলা নিউজ ২৪ এবং সাপ্তাহিক প্রিয়বাংলা পত্রিকায় কর্মরত। এছাড়াও তিনি ছোট ও বড় পর্দার একজন অভিনেতা। রাজধানীর মিরপুর-১১ তে থাকেন তিনি।

দুর্ঘটনার কথা বর্ণনা দিয়ে আহত বিল্লাল প্রিয়বাংলা নিউজ ২৪ কে জানান, সকালে মোটর সাইকেল চালিয়ে ওই সড়ক দিয়ে তিনি মগবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। হাতিরঝিলের ২নং সেতুর ঢাল দিয়ে নামার সময় ওয়ান ওয়ের সড়কের উল্টো দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে তার মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে তিনি উড়ে গিয়ে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

তিনি আরও জানান, মনে হচ্ছে মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এলাম। দুর্ঘটনায় আমার ডান হাত ভেঙে গেছে। বাম হাতেরও একটি আঙ্গুল ভেঙে গেছে। নাকমুখ ও ঠোঁট কেটেছে। এছাড়াও মাথায় আঘাত সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জখম হয়েছে, কেটেছে ও ছিলেছে।

ডাক্তার আপাতত দুইহাত প্লাস্টার (ব্যান্ডেজ) করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে অপারেশন লাগতে পারে বলে ডাক্তারের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন বিল্লাল।

এ দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে প্রাইভেটকারের চালক সহ গাড়িতে থাকা সকলে তাদের গাড়িটি দুর্ঘটনাস্থলে রেখেই পালিয়ে গেছেন। সংবাদ পেয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রাইভেট-কারটির মালিকপক্ষের কেউ থানায় আসেনি বা আহতের কোনো খোঁজ খবর নেয়নি বলে জানা গেছে।

সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিআরজেএ

স্টাফ রিপোর্টার:

গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, খুলনায় একজন সাংবাদিক হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ)।
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিআরজেএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে। গত ৩১ আগষ্ট রবিবার খুলনায় একজন সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাসহ এসব হামলা মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন আঘাত।
নেতৃবৃন্দ খুলনায় ওয়াহিদুজ্জামান বুলু হত্যাসহ বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম বিরোধী যে কোনো অপতৎপরতা রুখতে সাংবাদিক সমাজ বদ্ধপরিকর।
তারা বলেন, অতীতেও কোনো ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশ থেকে নিবৃত করতে পারেনি। সুতরাং আগামীতেও কোনো অপশক্তির কাছে সাংবাদিকরা আত্মসমর্পণ করবে না।
নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা রোধ করতে না পারলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারও সংকটের দিকে ধাবিত হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ৩১ আগষ্ট খুলনায় একজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা, এর আগে ২৭ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশের নির্মম নির্যাতনে আহত হন বাংলা ভিশনের কেফায়েত শাকিল, দ্য নিউ নেশন -এর নোমান মোশাররফ ও সৈয়দ শিমুল পারভেজ, সপ্তমী মণ্ডল ঋতু এবং খোলা বাজারের রোজিনা বেগম।
এছাড়া শুক্রবার (২৯ আগস্ট) কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গুরুতর আহত হন বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাইমুর রহমান দুর্জয়। শনিবার (৩০ আগস্ট) মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পেছনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ডিবিসির রেদওয়ানুল হক এবং দৈনিক কালবেলার এ জেড ভূঁইয়া আনাস।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম