তারিখ লোড হচ্ছে...

রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন হালান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক॥
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন আর্লিং হালান্ড। প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারে রোনালদো তিনটি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। আর্লিং হালান্ড কয়েক মাসের মধ্যেই সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সকে রবিবার ৩-০ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি। তিনটি গোলই করেন হালান্ড। প্রিমিয়ার লিগে যা তার চতুর্থ হ্যাটট্রিক।

গত কয়েক ম্যাচ ধরেই সমালোচনার শিকার হচ্ছিলেন হালান্ড ও তার দল সিটি। পেপ গার্দিওলার দল যেন তারই জবাব দিল এ ম্যাচে। একই সঙ্গে অস্বস্তিও কিছুটা কমল তাদের।

গত ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ০-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতেছিল সিটি। যদিও প্রথমার্ধে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স হতাশ করেছিল সমর্থকদেরও। উলভসের বিরুদ্ধেও পরিস্থিতি সেদিকেই গড়াচ্ছিল। অবশেষে ৪০ মিনিটে গোলের মুখ খোলে ম্যান সিটি। সৌজন্যে হালান্ড। ১-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যান সিটি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে ম্যান সিটি। ৫০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোর লাইন ২-০ করেন হালান্ড। ৪ মিনিটের মধ্যেই হ্য়াটট্রিক পূর্ণ করেন। সব মিলিয়ে ১৪ মিনিটেই খেলার রং বদলে দেন হালান্ড।

এ বারের প্রিমিয়ার লিগে ইতিমধ্যেই হালান্ডের নামের পাশে ২৫ গোল। সেটিও রেকর্ড। ২০১৮-১৯ থেকে প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বাধিক গোল করেছেন যারা, তাদের গোলসংখ্যা ২৩টি করে। হালান্ড মাত্র ১৯ ম্যাচেই সেই সংখ্যা পেরিয়ে অনেকটা এগিয়ে গেলেন। যে গতিতে এগোচ্ছেন তাতে প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বাধিক গোলের রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারেন হালান্ড।

লাথি মেরে টাকা ছিনতাই”–সেই “এসআই মাহাবুব” ক্লোজড!

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রামঃ

আসামি ধরতে গিয়ে না পেয়ে স্ত্রীকে লাতি মারা ও তল্লাশির নামে দেড় লাখ টাকা জব্দ করার অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই মাহাবুব মোরশেদকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার রাতে এ প্রত্যাহার আদেশ হয় বলে সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম।
এর আগে রোববার খালেদা আক্তার নামের এক গৃহিণী পুলিশ সুপার বরাবর এসআই মাহবুব মোর্শেদের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ আনেন। লিখিত অভিযোগে খালেদা আক্তার উল্লেখ করেন, শনিবার দুপুর আড়াইটায় এস আই মাহাবুব মোরশেদ ৫জন পুলিশ কন্সটেবলসহ খালেদা আক্তারের স্বামী পরোয়ানাভূক্ত আসামি নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে যান। তাকে না পেয়ে এস আই মাহবুব আলমারির চাবি দিতে বলেন। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রি করা দেড় লাখ টাকা ও ছেলে রিয়াজ উদ্দিন হৃদয়ের স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট জব্দ করে নিয়ে যায়।

পর দিন রোববার খালেদা আক্তার ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। অভিযোগ পত্র গ্রহণ করার পর কপি সীতাকুণ্ড সার্কেল অফিসে জমা দিতে বলা হয়। জমা দিতে গেলে থানা থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। তবে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

যদিও অভিযুক্ত এসআই মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আপনারা ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখতে পারেন। পরোয়ানাভূক্ত আসামি ধরতে গিয়ে এরকম ষড়যন্ত্রের শিকার হলে চাকরি করা যাবেনা।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম