তারিখ লোড হচ্ছে...

রংপুরে মাকে হত্যার দায়ে পুত্রের মৃত্যুদণ্ড

আলাউদ্দিন কবির, রংপুর প্রতিনিধিঃ

পারিবারিক কলহের জেরে নিজ মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে পুত্র জামিল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন রংপুরের আদালত।

 

আজ (মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৫) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার নাজিদহ এলাকায় পারিবারিক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে জামিল মিয়া তার মা জামিলা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নির্মমভাবে মাকে হত্যার পর ঘাতক পুত্র জামিল তার নিজ ঘরের মধ্যেই মায়ের লাশ পুঁতে রাখে। এই বর্বরোচিত ঘটনায় নিহত জামিলা বেগমের ভাই ছামসুল হক বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফতাব উদ্দিন রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এমন জঘন্য ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত

এনামুল, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

আজ দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ০৯ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ভুঁইয়ার নেতৃত্বে হানাদার মুক্ত হয় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা। দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৯ ডিসেম্বর ) সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে বিজয় চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক চিশতি।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন সরকার, দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হালিম, দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম, যুদ্বকালীন কম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ভুঁইয়া, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার স্বদেশ চন্দ্র রায়,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ.স.ম নুরুজ্জামান প্রমুখ।

এছাড়া উপজেলার সকল জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডারে সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

দেবীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের আহ্বাহয়ক দীপঙ্কর রায় মিঠুর সঞ্চালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং অতিথিবৃন্দ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেবীগঞ্জে প্রেক্ষাপট এবং দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবসের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দেবীগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মুক্তিযোদ্ধারা দেবীগঞ্জ সদরের তিন দিক থেকে করতোয়া নদীর পশ্চিম পাড়, ভাজনী ও গোপাল বৈরাগী ঘাট এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ঘেরাও করে রাখেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাত মাস পর ৯ ডিসেম্বর ভোর ৬ টা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে পাকবাহিনীরা দেবীগঞ্জ থেকে পিছু হটে ডোমার হয়ে সৈয়দপুরের দিকে রওনা হয়। সেদিন বিকাল ৪টায় দেবীগঞ্জ আনসার ক্লাবের সামনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দেবীগঞ্জ হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন দেবীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল আলম প্রধান।

language Change
সংবাদ শিরোনাম