তারিখ লোড হচ্ছে...

গাজায় ইসরায়েলি হামালায় সমর্থনে ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় কমপক্ষে ৬৩ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে ২৪ জন শিশুও রয়েছে। চিকিৎসা সূত্রের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শক্তিশালী হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর গাজায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পরে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এর পরেই নেতানিয়াহু হামলার নির্দেশ দেন।

এদিকে জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন,আমি বুঝতে পেরেছি,তারা একজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে। তাই ইসরায়েলিরা পাল্টা আক্রমণ করেছে এবং তাদের পাল্টা আক্রমণ করা উচিত। যখন এমন কিছু ঘটে,তখন তাদের পাল্টা আক্রমণ করা উচিত।ট্রাম্প আরও বলেন,কোনো কিছুই যুদ্ধবিরতিকে বিঘ্নিত করতে পারবে না। আপনাদের বুঝতে হবে হামাস মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির একটি খুব ছোট অংশ এবং তাদের ভালো আচরণ করতে হবে।

তবে হামাস দক্ষিণ গাজার রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং এক বিবৃতিতে বলেছে,তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ট্রাম্প বলেন,যদি তারা (হামাস) ভালো হয়,তাহলে আমরা খুশি হব এবং যদি তারা ভালো না হয়,তাহলে তাদের জীবন শেষ করে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন,কেউ জানে না নিহত ইসরায়েলি সেনার কী হয়েছিল,কিন্তু তারা (ইসরায়েল) বলেছে,স্নাইপারের গুলিতে মারা গেছে। গাজায় হামলা ছিল এর প্রতিশোধ এবং আমি মনে করি,তাদের ইসরায়েলের হামলা করার অধিকার আছে।

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় আরও ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৪৪ জন নিহত এবং আরও ৭৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৭০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।

এ ছাড়া দখলদারদের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

 

সবা:স:জু-২৫২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম