তারিখ লোড হচ্ছে...

সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে,চেষ্টায় বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

দুপুরের রোদের তাপে তখনো গা পুড়ছে। এর মধ্যেও সাগরিকা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐচ্ছিক অনুশীলনে দেখা গেল বাড়তি আগ্রহ। মাঠের কোথাও ছয় ক্রিকেটারের অনুশীলনে হাসিঠাট্টা,কোথাও স্কিল ঝালিয়ে নেওয়ার কাজে সিরিয়াসনেস। আজ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সফরকারীরা যে খোশমেজাজে আছেন,সেটাই বোঝা গেল ঘণ্টা দুয়েকের অনুশীলনে।

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিতে যাওয়ার পর অবশ্য এটাই হওয়ার কথা। মাঝে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া সিরিজটা বাদ দিলে টানা সাত সিরিজে হেরেছে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন টি-টোয়েন্টির সেই খরা কাটিয়ে ওঠার দ্বারপ্রান্তে ক্যারিবীয়রা। অনুশীলনে সে কারণেই আনন্দের সঙ্গে থেকেছে সিরিয়াসনেসও।

অন্যদিকে সর্বশেষ চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজেই জিতেছে বাংলাদেশ দল। এবার হার দিয়ে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও সে ধারা ধরে রাখতে চাইলে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ না জিতলেই নয়। হেরে গেলে সিরিজ হেরে যেতে হবে আজই।

২০২৫ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টির জেতার রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ দল। অথচ এ বছর খেলা ২৫ টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের গড় স্ট্রাইক রেট ১১৯.৮৩। টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের তুলনায়ই তা কম। আর এটাই দলটার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ও দুশ্চিন্তার জায়গা। এ বছর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে মাত্র দুটি ফিফটি পেরোনো ইনিংস পেয়েছে বাংলাদেশ। ২৩ ম্যাচ খেলে জাকের আলী একটি ও ১৯ ম্যাচ খেলা তাওহিদ হৃদয় পেয়েছেন আরেকটি।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আজ এটাও একটা পরীক্ষা বাংলাদেশের। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দুশ্চিন্তার কথাটা পরশু সংবাদ সম্মেলনে বলে গেছেন তানজিম হাসানও। সমাধানটা কী,তা অবশ্য বলে যেতে পারেননি। মিডল অর্ডারের সংকট কাটাতে প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশে সুযোগ পাওয়াদের বাইরে যে বাংলাদেশের খুব বেশি বিকল্প আছে, তাও নয়।

বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জয়

স্টাফ রিপোর্টার: 

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ১৫ বছর পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে টেস্ট জয়লাভ করেছে, যা সত্যিই একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের জন্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে এবং দলের উন্নতির একটি বড় চিত্র প্রকাশ করে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয় অর্জনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অদম্য আত্মবিশ্বাস এবং কার্যকরী কৌশলের পরিচয় পাওয়া যায়।

এবার হার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। অবশেষে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১০১ রানের ব্যবধানে বড় জয়। এতে সিরিজ শেষ করেছে ১-১ সমতায় টাইগার বাহিনী।

 

প্রথম টেস্টে বড় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন টােইগার অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। কিন্তু জ্যামাইকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।

 

জবাবে নাহিদ রানার ৫ উইকেট শিকারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট হয়েছে টাইগাররা। দলের হয়ে একাই লড়াই করেছেন জাকের আলি।

 

তবে ৯ রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। তার দৃঢ়তায় ২৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭ রানের। ৫ ছক্কা ও ৮ চারে ৯১ রান করেন জাকের। এছাড়া সাদমান ৪৬ ও মিরাজ ৪২ রান যোগ করেন।

 

২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তাইজুল ও তাসকিন আহমেদ। মিকাইল লুইস ৬ ও কাসি কার্টি ১৪ রান করে আউট হন। তবে কেভাম হজ ও ক্রেইগ ব্রাফেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এই দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাইজুল। ব্রাফেট ৪৩ ও হজ ৫৫ রান করে আউট হন।

 

তাদের বিদায়ের পর আর কেউ থিতু হতে পারেনি। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ১৮৫ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। তাইজুল নেন ৫টি উইকেট। এছাড়া তাসকিন ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।

 

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের সাফল‍্যকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজেই দুটি টেস্ট জিতেছিল টাইগার বাহিনী। এত দিন কোনো পঞ্জিকা বর্ষে এটাই ছিল সেরা সাফল‍্য। এবার জিতল তিনটি ম্যাচ। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে দুই ম‍্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এই বছর দেশের জয় হল তিনটি টেস্ট ম্যাচ। আইসিসি টেস্ট চ‍্যাম্পিয়নশিপের কোনো আসরে এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল‍্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৪৬

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৬৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ‍্য ২৮৭) ৫০ ওভারে ১৮৫ (ব্র‍্যাথওয়েট ৪৩, লুই ৬, কার্টি ১৪, হজ ৫৫, আথানেজ ৫, গ্রেভস ২০, দা সিলভা ১২, আলজারি জোসেফ ৫, রোচ ৮, সিলস ১*, শামার জোসেফ ৬; হাসান ৬-০-২০-২, তাসকিন ১০-০-৪৫-২, তাইজুল ১৭-৫-৫০-৫, রানা ৯-২-৩২-১, মিরাজ ৮-০-৩১-০)।

সবা:স:জু-১৬৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম