তারিখ লোড হচ্ছে...

অনলাইনে চাকরির ফাঁদ বিকাশে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র

মো: মহিব্বুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার:

ঘরে বসে কাজের লোভ দেখিয়ে বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। “কলম প্যাকেজিং কাজ” বা “হোম প্যাকেজিং জব” নামে অনলাইন ও ফোনকলের মাধ্যমে প্রতারণার এই চক্র সক্রিয় রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

চাকরির প্রলোভনে ফাঁদ: 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ফেসবুক, ইউটিউব ও হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার চালিয়ে চক্রটি ঘরে বসে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়।
প্রথমে তারা ‘রেজিস্ট্রেশন’ বা ‘সিকিউরিটি ফি’ বাবদ বিকাশে ৩৫০ টাকা পাঠাতে বলে। পরদিন তারা জানায়, “পণ্য পাঠানোর জন্য ডেলিভারি চার্জ” হিসেবে আরও ২,০০০ টাকা দিতে হবে— যা রকেট বা নগদে পাঠাতে হয়। টাকা পাঠানোর পরই তাদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।

এক ভুক্তভোগী জানান, “ওরা এমনভাবে কথা বলে মনে হয় সত্যি কোনো কোম্পানি। প্রথমে সামান্য টাকা নেয়, পরে অজুহাত দেখিয়ে আরও নেয়। টাকা পাওয়ার পর আর ফোন ধরে না।”

সানি নামে আরেকজন বলেন, “আমি রেজিস্ট্রেশন করতে ৩৫০ টাকা দিই। পরের দিন তারা বলে, মাল ডেলিভারি দিতে হলে ২,০০০ টাকা দিতে হবে। পাঠানোর পর থেকেই ফোন বন্ধ।”

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:  অচেনা কোম্পানি যদি অগ্রিম টাকা চায়, সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহ করুন, কোম্পানির নাম, ঠিকানা ও ট্রেড লাইসেন্স যাচাই না করে কোনো টাকা পাঠাবেন না এবং  ভুক্তভোগীরা চাইলে ৯৯৯ বা সাইবার ক্রাইম ইউনিটে (cttc.police.gov.bd) অভিযোগ জানাতে পারেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী প্রয়োজন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন প্রতারণা প্রতিদিন বাড়ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনো সচেতন নয়। এসব চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে সহজে টার্গেট তৈরি করে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযান জরুরি বলে মত দেন তারা।

শ্রম আইন আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যেতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশের কল কারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ‘নিরাপন’ এর নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন কর্মকর্তাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, খুব শিগগিরই তার ফলাফল পাওয়া যাবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এরইমধ্যে শ্রমিক সংগঠন ও নির্মাতাদের সাথে একটি ১৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা এ খাতে স্থিতিশীলতা এনেছে এবং পোশাক রফতানি বাড়াতে সাহায্য করেছে।

নিরাপনের চেয়ারম্যান সাইমন সুলতানা গার্মেন্টস শিল্পে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন নিরাপনের চেয়ারম্যান সাইমন সুলতানা এবং গ্রুপের স্বতন্ত্র পরিচালক তপন চৌধুরী। শীর্ষ পশ্চিমা ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম