তারিখ লোড হচ্ছে...

আগারগাঁও–শাহবাগ অংশে মেট্রোরেল চালু

২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে চালু হয়েছে মেট্রোরেল

ডেস্ক রিপোর্টঃ

আজ  সকাল থেকেই রাজধানীতে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে মেট্রোরেল আবার চালু হয়েছে । ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব থাকা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আজ সকাল থেকে যথারীতি নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে বুধবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেট্রোরেল এমআরটি-৬ এর উপপরিচালক (জনসংযোগ) আহসানউল্লাহ শরীফি।

রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়। এরপর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দুপুর তিনটার দিকে প্রথমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মতিঝিল থেকে শাহবাগ অংশে মেট্রোরেল চালু করা হয়। বিয়ারিং প্যাড স্থাপন করার পর পুরো পথে মেট্রোরেল চালু করা হয় সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে। এর আগে ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটে মেট্রোরেলে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল।

এদিকে বুধবার মেট্রোরেল চলাচলে যাত্রীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের সই করা এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল বিধিবিধান অনুসরণ করে চলাচল করছে। কাজেই নিরাপত্তার ব্যাপারে সম্মানিত যাত্রীসাধারণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণ: শিশুসহ দগ্ধ ৪

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ট্যানারি মোড় এলাকার একটি বাসায় পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের সময় তাতে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. বেলাল হোসেন (২৮), মো. জিয়াউর রহমান (৪৫), ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে হাজারীবাগ এলাকা থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুসহ চারজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

দগ্ধদের মধ্যে বেলাল হোসেনের শরীরে ১৭ শতাংশ, জিয়াউর রহমানের ৪ শতাংশ, শিশু ফারিয়ার ৫ শতাংশ এবং শিশু রাইফার শরীরে ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধের পরিমাণ কম হওয়ায় তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত। বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. শাহপরান জানান, গতকাল (রোববার) সন্ধ্যার দিকে তার মামার বাসার রিজার্ভ পানির ট্যাঙ্ক একজন শ্রমিক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছিল। রিজার্ভ ট্যাঙ্কিতে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তারা ধারণা করছেন, পানির ট্যাঙ্কিতে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম