তারিখ লোড হচ্ছে...

নালিতাবাড়ীতে ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব শুরু

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী ধর্মপল্লীতে আজ থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের দু’দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব।

বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর বিকালে পবিত্র খ্রিস্টযাগের (উদ্বোধনী প্রার্থনা) মধ্য দিয়ে শুরু হবে তীর্থোৎবের আনুষ্ঠানিকতা। রাত আটটার দিকে তীর্থযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ আলোক শোভাযাত্রা শুরু হবে।

শত শত তীর্থযাত্রী মোমবাতি জ্বালিয়ে ঈশ্বর ও মা মারিয়ার নাম জপ করতে করতে উঁচু-নিচু পাহাড়ী টিলার আড়াই কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ করবেন। পরে মা মারিয়ার ৪২ ফুট উচ্চতার মূর্তির সামনে স্থাপিত প্যান্ডেলে রাতভর চলবে পাপ স্বীকার, নিরাময় অনুষ্ঠান, সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিশিজাগরণ ও প্রার্থনা।

পরদিন শুক্রবার ৩১ অক্টোবর সকালে ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ ও মহাখ্রিস্টজাগের (সমাপনী প্রার্থনা) মধ্য দিয়ে দুপুরে শেষ হবে দু’দিনব্যাপী এ তীর্থোৎসব। এবারের তীর্থোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পোপের প্রতিনিধি বাংলাদেশে ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি। তীর্থ আনুষ্ঠানিকতার পৌরহিত্য করবেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি।

 

আয়োজক কমিটির প্রধান রেভারেন্ড ফাদার তপন বনোয়ারি জানান, যুগে যুগে পথভ্রষ্ট সন্তানদের সুপথের সন্ধান দিতে নানা রূপে ঈশ্বর জননী মা মারিয়ার আবির্ভাব ঘটে। ১৯১৭ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরে তেমনি এক মেষ বালিকার রূপে মা মারিয়ার আবির্ভাবের পর থেকেই ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবেব প্রচলন শুরু হয়েছে।

ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের আওতাধীন শেরপুরে নালিতাবাড়ীর বারোমরি ধর্মপল্লীতে ১৯৯৮ সালে ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ৪২ একর জমি জুড়ে স্থাপন করা হয় ফাতেমা রানীর এ তীর্থ স্থান। সেই থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার একটি মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে দু’দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব’।

এবারের মূল সূর হলো ‘আশার তীর্থযাত্রী ফাতেমা রানী মা মারিয়া বারোমারী’। এবারের বারোমারী ফাতেমা রানী মা মারিয়ার তীর্থোৎসব ২৫ বছরের জুবিলী উৎসব হিসেবে পালন হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের তীর্থযাত্রায় দেশ-বিদেশের প্রায় ৩০-৪০ হাজার তীর্থযাত্রী অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এটি মুলত রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও সকল খ্রিষ্টভক্তরা ধর্মীয় বিশ্বাসে এখানে অংশগ্রহন করেন। যা ইতোমধ্যে রোমান ক্যাথলিকদের জন্য এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তীর্থ উৎসব সমাবেশ বলে খ্যাতি পেয়েছে।

তীর্থৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে বারোমারী ধর্মপল্লীতে তীর্থস্থানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, চুনকাম, অলংকরণ, প্যান্ডেল, ছামিয়ানা-গেট নির্মাণ, পূণ্যার্থী ও অতিথিদের আবাসন ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং এলাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন উপকমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক দল। চলছে নানা আয়োজনের মহড়া।

সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিক এবং সুধীজনদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা।

গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি

রাহিমা আক্তার মুক্তা :-
১৪ বছর আগে চাকুরী হয় এই কাস্টমস অফিস পিয়ন কাওসারের। বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয় কাস্টমস, এক্সইজ ও ভ্যাট গাজীপুর বিভাগে।
অফিস পিওন কাওসারের বড় ভাই শহিদুল এলাকায় গরুর দালালী করতো সেই সুবাদে ভালো জানতো তারই বাড়ির পাশে কাস্টমস অফিসার এনায়েত গাজী।
এনায়েত গাজীর হাতে পায়ে ধরে মাষ্টার রোলে চাকুরী নিয়ে দেয় অফিস পিয়ন কাওসারকে। কয়েক বছর যেতে না যেতেই অফিস পিওন কাওসার হয়ে যায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। বরগুনা জেলার ঘট বাড়িয়া থানার হরিদ্রবাড়িয়া গ্রামে বাড়ি এই কাস্টমস এর অফিস পিওন কাওসারের।
পিতা আব্দুর রহিম খান। চাকুরী হওয়ার পূর্বে অভাব ছিলো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। অষ্টম শ্রেনী পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে কাস্টম অফিসার এনায়েত এর মাধ্যমে নেয় মাষ্টাররোলের পিওন পদে চাকুরী। গাজীপুর কাস্টমস এর অফিস পিওন কাওসার এর বর্তমান জীবন এক অন্য রকম, অফিসে সাধা-মাঠা ভাবে গেলেও তার বাহিরের জীবন বিলাশ বহুল। দু-হাত ভরে টাকা উড়ায় এই কাওসার। বুনে গেছে নামে বে নামে কোটি টাকার সম্পত্তি। বরগুনায় গ্রামের বাড়িতে অর্ধকোটি টাকা দিয়ে তুলেছেন আলিসান বাড়ি। গ্রামে ক্রয় করেছে নামে বে নামে সম্পত্তি। বরগুনার লাকুরতলা নামক স্থানে মোস্তফা চেয়ারম্যানের ভাই মোশাররফের জমি ক্রয় করে অর্ধকোটি টাকা দিয়ে।
যাহা কাওসারের স্ত্রী ফাতিমা বেগমের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে। বরগুনার ভূত মারায় কিনেছে দুঃখী মেম্বারের জমি।
আরো রয়েছে বরগুনা মহাসড়কে পেট্রোল পাম্পের সাথে কোটি টাকা মুল্যর সম্পত্তি।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,
পেট্রোল পাম্পে আশে পাশে রয়েছে আরো দুই থেকে তিনটি প্লট ।এই অফিস পিওন কাওসার
রাজধানীর উত্তরায় দক্ষিণ খানে মোল্লাবাড়ির পিছনে ক্রয় করে টিনসেট ভবন সহ বাড়ি। ২১সালে উত্তরা থেকে অফিস পরিবর্তন করে নেয়া হয় গাজীপুর জয়দেবপুরের খন্দকার কমপ্লেক্স এ।
সেখানে যাওয়ার পরে ক্রয় করে গাজীপুর জেলায় জমি।
একজন অফিস পিয়ন কাওসার যার বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। অথচ সে বুনে গেছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। কি রয়েছে এর পিছনের কারণ? দুর্নীতি? তার স্যারদেরকে ম্যানেজ করে ঘুষ বাণিজ্য? এভাবেই দিনের পর দিন অফিস পিয়ন কাওসার গাজীপুরের খন্দকার কমপ্লেক্স কাস্টমসের আয়কর ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে সরকারকে। সরকারি অফিসে ঘুষ-বাণিজ্য যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ১৪ বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি গড়া কি ভাবে সম্ভব একজন অফিস পিওনের? সাক্ষাৎকারে কাওসার বলে সে নাকি ব্যবসা করে। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে, কিসের ব্যবসা করেন, সে বলে আমার ভাই শহিদুল গরুর ব্যবসা করে যার ভাগিদার কাওসার। অথচ জানা যায় তার ভাই দুই যুগ ধরে গরুর দালালী করে আসছে কাওসারের বড় ভাই। তখন তো তাদের এই হাল ছিল না?নুন আনতে পান্তা ফুরাত, রাতারাতি গরুর ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়া যায় কি জনমনে প্রশ্ন থেকেই যায়? কিভাবে সম্ভব আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এই কাওসারের।
তার রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ও উপ -কমিশনার কে এ বিষয়ে কল দিলে রেসপন্স করেনি। আমি আশা করি এটি দুদকের নজরে খুব তাড়াতাড়ি আসা উচিৎ এই বিষয়টি । দেশের কর এভাবে দুর্নীতি করে শেষ করে দিচ্ছে। কাওসারের মতো কিছু পিয়ন রাজস্ব কর্মকর্তা কমিশনার কাস্টমস অফিসার মতিউর, কাস্টমস অফিসার এনামুল, সহ বড় বড় কর্মকর্তা কর্মচারীরা লুট বানিজ্য করে রাতারাতি হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার মালিক।

চলবে (পর্ব০১)

language Change
সংবাদ শিরোনাম