তারিখ লোড হচ্ছে...

আবারও বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক শান্ত!

স্পোর্টস রিপোর্টঃ

আবারও বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক হতে চলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গত জুনে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সফরের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শান্ত। এরপর থেকে টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক নিয়োগ নিয়ে বিসিবির ভেতরে আলোচনা চলছিল। ওয়ানডে ফরম্যাটে মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর নেতৃত্বের বাড়তি চাপ তার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছে বোর্ড। ফলে টেস্টে নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে হয় বিসিবিকে।

শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের রাতেই বোর্ড কর্মকর্তারা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে কথা বলেন। জানা গেছে, আলোচনার পর শান্ত নেতৃত্বে ফেরার বিষয়ে ইতিবাচক মত দেন এবং বিসিবিকেও আশ্বস্ত করেন। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম শুক্রবার রাতে টি–টোয়েন্টি সিরিজের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই টেস্ট দলের নেতৃত্বে শান্তর নাম চূড়ান্ত হয়।

প্রথমে শান্ত নেতৃত্ব গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিলেন, তবে পরবর্তীতে সম্মতি দিয়েছেন। তাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল বোর্ডের একজন সাবেক ক্রিকেটারের ওপর, যিনি বর্তমানে পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন। শান্ত দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই নতুন টেস্ট অধিনায়কের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে সুযোগ দেওয়া হবে। তবে মিরাজের চেয়ে লিটন দাস এগিয়ে ছিলেন।

অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে সেই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাসকে টেস্টের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছিলেন, একজন খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব পাওয়া অনেক বড় বিষয়। আমার মনে হয় কেউ না (নিষেধ) করবে না, তাদের (বিসিবির) পক্ষ থেকে এখনও কিছু (সিদ্ধান্ত বা আলোচনা) আসেনি। শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীর্ঘ সময়ের জন্য টেস্ট খেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন অধিনায়ক ঘোষণা এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।

দূর হলো সাফের ১৯ বছরের আক্ষেপ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে বলা হয়ে থাকে উপমহাদেশের বিশ্বকাপ। যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। ২০১০ সাল থেকে শুরু হয় মেয়েদেরও এই আসর। ছেলেদের আসরের আগে ‘পুরুষ’ লেখা না হলেও মেয়েদের আসরের আগে তা উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু এখন লিখতে গেল নারী-পুরুষ উল্লেখ করতে হয়। ছেলেদের আসরের ২৯ বছর হয়ে গেছে। ছেলেদের ১৩ আসরের মাঝে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাত্র একবার ২০০৩ সালে।

নিজেদের মাটিতে মালদ্বীপকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে জিতেছিল শিরেপা। নির্ধারিত সময় খেলা ছিল ১-১ গোলে ড্র। পরের আসরে বাংলাদেশ আবার ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সেই আসরে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল।

এরপর আর একটি আসরে সেমি ফাইনালও খেলতে পারেনি। কিন্তু প্রতিবারই যখন আসর বসে, স্বপ্নের জাল বুনা হয় শিরোপাকে ঘিরে। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। এবার মেয়েদের মাধ্যমে দূর হয়েছে সেই ‘অধরা’। শিরোপা এসে ধরা দিয়েছে হাতে। ঘুচেছে ১৯ বছরের অপেক্ষা।

সাবিনা-সানজিদারা ষষ্ট আসরেই শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছেন। এর আগে তারা ২০১৬ সালে শিলগুড়িতে ফাইনালে ‍উঠলেও ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল। এবার সেই ভারতই ছিল না ফাইনালের লড়াইয়ে। গত পাঁচ আসরে ভারতই ছিল চ্যাম্পিয়ন।

বাংলাদেশ ছাড়া চারবার ফাইনালে তারা নেপালকে হারিয়েছিল। হিমালয় কন্যা নেপালের দুঃখ থেকেই গেল। পাঁচবার ফাইনালে উঠে তারা একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। আগের চারবার বাধা ছিল ভারত। এবার বাংলাদেশ। নেপালের হারেই দূর হয়েছে বাংলাদেশের ১৯ বছরের আক্ষেপ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম