তারিখ লোড হচ্ছে...

নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্ট:অ্যাশেজ শুরুর আগে আবারও ব্যর্থ ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনের স্কাই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওয়ানডেতে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে নেমে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই উইকেটে হেরে লজ্জায় পড়ল সফরকারীরা।  টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধস নামে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপে। মাত্র ১১ ওভারের মধ্যেই ৪৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে ইংল্যান্ড। টপ অর্ডারে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২), হ্যারি ব্রুক (৬) এবং জেকব বেথেল (১১)পাঁচজন মিলে করেন মাত্র ৩২ রান।

তবে দলের বিপর্যয়ের মাঝে লড়াই চালিয়ে যান জেমি ওভারটন। ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৬২ বল থেকে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। এ ছাড়া অধিনায়ক জস বাটলার (৩৮) ও ব্রাইডন কার্স (৩৬) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ৪১তম ওভারে ২২২ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের সূচনা ছিল দুর্দান্ত। ডেভন কনওয়ে (৩৪) ও রচিন রবীন্দ্র (৪৬) মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৭৮ রান। তবে দুজন দ্রুত আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। বিনা উইকেটে ৭৮ রান থেকে একসময় ১৪৭ রানেই ৫ উইকেট হারায় কিউইরা। তবে ড্যারিল মিচেল ও মিচ স্যান্টনার দলকে এগিয়ে নেন। শেষ দিকে কিউইরা দ্রুত তিন উইকেট হারালে ম্যাচে খানিক নাটকীয়তা আসে। ২৭ রান দরকার থাকতে নিউজিল্যান্ডের হাতে ছিল মাত্র দুই উইকেট। তবে জাক ফোকস (১৪*) ও ব্লেয়ার টিকনার (১৮*) ঠাণ্ডা মাথায় ৩২ বল হাতে রেখে দলকে জয় এনে দেন।

অবশেষে ৪ বছর পর বকেয়া বুঝে পেলেন মেসি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বার্সেলোনা লিওনেল মেসির আপন ঠিকানা। এই ক্লাবেই তার বেড়ে ওঠা ও তারকা হয়ে ওঠা। সেই ক্লাবকে যখন ২০২১ সালে বিদায় জানান। তখন অঝোরে কেঁদেছিলেন তিনি। বার্সা ছাড়তে চাননি। শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ক্লাব তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। আর মেসিও ক্লাবের পরিস্থিতি বুঝতে পেরে পাওনা টাকা না নিয়েই বিদায় নিয়েছিলেন। অবশেষে ৪ বছর পর মেসিকে সেই বকেয়া বুঝিয়ে দিয়েছে বার্সা।

কাতালান ক্লাবটির কাছে মেসির পারিশ্রমিক বকেয়া ছিল প্রায় ৬ মিলিয়ন ইউরো (৮৫ কোটি টাকার বেশি)। যা এবার তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’ জানিয়েছে, ২০২০ সালে মেসির শেষ চুক্তি অনুযায়ী কয়েক ইন্সটলমেন্টে ৪৮ মিলিয়ন ইউরো পাওয়ার কথা ছিল কাতালান ক্লাবটি থেকে। তবে ওই সময়ে আর্থিক সংকটে ভোগা বার্সার শেষ ইনস্টলমেন্টটি বাকি রয়ে যায়। এক্ষেত্রে অবশ্য মেসি একা নন, স্প্যানিশ জায়ান্টদের কাছে পারিশ্রমিকের বকেয়া জমা পড়ে আরও কয়েকজন খেলোয়াড় ও কোচের। ২০২০ সালে করোনো মহামারির সময়কালে আর্থিক দুর্দশা শুরু হয় বার্সার। ফলে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পেতে বিলম্ব হয় স্যামুয়েল উমতিতি, সার্জিও বুসকেটস, ফিলিপে কৌতিনিয়ো, উসমান দেম্বেলে ও সাবেক ম্যানেজার রোনাল্ড ক্যোমানের।

এদিকে, সম্প্রতি বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে রেকর্ড পারিশ্রমিক ইস্যুতে আলোচনায় আসেন মেসি। বার্তা সংস্থা এপি’র তথ্যমতে, মায়ামিতে মেসির বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৭ ডলারে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা এমএলএসের ২১টি দলে থাকা খেলোয়াড়দের মোট বেতনের চেয়েও বেশি। মেসির মতো উচ্চ বেতনধারী তারকা যে দলে থাকেন, স্বভাবতই তারা লিগেও খরচের দিক থেকে শীর্ষ সারিতেই থাকবে। ২৩ মে পর্যন্ত হিসাব মতে, এমএলএসে মেসির মায়ামি লিগের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৬.৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বছরে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম