তারিখ লোড হচ্ছে...

যমুনা অয়েলে ডিজিএম হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে জালানি তেল চুরি

যমুনা অয়েলে ডিজিএম হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে জালানি তেল চুরি

স্টাফ রিপোর্টার॥

স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেরে পালালেও তার দোসররা বহাল তবিয়তে থেকে অপর্কম করেই যাচ্ছে , গত ১৭ বছর সারাদেশেই এসকল অপর্কমগুরো করে বেরিয়েছে প্রশাসনে জেকে বসে থাকা কর্মর্কতারা তেমনি ভাবে মাস তিনেক আগে খুলনা দৌলতপুর ডিপোতে এক অভিনব পদ্ধতিতে তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিএম অপারেশন হেলাল উদ্দিন ও এজিএম অপারেশন (ডিপো) শেখ জাহিদ আহমেদের বিরুদ্ধে। অবশ্য চলতি মাসের ১৪ তারিখে জাহিদ আহমেদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীতি নিয়ে  বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে জানা গেছে সেই তেল চুরির ঘটনাটি ইতিমধ্যে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছে সিন্ডিকেট প্রধান হেলাল উদ্দিন। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে দীর্ঘ বছর ধরে যমুনা অয়েলের ১৫ টি ডিপাতেই একই পদ্ধতিতে তেল চুরির ঘটনা অহরহ। ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে গঠন করে তদন্ত কমিটি। এরফলে ধামাচাপা পড়ে যায় অধিকাংশ তেল চুরির ঘটনাগুলো। এর ব্যতয় ঘটেনি দৌলতপুর ডিপোর বেলায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে দৌলতপুর ডিপোতে তেল চুরির ঘটনাটি ঘটেছে অনেকটা কৌশলী পদ্ধতিতে। যেমন ট্যাংকলরিটি সাড়ে তের হাজার লিটার কিন্তু চুক্তিপত্রে দেখানো হয় নয় হাজার। বাড়তি সক্ষমতার বিষয়টি সুকৌশলে গোপন করে চুক্তিনামার মাধ্যমে তেল ‘চুরি’ করার অভিনব জালিয়াতির নেপথ্যের নায়ক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অপারেশন হেলাল উদ্দিন।

যমুনা অয়েল কোম্পানি সূত্র বলছে, খুলনার দৌলতপুর ডিপো থেকে তেল পরিবহনের জন্য চলতি বছরের ২৭ জুলাই মেসার্স আছিয়া এন্টারপ্রাইজ, প্রোপাইটার মো: মানিক শেখ পিতা মো: নুর ইসলাম, খুলনা -যশোর রোড নতুন রাস্তা দৌলতপুর খুলনা, একটি ট্যাংকলরির সঙ্গে চুক্তি হয়। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে এমডি মুস্তফা কুদরত ই ইলাহি, ডিজিএম অপারেশন হেলাল উদ্দিন, এজিএম ডিপো অপারেশন শেখ জাহিদ আহমেদ। অবশ্য এই চুক্তিপত্রে শেখ জাহিদ আহমেদের স্বাক্ষরটি নেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির আইনের নিয়ম বহিভুত ভাবে। প্রচলিত নিয়মে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা এজিএম (এসএন্ডডি)। ট্যাংকলরির চুক্তিনামায় এজিএম ডিপো (অপারেশন) স্বাক্ষরের বিধান না থাকা সত্বেও হেলান উদ্দিন ক্ষমতার দাপটে সেটা করা হয়েছে। অবশ্য চুক্তিনামার ফাইলটি প্রথমে এজিএম (এসএন্ডডি) কাছে পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি ঘাপলা টের পেয়ে তিনি ফাইলটি ফেরত পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে চুক্তিতে স্বাক্ষর নেয়া হয় এজিএম ডিপো অপারেশনের। অবশ্য তিনিও হেলাল উদ্দিন সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। চুক্তিপত্র সম্পন্নের পরবর্তী ধাপে ১০ আগষ্ট যমুনা অয়েলের ডিজিএম (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আছিয়া এন্টারপ্রাইজ মালিককে বলেছে, যার সারমর্ম হলো, বিষয় পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য পরিবহনের জন্য ট্যাংকলরী নং ঢাকা মেট্রো ঢ- ৪২০০১২ ধারণ ক্ষমতা ৯.০০০ লিটার এর পরিবহন চুক্তি পত্র। পত্রের মুল বক্তব্য হলো আছিয়া এন্টারপ্রাইজের আবেদনের পরপ্রেক্ষিতে জেওসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মহোদয়ের সদয় অনুমোদনের প্রেক্ষিতে বিষোয়ক্ত ট্যাংকলরী খানা পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য পরিবহনের নিমিত্তে নতুন ভাবে চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে এ অন্তুভুক্ত করা হলো, যা ২৭ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর, মেয়াদ আগামী ২৬. ০৭.২০২৮ তারিখ পর্যন্ত, অর্থ্যাৎ তিন বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এদিকে চুক্তির কয়েক দিন পর ট্যাংকলরিটিতে করে বাগেরহাটের রামপাল বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিজেল পাঠানো হয়; কিন্তু ট্যাংকলরিটির ধারণ সক্ষমতায় অসামঞ্জস্য দেখতে পেয়ে ডিজেল গ্রহণে অসম্মতি জানান বিদ্যুৎকেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। আছিয়া এন্টারপ্রাইজের ট্যাংকলরিটির ধারণ সক্ষমতার অসামঞ্জস্য ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেল গ্রহণে আপত্তির খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। তখন এই অসামঞ্জস্যতার বিষয়টি নিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানির কাছে আপত্তি জানান ট্যাংকলরির মালিক ও শ্রমিকেরা।

পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির এক নেতা বলেন, সাড়ে ১৩ হাজার লিটারের লরি; কিন্তু জালিয়াতি করে দেখানো হয় ৯ হাজার লিটার। এটা করার কোনো নিয়ম নেই। এ কারণে মালিক-শ্রমিক সবাই আপত্তি জানিয়েছেন।

তেল পরিবহনের ভাড়া চুক্তি করার আগে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে লরির সক্ষমতা যাচাই (ক্যালিব্রেশন) করে সনদ নিতে হয়। নেয়াও হয়েছে, তবে এতেও রয়েছে মহা জালিয়াতি। বিএসটিআই থেকে নেওয়া সনদের একটি প্রতিলিপি যমুনায় জমা দেওয়া হয়েছে। এতেও লরিটির তেল ধারণের সক্ষমতা ৯ হাজার লিটার দেখানো হয়েছে।সনদ অনুযায়ী, গত ২৫ জুন ক্যালিব্রেশন করে স্বাক্ষর করেছেন বিএসটিআই খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন হুসাইন। সনদটি যাচাই করতে বিএসটিআই খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়৷ কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সনদে স্বাক্ষরকারী এই কর্মকর্তা গত জানুয়ারিতে ঢাকায় বদলি হয়ে গেছেন। তাই তাঁর স্বাক্ষর করার কোনো সুযোগ নেই। আসলে সনদটি জাল। সনদে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে ‘ঝিনাইদহ-ঢ-৪১-০০৩৮’ নম্বর গাড়ির ক্যালিব্রেশন প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নেওয়া। এই গাড়িটিও আছিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক নাম মো. মানিক শেখের।

এবিষয়ে ট্যাংক লড়ির মালিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভুল করে বেশি ধারণক্ষমতার লরি দিয়ে কম তেল পরিবহনের চুক্তিটি করেছেন। বাড়তি তেল নেওয়ার জন্য লরির প্রকৃত ধারণ সক্ষমতা কম দেখাননি। আপত্তির কারণে তিনি চুক্তিটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে বেকায়দা পরে যায় যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম অপারেশন হেলাল উদ্দিন। নিজেদের রক্ষা করতে সমজোতা করে দুই পক্ষ। পরবতীতে লড়ির মালিক ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক জটিলতার কারন দেখিয়ে চুক্তিটি বাতিলের আবেদন করেন৷ ১৮ আগস্ট যমুনার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর চিঠিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক জটিলতার কারণে ট্যাংকলরিটি পরিচালনা করা যাচ্ছে না। তাই চুক্তি বাতিল করে জামানতের ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় সেই চিঠিতে।

তবে সূত্র বলছে, জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসায় তড়িঘড়ি করে চুক্তিটি বাতিলের একটি চিঠি তৈরি করে যমুনা অয়েল। মানিক শেখের আবেদনের আগেই অর্থাৎ চিঠিটি ৩ আগস্ট চুক্তি বাতিলের সই করা দেখানো হয়। যদিও ১৭ আগস্টও ট্যাংকলরিটি ডিপো থেকে তেল পরিবহন করে। এরপর দ্রুত সংশোধন করে যমুনা অয়েল আরেকটি বাতিলের চিঠি দেয় ১৮ আগস্ট। দুদফা বাতিলের দুটো চিঠিতেই স্বাক্ষর করেন ডিজিএম অপারেশন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। আছিয়া এন্টারপ্রাইজ বরাবর চিঠির মুল বিষয় বস্তু হলো, বিষয় দৌলতপুর ডিপোতে ট্যাংকলরি ঢাকা মেট্রো ঢ ৪২০০১২ এর পরিবহন চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে। চিঠির চুম্বক অংশটুকু হলো ট্যাংকলরীটী আবেদনে ৯.০০০ লিটার ক্যালিব্রেশন এর কথা উল্লেখ থাকলেও মুলত আপনার ট্যাংকলরীটি ১৩.৫০০ লিটার, যেখানে ৯.০০০ লিটারের চেম্বার ২ টি হয় সেখানে ১৩.৫০০ লিটার হওয়াতে ৩ টি চেম্বার রয়েছে। আপনার ট্যাংকলরিতে তেল লোড দেয়ার সময় তেল ঘাটতির সম্ভবনা আছে। তাই চুক্তিটি বাতিল করা হলো। এদিকে আছিয়া এন্টারপ্রাইজ তাদের চিঠিতে বলেছে ব্যক্তিগত সমস্যার কথা, আর যমুনা অয়েল বলছে তেল ঘাটতির সম্ভবনার কথা।

এদিকে গোপন চুক্তিটির বিষয়টি ফাঁস হওয়ায়,এর সাথে জড়িত কর্মকর্তারা অনেকটা বেকাদায় পরে যায়। দুই দফা চুক্তি বাতিলের পর, এবার নিজেরাই নিজেদের মতো করেছে তদন্ত কমিটি। তবে মজার বিষয় হলো যার বিরুদ্ধে এই অভিনব গোপন চুক্তির অভিযোগ, তার স্বাক্ষরেই করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।

যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড সুত্রে জানা গেছে ২৮ আগষ্টে ডিজিএম অপারেশন হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে তার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হিসাবে পরিচিত ঢাকা লিয়াজো অফিসের এজিএম সেলস সৈয়দ সফিকুর রহমানকে আহবায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে চট্টগ্রাম অফিসের ডিএম সেলস মো; জসীম উদ্দিনকে। চিঠিতে বলা হয়েছে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট নিন্ম স্বাক্ষরকারী ডিজিএম অপারেশন হেলাল উদ্দিনের কাছে প্রদান করতে। তবে অদ্যবধি তদন্ত কমিটি কোন প্রতিবেদন জমা দিযেছে কিনা তা পরিস্কার নয়৷ তদন্ত কমিটির দুই সদস্যকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি।

চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর, দুই দফা চুক্তি বাতিল, সর্বশেষ তদন্ত কমিটির চিঠিতেও স্বাক্ষর করেছে ডিজিএম অপারেশন হেলাল উদ্দিন। এদিকে আগের তিনটি চিঠিতে বলা হয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমোদন ক্রমে, কিন্তু তদন্ত কমিটির চিঠিতে একবারও বলা হয়নি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশ কিংবা অনুমোানক্রমে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। যেই চুক্তিপত্রে হেলাল উদ্দিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিজেদের স্বাক্ষর রয়েছে, সেখানে তদন্ত কমিটি হওয়ার কথা ওদের বিরুদ্ধে। সেখানে ডিজিএম অপারেশন নিজের স্বাক্ষরে নিজের মতো করে, কিভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করে। বলা চলে তদন্ত কমিটি গঠনের ক্ষমতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজেই রাখেনা, সেখানে হেলাল উদ্দিনের তদন্ত কমিটি গঠনেরতো প্রশ্নই আসেনা।

ডিজিএম অপারেশন হেলাল উদ্দিনের চাকরি জীবনে কোনো বদলী নেই। ছিলেন যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক জিএম সৈয়দ গিয়াসউদ্দিনের বাড়ির লজিং মাষ্টার। সেই জিএম এর হাতে ধরে ১৯৯৫ সালে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পায় হেলাল উদ্দিন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ১লা জানুয়ারিতে তাকে স্থায়ী করা হয় সহকারী অফিসার পদে। প্রথমেই পোষ্টিং পেয়ে যায় যমুনা অয়েল কোম্পানি মেইল ইনস্টলেশন পতেঙ্গা টার্মিনাল অফিসের বাল্ক সেকশনে। সেই সময় থেকেই জাহাজের সুপারভাইজারদের সাথে মিলে শুরু করে তেল চুরির কার্যক্রম। চাকরি জীবনে হেলাল উদ্দিন মালিক হয়েছে নুন্যতম পাঁচশ কোটি টাকার। নিজের এবং বেনামে কিনে রেখেছে শত কোটির সম্পদ।ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছে তিনটি দামী গাড়ী। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণপুর্ন এলাকা পাচলাইশ আনিকা কমিউনিটি সেন্টারের পাশে পাচ তলা ভবনটির মালিক হেলাল উদ্দিন। কাতালগঞ্জে বছর তিনেক আগে পাঁচ কোটি বিশ লাখ টাকায় একটি পাচতলা বাড়ী কিনেছে। তবে ছর দেড়েক এই বাড়ীটি ভেঙে দশতলা ভবনের নির্মানের কাজ শুরু করেছে। অবশ্য ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে দেশের পটপরিবর্তনের পর ভবনের নির্মাণ কাজ সাময়িক বন্ধ রেখেছিল। তবে ইতিমধ্যে ফের কাজ শুরু করেছে। বতমানে ভবনটির পাইলিংয়ের কাজ চলছে। রাউজানের সুলতানপুরে নিজ গ্রামে নিজের ছাড়াও একই ডিজাইনে পাঁচ ভাইকে পাঁচটি বাড়ি নির্মান করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আছে কানাডা ও মালয়েশিয়াতে ফ্লাট। নিজের ছেলেকে কানাডা রেখে পড়াশোনা করিয়ে বানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে কানাডার ফ্ল্যাটে থাকছে তার ছেলে ও মেয়ে। মালয়েশিয়ার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকছে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আওয়ামিলীগনেতা আক্তারুজ্জামান বাবুর বড় ভাই বদিরুজ্জামানের ছেলে। চাকরি শেষ হলে নিজেও পারি জমাবেন কানাডাতে।

বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে তাকে একবার বদলী করা হয়েছিল বগুরাতে। তবে সেই বদলীর আদেশ কার্যকর হয়নি। হেলাল উদ্দিনের স্ত্রীর আপন বড় ভাই অর্থ্যাৎ তার সম্বন্ধি চট্রগ্রাম মহানগর যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ও চট্রগ্রাম ১০ আসনের সাবেক সাংসদ মহিউদ্দিন বাচ্চুর ক্ষমতার বদৌলতে সেই আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। এছাড়া কিছু দিনের জন্য অডিট এ আগ্রাবাদ অফিসে কর্মরত ছিল, কিন্তু আবারও তার সম্বন্ধির সহযোগিতায় এজিএম টার্মিনাল পদে পদায়ন করা হয়। পতিত আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে ডিজিএম পদে পদোন্নতি পাওয়ার পরেও একই সাথে দীর্ঘ দিন চট্টগ্রাম টার্মিনাল অফিসের এজিএম টার্মিনাল পদেও দায়িত্ব পালন করছে। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অভিযোগের শেষ নাই।

ওএম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির ভেলকিবাজি, ডাবল মুনাফার খপ্পরে নিঃস্ব দেশের হাজারো পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ডাবল মুনাফার লোভ দেখিয়ে (এমএলএম) বাংলাদেশী মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি, গুলোর মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানি গুলো গ্রাহকদের বিনিয়োগ জমা নিয়ে প্রতারনা করে চলেছেন দির্ঘদিন ধরে। এমএলএম সহ মার্কেটিং বিনিয়োগ বিষয়ে দেশে প্রচলিত আইন- কানুন রয়েছে।প্রচলিত আইন চালু থাকলেও আইনকে বৃদ্ধআঙ্গুল দেখিয়ে এমএলএম কোম্পানি গুলোর মালিকানাধীন শেয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উচ্চ পদস্থ নেতা – কর্মীদের নামিও হওয়ার সুবাদে এমএলএম কোম্পানি গুলে অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিনিয়তো নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে নানান নামিও সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এমএলএম কোম্পানি গুলো বিনিয়োগ কারিদের সাথে প্রতিনিয়তো প্রতারণা করেই চলেছেন। যার কারনে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এমএলএম কোম্পানিতে বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি সাধারণ বিনিয়োগ কারি ব্যক্তিরা আস্থা হারিয়ে ফেলছে। কিন্তুউন্নত বিশ্বে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এমএলএম কোম্পানি গুলো বিনিয়োগ কারিদের আমানত সঠিক সময়ে প্রদান করে থাকেন, যা এবিষয়ে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্প্রতি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় ওএম বাজার, ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ এবং টাইমস্ ইন্টারন্যাশনাল লিঃ নামিও কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ কারিদের আমানত লোপাট,শর্ত অনুযায়ী বিনিয়োগের অর্থ ৪০ মাস পূর্ণ হলেও বিনিয়োগ কারিরা তাদের বিনিয়োগের অর্থ মুনাফা সহ ফেরৎ না পাওয়া, গ্রাহক হয়রানি এবং বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের আমানত বিদেশে পাচার সহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার বিনিয়োগ কারি ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডেসটিনি, ইভালী, এসএমএন গ্লোবাল লিঃ, টিয়ানসি বাংলাদেশ লিমিটেড কে হার মানিয়ে ওএম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানি লিমিটেড উত্তরবঙ্গেও কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট,রংপুর, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গাতে অফিস খুলে দির্ঘদিন ধরে সাধারণ বিনিয়োগ কারিদ্বয়কে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা করে চলেছেন।, ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনির হোসেন আজাদি । ওএম বাজারের খোলস পাল্টিয়ে টাইমস ট্রাভেলস্ নামিও কোম্পানির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনির হোসেন আজাদী ঢাকার খিলগাঁও, আরামবাগ এলাকায় আবারো তারা তাদের পুরনো প্রতারণার ফাঁদ পেতে নতুল কৌশলে বিনিয়োগ কারিদের সাথে প্রতারনা করছেন । বর্তমানে লূৎফর রহমান চায়না অবস্থান করছেন। তিনি চায়না থেকেই বিনিয়োগ কারি ঠকাতে ব্যস্থ থাকেন বলে একটি বিস্বস্থ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের এই ব্যবসায় বিভিন্ন পদে থেকে বিনিয়োগ কারিদের থেকে আমানত সংগ্রহ করেন। ও এম বাজার এর পরিচালনা পরিশোদে আছেন এম ডি পদে মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল চেয়ারম্যান পদে মোঃ ইউসুফ ফরহাদ ডি এম ডি পদে জনাব ফিরোজ আলম ফিন্যান্স ডিরেক্টর পদে জনাব আবুল কালাম আজাদ প্রশাসনিক দায়িত্বে জনাব আল- আমিন ছিলেন একটি মজার বিষয় হলো ৩ টি ভিন্ন নামিও এমএলএম কোম্পানি হলেও এই তিন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে একই ব্যক্তিরা। মূলত বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের সাথে প্রতারণার স্বার্থে তারা বিভিন্ন নামিও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। ঠিক আগের কৌশল অবলম্বন কওে এমএলএম কোম্পানির সাইনবোর্ডে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম যুক্ত করে কোম্পানির শেয়ার বিক্রয়ের পলিসি অবলম্বন করে চলেছেন প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ- পদবির লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগ কারিদের টাকার আমানতের অর্থ ৪০ মাসের মধ্য দ্বিগুন আকারে ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে, তা তাদের ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ লিঃ কোম্পানিতে শতশত বিনিয়োগ কারি গ্রাহকের প্রায় মোট দুই শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। যা ২০০১ সাল থেকে পর্যায় ক্রমে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানিটির কার্যক্রম বেশ কিছু দিন ধরে বন্ধ কওে দিয়ে হঠাৎ করে কুড়িগ্রাম থেকে শত বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের প্রায় ২ কোটি টাকা ওয়েম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস এমএলএম কোম্পানিটি নিজেদের কব্জায় নিয়ে প্রতিষ্টানটি রাতের আধারে বন্ধ করে দিয়ে, বিনিয়োগ কারিদের আমানতের অর্থ ফেরৎ না দিয়ে রাতারাতি লাপাত্তা হয়ে যায় ওম বাজার নামক এমএলএম প্রতিষ্ঠানটি । ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানিতে নিজেদের আমানত রাখা বিনিয়োগ কারিরা এই প্রতারক চক্রটির ঢাকা অফিসের সন্ধান পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফর রহমান রুবেল,এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির হোসেন আজাদীর শর্নাপূর্ণ হলে তারা গ্রহকদের আমানত এবং বারতি মুনাফার সম্পূর্ণ অর্থ এক
মাসের ভিতরে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কয়েক মাস ঘুরেও বিনিয়োগ কারিদের অর্থ ফেরৎ পান নাই। বরং বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিনিয়োগ কারিদ্বয়েরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস লিমিটেড কোম্পানির বিষয়ে ভুক্তভোগীদের আমানতের অর্থ কেলেঙ্কারির ব্যাপারে, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকা পরিবারের নিকট সংবাদ প্রকাশের জন্য কয়েকজন ব্যক্তি তথ্য প্রদান করেন , ওয়েম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ কারি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানা যায়। বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের লিখিত প্রতিবেদনের সুত্র ধরে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিবেদক,বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে কুড়িগ্রাম, রংপুর,দিনাজপুর,ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ওম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলসে বিনিয়োগ কারি শতাধিক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা হলে তারা ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানিটির বিষয়ে একশত এর অধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন আমরা কুড়িগ্রাম জেলার প্রতিনিধি হিসেবে ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রেভেলস্ এমএলএম লিমিটেড কোম্পানিটির মার্কেটিং প্লানে উদ্বুদ্ধ হইয়া জনাব হাফিজুর রহমান (ডি জিএম) ডিপুটি জেলারেল ম্যানেজার ও জনাব মমিনুল ইসলাম ( জি এম) জেনারেল ম্যানেজার এদের পরামর্শে ওয়েম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ নামক কোম্পানিতে ভাউচার এবং টাইমস্ ট্রেভেলস্ এর মাসিক ও বাৎসরিক মুনাফার জন্য নিজেরা বিনিয়োগ করি ও অনেক মানুষকে বিনিয়োগ করিয়েছিলাম। ও এম বাজার, এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সহ উচ্চ পদস্থ সকলের কথা ছিল কোম্পানীতে যে পরিমাণ টাকা রাখা হবে, তাহার (৪০ মাসের মধ্যে) দ্বিগুন আকারে প্রতি মাসে মাসে আমাদেরকে ফেরত দিবেন। এজন্য জনাব হাফিজুর রহমান ও জনাব মমিনুল ইসলাম আমাদের কুড়িগ্রামে বারংবার গিয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন প্রগ্যামে থেকে বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করে আনুমানিক ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় তাদের কোম্পানিতে র?্যাঙ্ক বা পদবী অর্জনের জন্য আমাদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল অর্থাৎ আজ পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদেরকে কোন প্রকার ওম বাজার এর মাসিক ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির বাৎসরিক মুনাফা কোনটাই দেয়নি এখন পর্যন্ত এ মাস ও মাসে দেব- দিচ্ছি বলে নানা রকমের তালবাহানা করে আসতেছে। এ পর্যন্ত ওয়েম বাজার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনির হোসেন আজাদি বার বার কথা দিয়েও কথা রাখেনি। ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে বিনিয়োগকারিদ্বয়েরা ওম বাজার এবং টাইমস্ ট্রেভেলস্ কোম্পানি থেকে পাওয়া অর্থ জমা রসিদের ডকুমেন্টস অনুযায়ী কয়েকজন প্রতারনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদ্বয়ের নাম সহ বিনিয়োগের পরিমান দেওয়া হলো, ও এম বাজার ও টাইমস্? ট্রাভেলসৃ কোম্পানিতে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জমা করেছিলেন ৪০ (চল্লিশ) লাখ টাকা, বাবুল হোসেন ৭৫ (পচাত্তর) লাখ টাকা,এ্যাডভেকেট আশরাফুল ইসলাম ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, অ্যাড. আলী ১ (এক) লাখ টাকা, অ্যাড, শহিদুল ইসলাম ১ (এক) লাখ টাকা অ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন ১ (এক) লাখ টাকা, মো: রোমান শেখ ২ (দুই) লাখ টাকা,আব্দুল ওহাব প্রধান ১০ (দশ) লাখ টাকা,খলিলুর রহমান ১ (এক) লাখ টাকা,ফারুখ হোসেন ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা,আব্দুস ছামাদ ৩ (তিন) লাখ টাকা, গোলাম মর্তুজা ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা মাহফুজ আহমেদ ২ (দুই) লাখ টাকা, রায়হান মাহমুদ ছিদ্দিক ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, মোস্তফা বজলুল রাব্বি ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, জনাব নজরুল ইসলাম ১৪ (চৌদ্দ) লাখ টাকা এবং কাজী নুরুজ্জামান ১০ লাখ টাকা। আমরা এবং আমাদের লোকজন গত তিন বছর যাবৎ ওএম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ নামক এমএলএম কোম্পানির পরিচালকের মিথ্যা আশ্বাসে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতেছি। আপনারা সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে সব সময় সত্যর পক্ষে কলম ধরেন আপনারা, আমরা ওম বাজার ও টাইমস্ ট্রেভেলস্ কোম্পানির খপ্পরে পরে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি আমরা। আপনারা যদি গণমাধ্যমে আমাদের প্রতারিত হবার বিষয়টি লেখনি এবং ফুটেজের মাধ্যমে গণমাধ্যমে তুলে ধরেন, তা হলে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচর হবে।তাতে করে আমাদের সকল বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের বিনিয়োগের টাকা ফেরৎ পাওয়া অতি সহজ হয়ে পড়বে বলে আমরা আশা করি। এ বিষয়ে ও এম বাজার,ও টাইমস্ ট্রাভেলস, এবং টাইমস্ ইন্টান্যাশনাল লিঃ এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্তাপনা পরিচালক সহ কোম্পানি গুলোতে কর্মরত কয়েকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে উল্লেখ্য যে ও এম বাজার নামক প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে প্রথম মগবাজার গুলফেসা প্লাজার ৯ম ও ১০ তলা ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম শুর করে । বর্তমানে ও এম বাজারের নামকে মুছে ফেলার জন্য টাইমস ট্রোভেল সহ প্রত্যেক পরিচালক সকলেই স্বতন্ত্র ভাবে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন আরো উল্লেখ্য যে এম ডি লুৎফর রহমান বিনিয়োগ কারিদের টাকার সিংহ ভাগ নিয়ে সুদুর চিন দেশে চলে যানএবং সেখানে স্বতন্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের সকল নতুন নামিয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব তিনি দিয়ে যাচ্ছেন ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম