তারিখ লোড হচ্ছে...

বরিশালে অফিস সহকারির পাঁচ তলা ভবন, ব্যাংকে জমা কোটি টাকা

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নেছারাবাদ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারি অামিনুল ইসলামের বরিশালে পাঁচতলা বাড়ি ও তার ব্যাংকের বেতন হিসাবে কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) বরাবর এই অফিস সহকারির অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ তদন্তে গেলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।

বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের পিছনে আমতলা মোড় সংলগ্ন ওসমান সড়কের বিলাসবহুল পাঁচতলা ভবন তালুকদার ভিলার মালিক তিনি, ২০১১-২০১৬সাল পর্যন্ত সোনালি ব্যাংকে তার পরিচালিত হিসাব নম্বর ১০০০১১১৫৫ এ এক কোটি ছয় হাজার সাত শত একাশি টাকা জমা।

অত্র অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক প্রশাসন খান মোঃ রেজাউল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা গেছে, একই কার্যালয়ের সহকারি পঃপঃ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এই অফিস সহকারির সহায়তায় জাল স্মারকের মাধ্যমে জাল প্রজ্ঞাপন তৈরী করে নেছারাবাদ উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করায় তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

দীর্ঘ ২২ বছর ধরে একই অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলালের ব্যাপারে সোহাগদল এফডব্লিউসি’র স্যাকমো মাহফুজা বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কোন খরচ দেওয়া হয়না। ২০১১ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত আমাদের বেতনের একটা অংশ আমিনুল ইসলাম আত্নস্যাত করেছিল যা সোনালী ব্যাংকের তৎকালিন ম্যানেজার তার বেতন হিসাবে অত্যাধিক টাকা লেনদেন  দেখে তদন্তে আসলে বেরিয়ে আসে। সে ঘটনায় দুলাল দোষ স্বীকার করে আমাদের টাকা ফেরত দিয়েছিল। শ্রান্তী ভাতার টাকা তুলে তাকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়।

সুটিয়াকাঠী এফডব্লিউসি’র  এফডব্লিউভি শিরিন সুলতানা বলেন, আমাদের যত ভাউচার বিল রয়েছে তার সব বিলের শতকরা ত্রিশ ভাগ দুলালকে দিয়ে আসি একাউন্সসহ অন্যান্য অফিসারদের যেটা দেওয়া দরকার সে দেয়।

মাঠকর্মীদের টাকা আত্নস্যাতের বিষয়ে তৎকালিন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অাবু বকর অাকন বলেন, ওই সময় দুলাল কর্মীদের বেতনের টাকার খুচরা অংশ আত্নস্যাৎ করেছিল যা সে স্বীকার করে রিফান্ড করায় প্রাথমিক ভাবে তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলাল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চাকরির বাহিরে কোন ব্যবসা নেই উল্লেখ করে ব্যাংক হিসাবের লেনদেন তার নয় এবং বরিশালের আমতলা মোড় সংলগ্ন ওসমান সড়কের বিলাসবহুল ভবন তালুকদার ভিলার মালিক হওয়া সত্বেও তিনি সে ব্যপারে বলা জাবেনা বলে জানান।

২৪ মে ২০২২ তারিখ দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) এর বরাত দিয়ে এফপি, পিরোজপুর মোঃ শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমিনুল ইসলাম দুলালকে ৩০মে ২০২২ উপস্থিত থাকতে বলা হয়। দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে স্বাক্ষদানকারী ব্যক্তিরা স্বাক্ষও প্রদান করেন বলে জানা গেছে কিন্তু আজো আলোর মুখ দেখতে পায়নি সে তদন্ত প্রতিবেদন। এ বিষয়ে দুলালের সাথে বারবার যোগাযোগ করার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এমনকি ক্ষুদে বার্তার জবাব দেননি।

মাধ্যমিকের দুই শ্রেণির পাঠ্যবই জানুয়ারিতে পাবে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার॥

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক এবং কারিগরি বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথমদিকেই পাঠ্যপুস্তক পাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাশাপাশি ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই শ্রেণিগুলোর জন্য ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৬টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে মোট ৫২৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৭ টাকা ব্যয় হবে। ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিক (বাংলা ও ইরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরি শ্রেণির সাত কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫৯টি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। ১০৭টি লটে ৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এই পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে। এতে মোট ২৮৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৮ টাকা ব্যয় হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) সপ্তম শ্রেণি, দাখিল সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরির সপ্তম শ্রেণির বিনামূল্যের পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৭টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ৯৯টি লটে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে। এতে মোট ২৪০ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৯ টাকা ব্যয় হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম