তারিখ লোড হচ্ছে...

কাপাসিয়ায় বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় কোটি টাকার গজারি বন উজাড়ের মচ্ছব

কাপাসিয়ায় বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় কোটি টাকার গজারি বন উজাড়ের মচ্ছব

স্টাফ রিপোর্টার :
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গজারি বন উজাড়ের মচ্ছব চলছে। শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও গোসিংগা বিট কর্মকর্তা সুযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তাও নীরব রয়েছেন।
উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের ভূলেশ্বর দরগার টেকের দক্ষিণে পারুর টেক নামক স্থান থেকে প্রায় দেড় মাস ধরে গাছ পাচার চলছে। ইতিমধ্যে আনুমানিক ৬০০ থেকে ৭০০ গাছ কাটা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, পারুর টেকের বিপুল পরিমাণ ভূমির মধ্যে একাংশের মালিক সাইজুদ্দিন বেপারী। এর উত্তর পাশে সংরক্ষিত গজারি বন ও পূর্ব পাশে সংরক্ষিত বনভূমি। ডিমারকেশন না থাকায় জোত বনের সাথে সংরক্ষিত বন মিশে একাকার। গাছ কমপক্ষে ১০ হাজার। দিগধা গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে এই বন কিনে ডিমারকেশন ও পারমিট ছাড়াই গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে।
দিনে গাছ কেটে গোসিংগা রোডের দেওনা গ্রামের বাবুল মোড়লের পোল্ট্রির পাশসহ একাধিক স্থানে নিয়ে মজুত করা হয়। পরে রাতে ট্রাকযোগে পাচার করা হয়। কিছুদিন আগে বাবুল মোড়লের পোল্ট্রির পাশে রাখা প্রায় ১০০ গাছের ছবি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানকে পাঠিয়ে ঘটনাটি জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। উল্টো গাছগুলো নিরাপদে পাচারের সুযোগ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, পারুর টেক ছাড়াও পারুর টেকের পূর্ব পাশের খলার টেক ও এর পূর্ব দিকের আজম আলীর টেক থেকে প্রায় ১ হাজার গজারি গাছ কেটে পাচার করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে গাছগুলো প্রকাশ্যে কেটে নিলেও বিট অফিস কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রতিবাদ করলে মিথ্যা বন মামলায় ফাঁসানো হয়। ওপরে তথ্য দিলেও রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ছয় বুঝিয়ে সব ধামাচাপা দিয়ে দেন।
পারুর টেকে গাছ কাটার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহে যান। এ সময় ঘটনাস্থল চেনার জন্য রাস্তা থেকে দেওনা গ্রামের স্বপন নামের একজনের সহযোগিতা নেওয়া হয়। পরে তিনি সিরাজুল ইসলামের গাছ পাচার সম্পর্কে ভিডিও বক্তব্য দেন। ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করলে দ্রুত ভাইরাল হয়। এতে সিরাজুল ইসলাম ও বিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তার উপর ক্ষিপ্ত হন। তিনি এখন মামলা-হামলার আতংকে আছেন।
কাপাসিয়া ও শ্রীপুরের কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ী জানান, পারমিট ছাড়া জোতের গাছ কাটলে বিট অফিসে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। ডিমারকেশনের সমস্যা থাকলে ট্রাকপ্রতি ২০ হাজার টাকা ও জোত-খাস মিলিয়ে কাটলে চুক্তি করে কাটতে হয়। লেনদেন সরাসরি ও বিকাশে হয়। বিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও ফরেস্ট গার্ড মনিরের বিকাশ নম্বর তদন্ত করলে বিভিন্ন এলাকার দোকান থেকে পাঠানো লাখ লাখ টাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, পারুর টেকের গাছগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা টাকার লোভে পড়ে গাছ পাচারের সুযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয় এক অসাধু সার্ভেয়ার দিয়ে মাপজোখ করে গাছগুলো জোতের বলে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এ ব্যাপারে গাছ পাচারকারী সিরাজুল ইসলাম ও গোসিংগা বিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, সার্ভেয়ার দিয়ে মাপা হয়েছে। বন থেকে কিছু গাছ কাটা হয়েছে। এটাও জোত বলা হচ্ছে। যৌথ জরিপ করা হবে।
তবে বিটের একজন বলেছেন, জোতের সাথে বন থাকলে অবশ্যই যৌথ ডিমারকেশন করতে হবে। ওই বিষয়ে এসিল্যান্ড অফিসে ডিমারকেশনের আবেদনই করা হয়নি। তাহলে যৌথ জরিপ কিভাবে হবে? আর পারমিট ছাড়া জোত বনও কাটার সুযোগ নেই।

বুড়িচংয়ে উন্নয়ন ভাবনা: ইউএনওর সাথে প্রেসক্লাবের বৈঠক

বুড়িচং প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে ইউএনওর মতবিনিময় সভা

বুড়িচং প্রতিনিধি:

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সার্বিক সমস্যা ও উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেনের সাথে বুড়িচং প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মাদক, চোরাচালান, বাল্যবিবাহ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইউএনও তানভীর হোসেন বলেন, “উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত সহযোগিতা অপরিহার্য। প্রশাসন একা কিছু করতে পারে না, তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে।”

বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু মুসা, সাবেক সভাপতি মো. মোসলেহ উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, যুগ্ম সম্পাদক মারুফ আহমেদ কল্প, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম সুমন, দপ্তর সম্পাদক মো. সাফি, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল্লাহ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. ফয়েজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মদ রকিবুল হাসান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাচ্চু মোল্লা এবং সদস্য জামাল উদ্দিন দুলাল, হাসিবুল ইসলাম সবুজ, মো. তাজুল ইসলাম ও আশিক ইরান।

সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের গঠনমূলক মতবিনিময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম