তারিখ লোড হচ্ছে...

ফরিদপুরে আওয়ামীপন্থীদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফরিদপুরের মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা এবং সংশ্লিষ্ট তিনটি পৌরসভায় নবগঠিত বিএনপির কমিটি স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন দলটির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করেছেন, নতুন ঘোষিত কমিটিগুলোতে আওয়ামী লীগের পদধারী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ কমিটিতে রাজপথে লড়াই করা নেতাদের সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগপত্র ০২ নভেম্বর (শনিবার) ২০২৫ তারিখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাবর পাঠানো হয়েছে, যা দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী-এর মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপনের স্বাক্ষরে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তিন উপজেলা ও তিন পৌরসভা কমিটিতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা দলের আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বিগত ১৬ বছর রাজপথে যারা বিএনপির পতাকা উচিয়ে রেখেছেন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষ করা ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত দুই নেতা মিরাজুল ইসলাম মিল্টন ও সাইফুর রহমানকে সহসভাপতি পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। চিঠিতে আরও দাবি করা হয়, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালীসহ ফরিদপুর-১ আসনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে সংগঠনকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের দপ্তরে জমা দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ফরিদপুর-১ আসনের দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী জয়দেব কুমার রায় ও মো. শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনু। তারা দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, বিতর্কিত এই কমিটি অবিলম্বে স্থগিত করে রাজপথে সংগ্রামী নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন করে কমিটি পুনর্গঠন করার জন্য।

ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

ডেস্ক রিপোর্ট:

গোয়েন্দা সংস্থার সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, একটা গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ডিজিএফআই আপনার-আমার পকেটের টাকায় চলাফেরা করে। তারা কত টাকা খরচ করে, বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে না। তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নাই, জবাবদিহি নাই, স্বচ্ছতা নাই তাদের একটাই কাজ, মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে। কিছু হলেই আয়নাঘরে তুলে নিয়ে যায়। আপনাদের আয়নাঘর আমরা ভেঙে দিয়েছি। সামনে যদি একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়, আমরা আয়নাঘর কেন, ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেব। যথেষ্ট সহ্য করেছি। বাংলাদেশে যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই এটার সংস্কার করতে হবে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জাতীয় যুব সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথা বলেন।

সংস্কারকাজ শেষ না হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। সংস্কারকাজ শেষ না করে যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, তাহলে আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, কবরে গিয়ে তাদের লাশগুলো ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার যে ভাইয়ের হাতটা চলে গিয়েছিল, যদি সংস্কারকাজ শেষ না করে নির্বাচন হয়, তাহলে এই সরকারকে আমার ভাইয়ের হাতটা ফিরিয়ে দিতে হবে। যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, ওই মায়ের বুকের সন্তানকে ফেরত দিতে হবে। পুরোনো সংস্কৃতিতে নির্বাচন হলে জুলাইয়ে কেন এত মানুষ আহত-নিহত হলো, এই প্রশ্ন তুলে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ফ্যাসিবাদী সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাহলে এতগুলো মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? এতগুলো মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?’

সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম আগে ছিল হাসিনামাধ্যম, এখন কী মাধ্যম সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলাম। তাঁদেরকে বলেছিলাম, যা আকাম করেছেন, ঘরের ভেতরে বসে থাকেন। যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভেতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাঁদের লজ্জা নাই। তাঁরা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম