তারিখ লোড হচ্ছে...

আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেবে, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

অনলাইন ডেস্কঃ

বাংলাদেশকে প্রায় ৪.৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ এর বোর্ড সভা। সংস্থাটির অফিসিয়াল সাইটে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের এক্সিকিউটিভ বোর্ড ‘এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) অধীনে বাংলাদেশের প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অনুরোধ অনুমোদন করেছে। এর বাইরে নবগঠিত রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) অধীনে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। এই ফান্ড থেকে এশিয়ার কোনো দেশ এই প্রথম অর্থ পাচ্ছে।

আইএমএফের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস রিলিসে আরও বলা হয়েছে, ইসিএফ এবং ইএফএফ এর ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে শিগগিরই প্রায় ৪৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। সরকার আশা করছে, এটি ফেব্রুয়ারি মাসেই পাওয়া যাবে।

এরআগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে, এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থপ্রাপ্তির খবর দিয়েছিলেন। এসময় তিনি আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশন প্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তা ভালো।

এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন আইএমএফের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। ঋণের বিষয়টি নিয়ে সেদিন আলোচনা হয়। এর আগে তিনি বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথেও। এরপর ঋণের বিষয়ে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ।

সব ঠিক থাকলে, অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিতে সহায়তা হিসেবে সংস্থাটির ৩২০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। বাকি অর্থ মিলতে পারে রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায়। এতে সুদের হার হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। চুক্তি হবে ৪২ মাসের।

অভিযুক্তকে অধ্যক্ষ করার পাঁয়তারা চলছে ভিকারুননিসায়

স্টাফ রিপোর্টার॥
অধ্যক্ষকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করায় নতুন খেলা জমে উঠেছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। আইন অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগের আগ পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটি না মেনে গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য অপেক্ষাকৃত জুনিয়র একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করতে মরিয়া। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে তারা ক্যাম্পাসে গোপন বৈঠক করেছেন বলেও সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, অধ্যক্ষ ওএসডি হওয়ায় সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ও যোগ্যতাসম্পন্ন একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেবেন গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। সে ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হাসিনা বেগমের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার কথা। কিন্তু গভর্নিং বডির চারজন সদস্য বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক কেকা রায় চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

সদস্যরা হলেন কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানম, অভিভাবকদের মধ্যে প্রাথমিক শাখার গোলাম বেনজীর, স্কুল শাখার আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া (পুলক) ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মৌসুমী খান। কিন্তু কেকা রায়ের বিরুদ্ধে এর আগে দুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে ৪৪৩ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তির অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গভর্নিং বডির একজন সদস্য জানান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে ওএসডি করা হয়েছে। এখন প্রক্রিয়া করে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতিকে অবহিত করেছি। কিন্তু আগের অধ্যক্ষের সকল অপকর্মের সঙ্গী গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য জুনিয়র একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করতে তড়িঘড়ি শুরু করেন। তারা রাত ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে গোপনে বৈঠক করেছেন। সেখানে তারা কেকা রায় চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু অভিভাবকদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে তারা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এদিকে, ভর্তি বাণিজ্যে অভিযুক্ত একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে, এমন খবরে আজ বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন অভিভাবকরা। দুই শতাধিক অভিভাবক এতে অংশ নেন। তাদের দাবি, কেকা রায় চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হলে আবারও ভর্তি বাণিজ্যসহ প্রশাসনিক দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সে কারণে তারা একজন জ্যেষ্ঠ ও যোগ্য শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে গভর্নিং বডির সদস্যদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের পাঁয়তারার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

চারজন মিলে বৈঠক করেছেন কিনা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানম। তিনি বলেন, আমাকে প্লিজ এসব বিষয়ে জড়াবেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিভাবক প্রতিনিধি গোলাম বেনজীর ও আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া পুলককে জিজ্ঞাসা করুন। গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান।

এ বিষয়ে জানতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

language Change
সংবাদ শিরোনাম