তারিখ লোড হচ্ছে...

আ’লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই: মির্জা আব্বাস

অনলাইন ডেস্কঃ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল হয়েছে ১০ তারিখে। আর ৮ তারিখেই মহাসচিবসহ আমাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমরা বুঝতে পারলাম না আমাদের কেন গ্রেফতার করা হয়েছে। এ গ্রেফতার, নির্যাতন, গুম, খুন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। বাংলাদেশকে লুটের আখড়া বানিয়েছে। টাকা কামানোর মেশিন বানিয়েছে বাংলাদেশকে। আর আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। এ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর সোনাদীঘির মোড়ে বিএনপি এ বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর এখানে সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ভোটের রাজনীতি আর নেই। ১৫ বছর আগে যারা ভোটার হয়েছেন তারা আজও একটি ভোট দিতে পারেননি। আমিও ভোট দেওয়া ভুলে গেছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিটা আওয়ামী-জামায়াতের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের সময় আওয়ামী-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে বারবার বলেছিলেন ‘এ মুহূর্তে দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার’। আজকের প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, চিরদিনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে হবে। আজ ক্ষমতায় এসেই এ আওয়ামী লীগ সরকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠিয়ে দিলেন। আদালতের রায়ে বাংলাদেশের জনগণ সব সময় চলে না। আদালতের রায়ে রাজনীতি নির্ধারণ হয় না। রাজনীতি রাজনীতির মতোই চলবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংসদ থেকে পাস করে সংবিধানকে কাটাছেড়া করে সংবিধানের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের দাবিতে। আজকে গরিবের পেটে খাওয়া নেই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কথায় কথায় তেলের দাম বাড়িয়ে দেন, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেন। কারণ আপনাদের তো ভোটের দরকার নেই। যদি ভোটের দরকার থাকতো তবে জনগণের চাওয়া কী তা তাকিয়ে দেখতেন। জনগণ কী ভাবছে তা আপনারা ভাবতেন। এমন কিছুই ভাবছেন না আপনারা। কারণ আপনারা জানেন বিকল্প পন্থায় ক্ষমতায় চলে আসবেন।

তিনি বলেন, আমরা যখন মিছিল করি, স্লোগান দেই তখন আওয়ামী লীগের বুকে কাঁপন ধরে। আমরা রাস্তায় হাঁটি, পদযাত্রা করি আর উনারা বলে এটা হলো বিএনপির মরণ যাত্রা। আমরা বলতে চাই। এটা হলো আওয়ামী লীগের অগ্রিম শবযাত্রা। যা সারা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেখবেন রাজশাহী নয় সারা বাংলাদেশ বিএনপির ঘাঁটি হয়ে গেছে। আমরা কয়টা আসন পাবো জানি না। তবে জনগণ আওয়ামী লীগকে আর ভোট দেবে না।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও হাবিবুর রহমান।

বিএনসিসির সহায়তায় দেশ নিরাপদ জায়গায় এসেছে : সেনাবাহিনী প্রধান

স্টাফ রিপোর্টার: 

সাভার থেকে,আলী রেজা রাজু:পাঁচ আগষ্টের পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) যেভাবে সহয়তা করেছে তাতে দেশ এখন একটা নিরাপদ জায়গায় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের বাইপাইল এলাকায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ট্রেনিং একাডেমির একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনসিসি সেনা, নৌ ও বিমান শাখার একদল চৌকষ ক্যাডেটবৃন্দ সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গার্ড অব অনার গ্রহণ ও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন সমাপনান্তে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান বিএনসিসি ট্রেনিং একাডেমিতে বৃক্ষরোপন করেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি বিএনসিসিতে কর্মরত সামরিক অফিসার (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী), বিএনসিসি অফিসার (বিএনসিসিও), প্রফেসর আন্ডার অফিসার (পিইউও), টিচার আন্ডার অফিসার (টিইউও) ও বিএনসিসি ক্যাডেটদের মাঝে তাঁর স্বাগত ভাষণ ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যের শুরুতে সেনাবাহিনী প্রধান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বিএনসিসি ক্যাডেটসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং গত জুলাই-আগস্ট এর বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলনে সকল ছাত্র জনতার আত্মত্যাগকে। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই সংস্থার সকল সদস্যকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

এর আগে, সকালে কোর অব মিলিটারি পুলিশ সেন্টার (সিএমপি) কোরের বাৎষরিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০২৪ যোগ দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, এ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মোঃ মাসুদুর রহমান, ৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, বিএনসিসি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিএনসিসির সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

 

সবা:স:জু- ৩৩০/২৪

language Change
সংবাদ শিরোনাম
শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ মানিকছড়িতে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদুদ ভূইয়া'র পথসভা সীমান্ত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি সিন্ডিকেটে আটকে আছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কোটি টাকার মেশিন কেরানীগঞ্জে ঠিকাদার রফিকের অবৈধ গ্যাস সংযোগে টাকার মেশিনের সন্ধান আগুন সন্ত্রাস আটক করায় গুলশান ট্রাফিক পুরস্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি থানা ও ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সোহেল রানা বহিষ্কার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী সাইবার দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা