তারিখ লোড হচ্ছে...

অন্যের সম্পত্তি দখল করে আছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবা সুলতানা

 

হাফসা আক্তারঃ

অবৈধভাবে অন্যের সম্পত্তি দখল করে আছেন ড. মাহবুবা সুলতানা পেশায় উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তার নামে অবৈধভাবে একটি ফ্ল্যাটের একাংশ অনেক বছর যাবত দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ২০০০-২০০৩ পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের প্রাক্তন অফিসার ছিলেন,আবার ৩১ মে ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সহকারি অধ্যাপিকা হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন এরপরে তিন বছর তাকে কোন কারণে কোথাও কর্মরত থাকতে দেখা যায়নি । ২০১৩ সালের ১৩ই জুলাই হঠাৎ তাকে ধামরাই গভমেন্ট কলেজ প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপিকা ২৮ই মে ২০১৭ পর্যন্ত কর্মরত থাকতে দেখা যায়। আবার দুই বছর তাকে কোথাও কর্মরত থাকতে দেখা যায়নি, হঠাৎ ২৮শে জানুয়ারি ২০১৯ থেকে তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে দেখা মিরপুরস্থ সেকশন ২ ব্লক চ, এর ১১৫-১১৮ নং আধা পাকা টিনশেড বাড়ির উপর অষ্টম তলা নির্মিত ইমারতের ষষ্ঠতলা নির্মিত পূর্ব পাশের ১২৫০ বর্গফুট ৬/বি ফ্ল্যাটটি ক্রয় করে, যার মোট মূল্য সাব-রেজিস্ট্রি ে অফিস অনুযায়ী ২১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা মাত্র। তারই পাশের ৬/এ ফ্ল্যাট টি ক্রয় করে মোঃ জাকারিয়া ফয়সাল ও সাবরিনা আফরোজ। মোঃ জাকারিয়া ফয়সাল পেশায় একজন শিক্ষক, তিনি বাংলাদেশ ব কমার্স কলেজে ইংরেজি বিভাগে অধ্যায়নরত তার স্ত্রী সাবরিনা বি আফরোজ পেশায় গৃহিণী।
ড. মাহবুবা সুলতানা ষষ্ঠ তলায় ওঠার প্রায় কয়েক বছর পর তাহারা ৬/এ এর পশ্চিম পাশের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেল রিসিট অনুযায়ী ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের নির্মিত ফ্ল্যাটটিতে অবস্থান নেয়। হঠাৎ করে নিচের বাসার এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সাবরিনা । সুলতানা, তার চোখে পড়ে তার ফ্ল্যাটের আয়তনের চেয়ে উক্ত ফ্ল্যাটটির আয়তন অনেক বড়। এই দীপ্তি কাশবন বাড়িটি তৈরি হয় দীপ্তি আবাসন লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে, তাহার সন্দেহ দীপ্তি আবাসনের কাছে বলে। দীপ্তি আবাসন লিমিটেড এক সার্ভেয়ার এনে মেপে দেয় ১২৫০ বর্গফুট কিন্তু তাতেও তাহাদের সন্দেহ যায়নি তারা নিজেরা হাউজিং এর একজন সার্ভেয়ার এনে মাপ দিয়ে দেখে তাদের ফ্ল্যাটের অংশ কম ৯১১.২৫ বর্গফুট। দীপ্তি আবাসনের তৎকালিন চেয়ারম্যান ছিলেন ড. মাহবুবা সুলতানার স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম। তাদের নিজেদের সৌন্দর্য রক্ষার্থে জোর করে অবৈধভাবে বাড়তি জায়গা দখল করে আছে, একজন হল কোম্পানির চেয়ারম্যান ও আর একজন হল স সরকারি ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। অবৈধ সম্পত্তি দখল সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত রয়েছে ড. মাহবুবা সুলতানা।ভুক্তভোগীরা উত্তর দীপ্তি কাশবন সোসাইটি মালিক সমিতির বিচার সালিশে রায় পায় যে, রায়ে লেখা আছে প্রথম পক্ষ অর্থাৎ জাকারিয়া ফয়সাল আর দ্বিতীয় পক্ষ ড. মাহাবুবা সুলতানা মৌখিক জবানবন্দী চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করে দ্বিতীয় পক্ষের মাহাবুবা সুলতানা এর পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে তাহার স্বামী নজরুল ইসলাম সাহেব প্রথম পক্ষের ১২৫০ বর্গফুট থেকে ১২০ বর্গফুট ড্রয়িং রুমের সাথে একত্রে করে নিয়েছে তাহা স্বীকারোক্তি দেন। এ ব্যাপারে ডক্টর মাহবুবা সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন এ বিষয়ে আমরা কোম্পানির সাথে বসে আলাপ করে নিন।

 আজ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী

স্টাফ রিপোর্টার॥

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (১৭ নভেম্বর)। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। ঢাকা ও টাঙ্গাইলের দিনটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। তার ডাকনাম ছিল চেগা মিয়া। তবে তিনি লাল মওলানা হিসেবেও সমধিক পরিচিত। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।

মওলানা ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় সংগ্রাম করেছেন মওলানা ভাসানী। জাতীয় সংকটে জনগণকে পাশে নিয়ে গড়ে তুলতেন দুর্বার আন্দোলন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাকে কখনও আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তিনি সবসময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন।

শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মওলানা ভাসানী।কিংবদন্তি এ জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ৮টায় মাজার প্রাঙ্গণে তবারক বিতরণ হবে।

এরপর বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তলা একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাবেন।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম