ব্যবসার নামে প্রতারণা আদালতে মামলা, বাঁদিকে প্রাণনাশের হুমকি

 

স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুর মহানগর গাছা থানাধীন ৩৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার হোসেন গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে বাদী হয় একটি চেক ডিজঅনারের মামলা করেন, মামলা নং- ২৪/২০২৩। এই মামলায় বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারী করে। এতে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সহ তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত মোবাইলে ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে, আসামী জামান সহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় ১ জনের নাম উল্লেখ করে, প্রাণের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং- ২২৬ তারিখ ০৪-০২-২০২৩ ইং।ঘটনার বিষয় ষড়যমিন ঘুরে জানা যায় আসামি জামান উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজার রোডে নাবিলা ফ্যাশন নামেগার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন জনের কাছ থেকে গার্মেন্টস কাপড় কৌশলে নিয়ে টাকা পরিশোধের ছলচাতুরি আশ্রয় গ্রহণ করে। অনেক লোকের টাকা পয়সা না দিয়ে নানা প্রকার তালবাহানা করে থাকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামানের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান দেলোয়ার অন্য এক পার্টির কাছ থেকে মাল এনে দিয়েছিল। টাকাপাবে দিব মামলা করেছে কেন আমার উপরে অনেক লোক আছে, দেখি কি করা যায় সাংবাদিক সাবান মাহমুদ আমার আত্মীয় ,

এ বিষয়ে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক বিএনপির সাবেক এমপির ছেলেদেরকে মামলায় ফাসানোর অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

গত ১৪.১০.২০২৪ ইংরেজি তারিখে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার কৃষকলীগ নেতা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় চাদাবাজির মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সাবেক এমপি পুত্র সাদ্দাম এবং সায়েম সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামি করা হয়েছে। সাদ্দাম কিশোরগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। সাদ্দামের পিতা জনাব কবির উদ্দিন আহম্মেদ (বীর মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানি কমান্ডার, সাবেক সংসদ সদস্য কিশোরগঞ্জ-৩)
১৬.১০.২০২৪ ইং তারিখে হোটেল শেরাটনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।সেখানে তিনি বলেন বিগত ১৮ বছর যাবত আমার পরিবার জাতীয় পার্টির এমপি মজিবুল হক চুন্নু দ্বারা মারাত্তকভাবে আর্থিক,সামাজিক,রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। এখন এই সময়ে এসেও আমার পরিবার মজিবুল হক চুন্নু ও তার কতিপয় এজেন্ট দ্বারা নির্যাতনের শিকার হবে?! এই সময়ে এসেও তার এত ক্ষমতার উৎস কি? তার এজেন্ট কারা?
এই ব্যাপারে মামলার আরেক আসামি সাদ্দামের বড় ভাই তাওসিফ কবির সায়েমের সাথে কথা বললে তিনি আমাদের বলেন, তিনি অন্তত ২৫/২৬ বছর যাবত নৌকার ব্যাবসার সাথে জড়িত। ২০০৯-২০১৩ সালের মধ্যে ৮টি নৌকার অর্ধেক মালিকানা ক্রয় করে স্বাভাবিকভাবে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। বিগত ২০১৬ সালে এসে তারা স্থানীয় প্রভাবশালী এমপি ও মজিবুল হক চুন্নুর প্রভাব খাটিয়ে আমাদের নৌকাগুলো জোর পূর্বক দখল করে নেয় এবং নৌকার টাকা আত্মসাৎ করে।
পট পরিবর্তনের পর আমরা স্থানীয় দরবারিদের সহায়তায় আমাদের নৌকা ও পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করি এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৯.০৯.২০২৪ ইংরেজি তারিখে একটি মামলা দায়ের করি যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা মজিবুল হক চুন্নু ও তার দোসরদের সহায়তায় উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা চাদাবাজি মামলা দায়ের করে আমার ভাইকে গ্রেফতার করায়। সাদ্দামের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ভিপি সুমন ছিলেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি,কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক, বিপুল ভোটে নির্বাচিত করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
এলাকার বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন মূলত মজিবুল হক চুন্নু ভিপি সুমনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরন করে আসছে সবসময়। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে বারবার।একবার রাতের আধারে বাসায় ঢুকে গুলি করলে গুলি বিদ্ধ হয় তার ছোট ভাই মাসরুর আহম্মেদ রুমন, তার কিছুদিন পর আবারও ভিপি সুমন এর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করা হয় এবং তখন ৭টি বুলেট বিদ্ধ হওয়ার পরও অলৌকিক ভাবে সে বেচে যায়। আর এসবই হয়েছে চুন্নুর মদদে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও মজিবুল হক চুন্নু থেমে নেই। সে তার এজেন্টদের মাধ্যমে হীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে ভিপি সুমন কে ধ্বংস করতে চাচ্ছে এবং এই চাদাবাজির মামলা মূলত এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম