তারিখ লোড হচ্ছে...

এনবিআরের ৩৬ কর্মকর্তা বদলি, পদোন্নতি ১২

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৬ কর্মকর্তাকে রদবদল করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন পদোন্নতি পেয়েছেন।

রোববার এনবিআরের প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) উপসচিব মো. শাহিনুজ্জামানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, বিসিএস (কর) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের পাশে বর্ণিত পদ, কর্মস্থল, বদলি অথবা পদায়ন করা হলো।

এদের মধ্যে ঢাকা কর অঞ্চল-৯ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার রনজিত কুমার তালুকদারকে ঢাকা কর অঞ্চল-৪ এ বদলি করা হয়েছে। আর ঢাকা কর অঞ্চল-৪ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. নুরুজ্জামান খানকে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল-৬ এ।

আদেশে আরো বলা হয়, ঢাকা কর অঞ্চল-৭ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ কবীরকে বদলি করা হয়েছে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) করে।

কর অঞ্চল-৬ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল-১ এ। কর অঞ্চল ময়মনসিংহের অতিরিক্ত কর কমিশনার কবির উদ্দিন মোল্লাকে বদলি করা হয়েছে কর পরিদর্শন পরিদপ্তর ঢাকাতে।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা কর অঞ্চল-৭ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেনকে বদলি করা হয়েছে কর অঞ্চল কুমিল্লাতে। কর অঞ্চল বগুড়ার অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে বদলি করা হয়েছে কর অঞ্চল-৩ চট্টগ্রামে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (কর) মো. শাহিন আক্তার হোসেনকে করা হয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল-৯ এ। ঢাকা কর অঞ্চল-১২ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ প্রথম সচিব (কর) করে। ঢাকা কর অঞ্চল-২ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) করে।

আর এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) মো. শাহ আলীকে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল-৭ এ। কর আপিল অঞ্চল-৩ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার তৌহিদুল মুনিরকে বদলি করা হয়েছে কর অঞ্চল ময়মনসিংহে। এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) মো. গোলাম কবীরকে আকর অঞ্চল-৫ এ বদলি করা হয়েছে। এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) আসমা দিনা গণিকে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল-২ এ। ঢাকা কর অঞ্চল-১ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার এসএম আবুল কালাম আজাদকে বদলি করা হয়েছে চট্টগ্রামের কর আপিল অঞ্চলে। কর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জ এয়ার অতিরিক্ত কর কমিশনার চলতি দায়িত্ব মো. আবদুস সবুর খানকে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল- ১৩ এ।

এনবিআরের আদেশে বলা হয়, এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) জিনাত আরাকে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এ। ঢাকা কর অঞ্চল-১৩ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার শ্রাবণী চাকমাকে বদলি করা হয়েছে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) করে। চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-৩ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার হেমল দেওয়ানকে বদলি করে সিলেট কর অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা কর অঞ্চল-১১ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার আয়েশা সিদ্দিকা শেলিকে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর আপীল অঞ্চল-১ এ। কর আপিল অঞ্চল-১ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার বিপ্লব কান্তি দাসকে বদলি করে ঢাকা কর অঞ্চল-১২ এ পাঠানো হয়েছে। এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) মো. আমিনুর রহমানকে বদলি করে ঢাকা কর অঞ্চল আপিল-৪ এ পাঠানো হয়েছে। কর অঞ্চল কুমিল্লার অতিরিক্ত কর কমিশনার সাধন কুমার রায়কে বদলি করা হয়েছে ঢাকা কর আপীল অঞ্চল-৩ এ। কর অঞ্চল সিলেটের অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আবু সাঈদ সোহেলকে বদলি করা হয়েছে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) করে। ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুর রকিবকে পদোন্নতি দিয়ে ঢাকা কর অঞ্চল-১ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) দিয়ে বদলি করা হয়েছে। কর অঞ্চল গাজীপুরের যুগ্ম কর কমিশনার সৈয়দ মহিদুল হাসানকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) ঢাকা কর অঞ্চল-৯ এ বদলি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কর জরিপ অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. মহিদুল ইসলামকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব)করে কর অঞ্চল বগুড়ায় বদলি করা হয়েছে।

এনবিআরের আদেশে আরো বলা হয়, ঢাকা কর অঞ্চল-৭ এর যুগ্ম কর কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান মাসুদকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত কর কমিশনার করে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) পদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা কর অঞ্চল-২ এর যুগ্ম কর কমিশনার রুনা লায়লাকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার করে ঢাকা কর অঞ্চল-১১ এ বদলি করা হয়েছে। কর আপিল অঞ্চল-৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার নাজমা পারভীনকে ঢাকা কর অঞ্চল-৭ এ অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব ) করে বদলি করা হয়েছে। আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের যুগ্ম পরিচালক (যুগ্ম কর কমিশনার) সেলিনা সুলতানাকে অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) করে পরিদর্শন পরিদপ্তরের পরিদর্শন-৪ এ বদলি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার ভূবন মোহন ত্রিপুরাকে কর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) করে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা কর অঞ্চল-১ এর যুগ্ম কর কমিশনার সাহেনা আক্তারকে ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এ অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে। ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর যুগ্ম কর কমিশনার মো. নজরুল আলম চৌধুরীকে বদলি করে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এ অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে। কর অঞ্চল বরিশালের এর যুগ্ম কমিশনার মু. মহিতুর রহমানকে কর অঞ্চল বরিশালের অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে এবং ঢাকা কর অঞ্চল-১২ এর যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে আহাদ কায়ছারকে ঢাকা কর অঞ্চল-৪ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে।

 

হদিস নেই টেলিটকের ২০০ কোটি টাকার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখন বসানো হয়েছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানিতে

স্টাফ রিপোটারঃ

সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের প্রায় ২০৫ কোটি টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে আছে সংস্থাটির নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে ১০৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং চলতি হিসাবের ১০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিনকে সরকার সরিয়ে দেয়। বিদায়বেলা তিনি উল্লিখিত অর্থের হিসাব দিতে পারেননি। এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ আছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। বিভিন্ন সেবা আর কেনাকাটার বিল পরিশোধ না করায় এভাবে সংস্থাটি দেনায় পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে টেলিটক লুটপাট আর দেনার কবলে পড়ে বেহাল দশায় পড়লেও এর বিদায়ি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিনের বেশ রমরমা অবস্থা। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি তাকে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমন ব্যক্তির পদায়নে ওই প্রতিষ্ঠানও নতুন করে ধ্বংস হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টেলিকমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাহাবুদ্দিন যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্তে দোষী সাব্যস্থ না হবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে কোথাও না কোথাও তো বসাতে হবে। তবে এতটুকু বলতে পারি, এটা তার স্থায়ী জায়গা নয়।

জানা গেছে, টেলিটকের এ সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকটি অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন। এছাড়া বদলির পর দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংকে ১০৫ কোটি টাকার এফডিআর আর চলতি হিসাবের ১০০ কোটি টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি তিনি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই অর্থের ব্যয় কোন খাতে হয়েছে তার জন্য গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। এমন একজন ব্যক্তিকে পুনরায় কেন এমন গুরু দায়িত্বে দেওয়া হলো সেটাও ভাবনার বিষয়।

টেলিটকের দায়দেনা সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে প্রতিষ্ঠানটির দেনা ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংক ঋণ আছে ১২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ৮৩ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য টেলিটককে চিঠি দিয়েছে। কয়েকটি স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছেও কয়েকশ কোটি টাকা দেনা রয়েছে টেলিটকের। টাওয়ার কোম্পানি ই-ডটকো, হুয়াওয়ে এবং সামিটও কয়েকশ কোটি টাকা পাবে।

এ বিষয়ে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, আমরা টেলিটকের কাছে ৮৩ কোটি টাকা পাব। তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, এই ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নেই টেলিটকের। টিকে থাকতে হলে প্রতিষ্ঠানটিকে অন্য কোম্পানির সঙ্গে একীভূত (মার্জার) হতে হবে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সহজে টেলিটকের সিম পাওয়া যায় না। রিচার্জ পয়েন্টও অনেক কম। নেটওয়ার্কের অবস্থাও ভালো নয়। এসব কারণে গ্রাহক টেলিটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

সরকারি মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় সম্পৃক্ততাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। বিটিআরসির তদন্তে তার বিরুদ্ধে অনিয়মে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। অবৈধ ভিওআইপিতেই বাজিমাত করেছেন সাবেক এই এমডি। তিনি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের লেনদেন করেই আজ শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেনাকাটা থেকে শুরু করে নিয়োগ, পছন্দের কোম্পানিকে কাজ দেওয়া, পুরোনো পদ্ধতির এসব লুটপাট তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আমদানি কমিশন ও বিটিএস সাইট স্থাপনে শেয়ার সাইট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ই-ডটকোকে উচ্চমূল্যে একচেটিয়া সাইট প্রদান করেছে। ই-ডটকো টেলিটক থেকে বিল কালেকশনের জন্য কিউবিক গ্লোবাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিকে লবিস্ট হিসাবে নিয়োগ করেছে। এই কোম্পানির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে সাহাবুদ্দিন। কাগজে-কলমে কেনা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে নেই; স্ক্র্যাচকার্ড এবং ক্যাশ কার্ডের হিসাবে এমন কোটি কোটি টাকার গরমিলের প্রমাণ মিলেছে। সাহাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দুদক এসব বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে দায়িত্ব দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশনায় টেলিটকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এই তদন্ত প্রতিবেদনও অদ্যাবধি ফাইলবন্দি; এসব অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে তদন্ত হওয়া জরুরি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অ্যান্ড ভ্যাস ডিপার্টমেন্ট থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগ পরীক্ষায় সফটওয়্যার সাপোর্টের বিপরীতে ভেন্ডর কোম্পানি সিনটেক্স সিস্টেমের নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৫১ টাকার বিল প্রদানের চেষ্টার অভিযোগে টেলিটকের ক্রয় বিভাগের সব কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়।

এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর কারণে টেলিটকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাবুদ্দিন ও টেলিটকের অ্যাডমিন বিভাগের ডিজিএম কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাছাড়া ইতঃপূর্বে বিটিসিএলে ক্রয় বিভাগের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ওএসডি করা হয়েছিল সাহাবউদ্দিনকে। তার বেশুমার দুর্নীতির কারণে বিটিসিএলের টেলিকমিউনেশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিডি-পি ৫৩) থেকে অর্থ প্রত্যাহার করে নেয় জাপানি দাতা প্রতিষ্ঠান জাইকা।

টেলিটকের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এমডি সাহাবুদ্দিনের দুর্নীতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে দফায় দফায় অভিযোগ দিয়েও তেমন কোনো প্রতিকার মেলেনি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু নামমাত্র বদলি করা হয়েছে। এতে করে বেপরোয়া হয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় তিনি দুর্নীতি করতে পারেন এবং ধ্বংস হতে পারে সাবমেরিন কোম্পানি লিমিটেড। ইতঃপূর্বে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে তার অনুগত চক্রকে দিয়ে ওইসব আলামত সরিয়ে নেওয়া হয় এবং যারা অভিযোগ করেন তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টেলিটকের সাবেক এমডি সাহাবুদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো সবই মিথ্যা। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম, আপনারা তদন্ত করে দেখেন। একটি চক্র আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। দায়িত্বে থাকাকালীন তাদের সুবিধা দেইনি বলে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম