তারিখ লোড হচ্ছে...

দেড়শ কোটি টাকা ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাগাভাগি

স্টাফ রিপোর্টার॥

চলতি অর্থবছরে গবেষণা বাবদ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাদ্দ দেয় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে গবেষণা বাবদ খরচের জন্য।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া সুনির্দিষ্ট গবেষণা প্রস্তাবের বিপরীতে এ টাকা খরচ করার বিধান থাকলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয় তা মানেনি। তারা খুশি মতো খরচ করেছে এ টাকা। কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই শুধু শুধু ঢালাওভাবে বেতনের সঙ্গে এ টাকা শিক্ষকদের বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সরকারি হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পর্যালোচনায় ধরা পড়েছে। তবে এখনও সেই টাকা ফেরত আনতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

ইউজিসি ও সংসদীয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারি হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সভায় দেড়শ’ কোটি টাকার গবেষণা তহবিল ‘তসরুফ’ নিয়ে আলোচনা হয়। উঠে আসে সংশ্লিষ্ট ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য বরাদ্দ টাকা খরচে অনিয়মের বিষয়টি। নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা খরচ করায় ওই টাকা ফেরত আনতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয় সংসদীয় কমিটি। নির্দেশনা মোতাবেক ওই ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় বরাদ্দ দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কিন্তু শিক্ষকরা টাকা দিতে রাজি নন।

ইউজিসি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো শিক্ষক ওই টাকা ফেরত দেননি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে এ টাকা ফেরত চাওয়ায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে তা বৃদ্ধি করে গত অর্থবছরে (২০২১-২০২২) ১২০ কোটি টাকা ও চলতি অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) ১৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে। কিন্তু সে টাকা নিয়ম না মেনে ঢালাওভাবে সব শিক্ষকের বেতনের সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মঞ্জুরি কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইউজিসি বলছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা না থাকলেও শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছে। যা গবেষণায় বরাদ্দ অর্থ খরচের বিধানপরিপন্থী। গবেষণার বরাদ্দ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছেন না শিক্ষকরা। টাকা ফেরত চেয়ে মঞ্জুরি কমিশন চিঠি দেওয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে। টাকা ফেরত চাওয়ার বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক দাবি করে নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

স্থায়ী কমিটির সভায় উঠে এসেছে যে, গবেষণা প্রস্তাব না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে বেতনের সঙ্গে সব শিক্ষককে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছে এই ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই গবেষণা বাবদ শুধু শুধুই বিলানো টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করে। এরপর এ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা ফেরত দেয়ার চিঠি পাঠায় ইউজিসি। এ ছয়টির মধ্যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা শিক্ষকদের বিলিয়েছে।

ওই ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো ইউজিসির চিঠিতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ছাড়া এভাবে বরাদ্দ দেওয়ার বিধান না থাকায় সরকার ওই টাকা ফেরত চাইছে।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইইউ

স্টাফ রিপোর্টার॥

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। বহুজাতিক এই সংস্থাটির এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের ডিএমডি, মিজ পাম্পালোনি একথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজ পাম্পালোনি জোর দিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক উন্নয়নকেন্দ্রিক দৃষ্টিকোন থেকে বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বে রুপান্তরিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, মিজ পাম্পালোনিকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব ইইউকে বাংলাদেশের গুরত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে ভবিষ্যতে সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী সম্পৃক্ততা আশা করেন। তিনি বিভিন্ন খাতে গুরত্বপূর্ণ সংস্কার এবং সেই লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারসমূহ তুলে ধরেন। তিনি নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের উপর আলোকপাত করেন এবং বৈষম্যহীন দেশের জন্য তরুণদের উচ্চাকাঙ্খা তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্র সচিব নিউইয়র্কে ৭৯তম ইউএনজি এর ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা ও অভিন্ন আকাঙখার চেতনায় ইইউ’র সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

উভয় পক্ষ অনÍর্বর্তী সরকার গঠনের পর উচ্চ পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বার্তা বিনিময় এবং বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আসন্ন আলোচনার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ আসন্ন বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ কমিশনের বৈঠক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ২০২৯ সালের পরে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা এবং শ্রমখাতে সংস্কার নিয়েও আলোচনা করে।

সবা:স:সু-১৩/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম