তারিখ লোড হচ্ছে...

টঙ্গীতে যুবককে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি ভিডিও ধারণ অপরাধে ৫ যুবক আটক

হাফসা আক্তারঃ

গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৫৭ নং ওয়ার্ড টঙ্গী বাজার মিতালী পাম্পের মালিক এবং টঙ্গী থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন মনি সরকারের ছেলে মোঃ শামী সরকারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আকিব নামের এক যুবককে এলোপাথাড়ি মারধর করিয়া মিতালী পাম্পের একটি রুমে আটক রাখে। আকিবকে শারীরিক নির্যাতন করিয়া তাহার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তাহাকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।পরে মোঃ আজিজুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৫.৩০ থেকে রাত ১১.৩০ মিনিটের মধ্যে। অভিযোগের ভিত্তিতে টঙ্গী পূর্ব থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর নির্দেশে চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই- মোঃ মিলন মিয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ টঙ্গী বাজারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে এবং অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়। পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ ও পেনাল কোড ১৮৬০ এর অপরাধে জড়িত আটক আসামীরা হল ১। তাহের (২৩) পিতাঃ কাজিম উদ্দিন সাংঃ ঘুনগিয়াজুড়ি থানাঃ ধোবাউরা জেলাঃ ময়মনসিংহ এ/পিঃ টংগী বাজার থানাঃ টংগী পূর্ব জেলাঃশ গাজীপুর কে গ্রেফতার ও তার হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন এবং এজাহার নামীয় আসামী ২। সাগর (১৯) পিতাঃ নজরুল ইসলাম সাং- টংগী বাজার থানাঃ টংগী পূর্ব জেলাঃ গাজীপুর , এজাহার নামীয় আসামী ৩। নাঈম ( ১৯) পিতাঃ শরিফুল ইসলাম সাংঃ টংগী বাজার থানাঃ টংগী পূর্ব জেলাঃ গাজীপুর, এজাহার নামীয় আসামী ৪। হাসনাইন ( ২২) পিতাঃ মেজবাহ উদ্দিন সাংঃ টংগী বাজার থানাঃ টংগী পূর্ব জেলাঃ গাজীপুর, এজাহার নামীয় আসামী ৫। রাকিব (২৬) আব্দুল মালেক সাংঃ টংগী বাজার থানাঃ টংগী পূর্ব জেলাঃ গাজীপুর দের গ্রেফতার করে অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে। আসামীদের নিকট থেকে পর্ণোগ্রাফি ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ও ভিডিওটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং করেন। ব্রিফিং এ তিনি বলেন পর্ণোগ্রাফি ভিডিও ধারণ ও পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি আর পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

রিকশা এমদাদ বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বাড্ডাবাসী, থানায় মামলা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাড্ডায় রিকশা সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও অবৈধ জমি বাণিজ্যের গডফাদার হয়ে উঠেছেন বাড্ডা সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ ওরফে রিকশা এমদাদ। তার অন্যতম দুজন সহযোগী বাঁধন ও তার ছোট ভাই পলক। এলাকায় বাঁধন ও পালকের ডান হাত হিসেবে কাজ করে মোঃ সাইফুজ্জামান রনি ও মোঃ পাপ্পু। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সহযোগিতা করছে চাঁদাবাজিতে। আর চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে আছে এমদাদের ভাগিনা হান্নান, বাপ্পী। এরাই মূলত বাড্ডা এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়াও মাদক, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে এলাকার পরিবেশ নাভিশ্বাস করে রেখেছেন তারা। আর সাধারণ মানুষ বাধা দিলে নির্যাতনসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তারা।
মেরুল বাড্ডা, কবরস্থান রোড, ডিআইটি প্রোজেক্ট ও ডি আইটি সড়ক হয়ে পোস্ট অফিস গলি থেকে পাঁচতলা বাজার পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে একচেটিয়া চাঁদাবাজি করছে এমদদাদ। জানা যায় আর এই বাহিনীর কাজই হলো এলাকায় অটো রিকশা থেকে চাঁদাবাজি করা। বাড্ডা এলাকায় চলমান সকল অটো রিকশা থেকে সাপ্তাহিক ২৫০ বা মাসিক ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয় এই বাহিনীকে। আর এভাবেই শুধুমাত্র চাঁদা আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও নতুন কোনো অটোরিকশা সড়কে নামলে মালিককে গুনতে হয় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। কোনো রিকশা গ্যারেজ মালিক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হান্নান, বাপ্পী, পলক ও বাঁধন গ্রুপ তাদের নিজস্ব টর্চার সেলে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে পলক ও বাঁধন গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়া পলক বর্তমানে হত্যা মামলার আসামি। তারা এসবের তোয়াক্কা না করে আবারো এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তনন্ত সাপেক্ষে পলক ও বাঁধনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ পায় বাড্ডা থানা পুলিশ। বাড্ডা থানা এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্মাণাধীন ভবনসহ স্থাপনা তৈরির সময় মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির । সরাসরি চাঁদা দাবি না করতে পারলে অন্য কৌশল অবলম্বন করে এই চক্র। এর অংশ হিসেবে নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদেরকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী জোরপূর্বক ভয়ভীতির মাধ্যমে সরবরাহ করে বাজার মূল্যের অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া। প্রায় সময় দোকানপাট ভাঙচুরে করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে।
অন্যদিকে আলিফ নগরে এমদাদুল হক এমদাদের রয়েছে একাধিক প্লট। যে তিনি গড়েছেন অবৈধ জমি বাণিজ্যে আর চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের টাকায়। ওইসব প্লটের দেখাশুনার দায়িত্বে আছে মো. মিজান ও জসীম নামের দুই ক্যাডার। মাটিকাটা থেকে শুরু করে সব বিষয় নজর দারিতে রাখেন এই ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। কোনো নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলে ইটা, বালু, রড এই বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। জসীম এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও অবৈধ মাটিকারবারি। এসবের প্রেক্ষিতে একাধিক ভুক্তভোগী তাদের অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে এমদাদুল হক এমদাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম