তারিখ লোড হচ্ছে...

তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু বেড়ে ৫০ হাজার

তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁতে চলেছে। কয়েকদিন আগেই জীবিতদের উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়েছে কর্মীরা। ভূমিকম্পের ১৭ দিন পর চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। সেখানে এখনও মিলছে মরদেহ।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারির পর এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি আফটারশক হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ২০০টিরও বেশি আফটারশক ছিল ৫ মাত্রার ওপরে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে গৃহহীন হয়ে পড়া লাখ লাখ মানুষের আশ্রয় দেওয়ার কাজ করছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৫৬ জনের। গত সোমবার নতুন করে জোড়া ভূমিকম্পে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে, ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৪ জন। এটি কয়েকদিন ধরেই অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশটিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেশিরভাগই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এসব কারণে সিরিয়ায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

দুই দেশ মিলে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৩৭০ জনে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বলেছে যে, তারা ভূমিকম্পের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় তুরস্ককে সহায়তা করার পরিকল্পনা করেছে।

জাতিসংঘের সংস্থাটি বুধবার বলেছে যে, তাদের ধারণা এই দুর্যোগে ১১৬ মিলিয়ন থেকে ২১০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে।

টিআরটির খবরে বলা হয়েছে, এই ধ্বংসস্তূপ দিয়ে ৩০ কিলোমিটার বাই ৩০ কিলোমিটারের স্তূপ করা যাবে। ইউএনডিপির তুরস্কের আবাসিক প্রতিনিধি লুইসা ভিনটন বলেন, এটি তুরস্কের ইতিহাসে স্পষ্টতই বৃহত্তম ভূমিকম্প বিপর্যয়। সম্ভবত দেশটিকে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি করেছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু বুধবার গভীর রাতে বলেছেন, দক্ষিণ তুরস্কে ৬ ফেব্রুয়ারির শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩,৫৫৬ হয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ভূমিকম্পগুলির মধ্যে একটি।

মন্ত্রী বলেন যে, ভূমিকম্পগুলি ১ লাখ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আঘাত করেছিল। এটি তিনটি নেদারল্যান্ডের সমান।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশি সহায়তার সমন্বয়ে মোট ৯০ হাজার ১৫টি তাঁবু, ১৬৭টি কন্টেইনার এবং ৯৯৯টি মোবাইল হাইজিন ইউনিট তুরস্কে আনা হয়েছে।

সহায়তার অংশ হিসেবে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৪টি কম্বল, ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৮টি স্লিপিং ব্যাগ, ৭৪ হাজার ৭৫০টি বিছানা, ২৬ হাজার ৬২২টি জেনারেটর, ৫,৭২২ টন জামাকাপড়, ৩,০৬৫ টন স্বাস্থ্যসম্মত চিকিৎসা সামগ্রী এবং ৫,৬৭৮ টন খাদ্য পৌঁছেছে।

ডেলিভারি বয় সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট:

ভারতের পুনেতে একটি অভিজাত এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কুরিয়ার ডেলিভারি বয় সেজে ওই তরুণীর বাসায় ঢুকেছিলেন ধর্ষক। চলে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি আবারও আসার হুমকি দিয়ে যান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক ব্যক্তি কুরিয়ার ডেলিভারি বয় সেজে ওই তরুণীর বাসায় প্রবেশ করেন। এরপর তরুণীর কাছে মোবাইলের ওটিপি চান। তরুণী ওটিপি না আসার কথা জানালে, ওই ব্যক্তি বলেন কাগজে সই করতে হবে। একপর্যায়ে তরুণী দরজা খুললে ওই ব্যক্তি তার মুখে কিছু একটা স্প্রে করেন। এতে তরুণী অচেতন হয়ে পড়ার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ধর্ষক ওই তরুণীর ফোনে একটি সেলফি তোলেন ও লিখে রেখে যান, আমি আবার আসবো।

ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (জোন ৫) রাজকুমার শিন্ডে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি দরজায় কুরিয়ার নিয়ে হাজির হন এবং তরুণীর কাছে একটি কলম চান কাগজে সই করার জন্য। তরুণী যখন পেছন ফিরে কলম আনতে যান, তখন ওই ব্যক্তি ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে কী ঘটেছে তা মনে করতে পারছেন না ভুক্তভোগী তরুণী। সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে তিনি জ্ঞান ফিরে পান ও আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আত্মীয়দের ফোন করেন। আত্মীয়রা পুলিশকে খবর দেন।

তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো রাসায়নিক স্প্রে বা চেতনা-নাশক ওষুধ ব্যবহার করে তরুণীকে অচেতন করেছিলেন। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করছে।

পুলিশ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্ত ব্যক্তির মুখ দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে। তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় ভরতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ৬৪ (ধর্ষণের শাস্তি), ৭৭ (ভয়ারিজম) ও ৩৫১ (২) (অপরাধমূলক হুমকি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম