তারিখ লোড হচ্ছে...

আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের চাপা কস্ট

তানভীর ইসলাম রিপনঃ

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের চাপা কস্ট ও আক্ষেপ নিয়ে কিছু কথা আমরা ক্ষমতায় থেকেও কেন জামাত বিএনপির হাতে নির্যাতনের শিকার এর জবাব কে দিবে।

মাননীয় প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা আপনার কাছে আকুল আবেদন জামাত বিএনপি দল থেকে বহিস্কার করেন।

* বর্তমান বাস্তবতায় আওয়ামীলীগ সরকার একটি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে কথাটি সত্য; তবে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রীড ও সেলফিবাজের উপস্থিতির কারণে দলটির ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই দূষণকারীদের সংখ্যা দলে যত বেশি বাড়বে, দলটির রাজনৈতিক আচরণের খারাপ দিকটি তত বেশি স্পষ্ট হবে। অপ্রিয় হলেও সত্য; বলতে গেলে, দলটি এখন কিছুটা হলেও অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রীড ও সেলফিবাজদের চ্যালেঞ্জের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দলটির আদর্শিক কর্মসূচি কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলার আত্নঘাতী প্রবণতা কিংবা যা করা দরকার তা না করার প্রবণতা প্রায়শই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

* আওয়ামী লীগের ভিতর এমন একটি হাইব্রিড সম্প্রদায় বেশ প্রতিধ্বনিশীল। দলটির দুর্দিনে যে সকল নেতাকর্মী দলের পাশে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে ছিল, তাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায় সেই সকল হাইব্রিড নেতাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কাহিনি। হাইব্রিডদের অনেকেই দলের কারণে প্রভাবশালী হয়ে দলের নেতাকর্মীদের কেবল এড়িয়ে চলার মধ্যেই সীমারেখা টানেন না, মামলা-হামলা পর্যন্ত চালিয়ে যান।
অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড ও সেলফিবাজদের রাজনীতির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীরা।

* বর্তমানে হাইব্রিড ও অতিউৎসায়ী আওয়ামী লীগারদের উৎপাত আবার বেড়েছে। বছর দুয়েক আগেও রাজনৈতিক সংকটের সময় এদের দেখা যায়নি। বিগত নির্বাচনের আগে তারা উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক তৎপরতা এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অতি আওয়ামী লীগারদের কোনো তৎপরতা ছিল না। বর্তমানে সরকারকে সুবিধাজনক অবস্থানে দেখে আবার মাঠে নেমেছেন অতি আওয়ামী লীগাররা। এদের কারণে বিভিন্ন পর্যায়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে নিজেদের আওয়ামী লীগ সাজিয়ে বিভিন্ন নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে হাইব্রিডরা ব্যবসা-বাণিজ্য বাগিয়ে নিচ্ছেন। জড়িয়ে পড়ছেন টেন্ডার বাণিজ্যে।

* সম্প্রতি মিডিয়ার কল্যাণে দেখা যাচ্ছে , হাইব্রিড ও নব্য আওয়ামী লীগাররা গ্রুপ বেঁধে তৎপরতা চালাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের অনেক প্রবীণ নেতা ও নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা । অনেক জাতীয় ব্যক্তিত্বকেও তারা অকারণে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিপক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এদের মদদদাতা হিসেবে বেরিয়ে আসছে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম। বুঝে না বুঝে তারা যে সংকট তৈরি করছেন দীর্ঘমেয়াদে তা কোনদিকে মোড় নেবে তা নিয়ে সংশয় আছে বিভিন্ন মহলে। নানা ধরনের নামসর্বস্ব সংগঠন তৈরি করে দলের ভিতরে-বাইরে সমস্যা সৃষ্টি করছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের নেপথ্যে কাজ করছেন সুবিধাভোগী একশ্রেণির হাইব্রিড আওয়ামী লীগার।

* কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের এখন জয়জয়কার। দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, সাংগঠনিক কর্মসূচিতে হাইব্রিড নেতারা বরাবরই অনুপস্থিত। কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বাড়ানো যেন হাইব্রিড নেতাদের প্রধান কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দল ও সরকারে কর্মীবিচ্ছিন্ন হাইব্রিডরা ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতে। অভিযোগ রয়েছে, হঠাৎ দলে নেতা হওয়া হাইব্রিডদের রাজনৈতিক তৎপরতা না থাকলেও নিজেদের বিত্ত-বৈভব বাড়াতে পদ-পদবিকে তারা কাজে লাগাচ্ছেন।
এখন অনেকটা হাটে-মাঠে-ঘাটেই দলের কেন্দ্রীয় নেতার অস্তিত্ব মেলে।

* সচিবালয় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এমনকি সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই হাইব্রিডদের দেখা যায় নানা কিসিমের তদবির বাণিজ্যে। মৌসুমি পাখির মতোই পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসা ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগে হাইব্রিডদের তালিকায় নতুন যোগ হয়েছেন প্রবাসী আওয়ামী লীগাররা। দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে হাইব্রিডরা লাভজনক নানান প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নিচ্ছেন। মৌসুমি পাখির মতোই এসব হাইব্রিড নেতা ঘন ঘন দেশে আসছেন-যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে হাইব্রিড নেতাদের কেউ কেউ বেসরকারি ব্যাংক, টিভি চ্যানেল ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানিসহ লাভজনক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকানার অংশীদারও হয়েছেন। কয়েকটি প্রভাবশালী দেশে দলীয় নেতৃত্বে থাকা হাইব্রিড নেতাদের কেউ কেউ দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তির স্বপ্নে বিভোর।

* হাইব্রিড, সুবিধাভোগী আর নব্য আওয়ামী লীগারদের ভিড়ে তৃণমূলের দীর্ঘকালের পরীক্ষিত নেতারা অনেকটাই কোণঠাসা। দলের দীর্ঘ পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা হাইব্রিডদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চান।

* চাকুরীতে এমপি- মন্ত্রীর সুপারিশ পায় না আওয়ামীপরিবারের সন্তানেরা।
টাকার বিনিময়ে সুপারিশ পায় বিএনপি-জামায়াতের ছেলেরা।

* আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের একশ্রেণীর গ্রহণযোগ্যহীন ও বির্তকিত নেতাকর্মীরা ফুরফুরে মেজাজে বিলাস জীবনযাপন করলেও প্রবীণ-ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা নিজ ঘরে পরবাসী হয়ে চরম দূর্দীনে রয়েছেন।

* প্রত্যেকটি আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দ্বল ও গৃহবিবাদ উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়েছে।
জনবিচ্ছিন্ন ও বির্তকিত নেতারা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও নিবেদিতপ্রাণ, দক্ষ, প্রবীণ ত্যাগী নেতাকর্মীরা নিজ ঘরে পরবাসী হয়ে উঠেছে। ওই নেতা তাঁর অনুসারিদের রাজনীতির মাঠে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে মনোযোগী না হয়ে নিজেরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোড়াছুড়ি ও আখের গোছাতে ব্যস্ত রয়েছে। ফলে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিস্তেজ ও প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

* অধিকাংশ জায়গায় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কমিটিতে বির্তকিত, গ্রহণযোগ্যহীণ ও সুযোগসন্ধানীরা গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিলেও, নিবেদিতপ্রাণ, প্রবীণ, ত্যাগী নেতারা দল থেকে ছিটকে পড়ছে।
ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে দলীয় কর্মকান্ড এমনকি কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ভেঙ্গে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। অবমূল্যায়ন করা হয়েছে দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন নেতাকর্মীদের। এসব কারণে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা এই নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না।

* আওয়ামীলীগ সরকার জনবান্ধব সরকার হলেও বির্তকিত নেতাদের কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি ও দলের তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। জনগনের মাঝে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
এছাড়াও সাধারণের মধ্যে কর্মীবান্ধব ও সৎ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যাদের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা রয়েছে ঐ সব নেতাদের জনকল্যানমূলুক কর্মকান্ডে সেটিও সাধারণের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে; এসব বিতর্কিত নেতাদের দায় নিবে কে ?
অন্যদিকে বিতর্কিত নেতারা তোপের মূখে পড়ার ভয়ে তৃণমুল নেতাকর্মী-সমর্থকদের এড়িয়ে চলছে। যে কারণে প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের যোজন যোজন দুরুত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।

* আওয়ামীলীগের প্রবীণ ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, গ্রহণযোগ্যহীণ ও বির্তকিত নেতাকর্মীদের নানা উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের তদারকির দায়িত্ব দেয়া,নেতাকর্মীদের সময় না দিয়ে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকা ও জামায়াত-বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে আঁতাতসহ এই নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দলের শৃংঋলা বা চেইন অব কমান্ড বলে কিছুই নেই। দলের হাইব্রীড নেতারা সুযোগসন্ধানী ও নব্য আওয়ামী লীগারদের সামলাতেই ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের প্রবীণ ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের নিয়ে তার ভাবার সময় নেই।

তাই দলের নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, আদর্শবান নেতারা বলে আওয়ামীলীগ করে কী লাভ ?

খুনি,অস্ত্র ,মাদক ,হুন্ডি ব্যবসায়ী,সীমান্তে চোরা-চালানকারীদের মদদ দাতা খোদ সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন

 

রেজা, ঢাকা-:

৮৫ যশোর -১ (শার্শা) শার্শা বেনাপোল নিয়ে গঠিত এ আসনের সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিন। সীমান্ত উপজেলা শার্শা, এখানে আইন আছে, আছে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাহনী উপস্থিতি কিন্তু এসবের সব কিছু যেন মাফিয়া গডফাদার শেখ আফিল উদ্দিন এমপির কাছে জিম্মি । স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসের অর্থদাতা খোদ আকিজ শিল্পগোষ্ঠী ও এমপি আফিল উদ্দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সময় এমপি আফিলের পিতা আকিজ উদ্দিন পাকিস্তানী বাহিনীকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেন ও মুক্তিকামী মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করেন।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে হত্যার পর শার্শার মাটিতে এমপি আফিল উদ্দিনের পিতা শার্শা উপজেলা মুসলিম লীগের নেতা মরহুম আকিজ উদ্দিন রঙের হোলি খেলেছিলেন।বিভিন্ন তথ্য সূত্রে ও সংবাদ পএে তারা স্বাধীনতা বিরোধী পরিবার বলে উঠেছে।
এমপি আফিল উদ্দিনের বড় ভাই আদ্বদিন ফাউেন্ডশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ মহিউদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর
বড় ডোনার।শেখ মহিউদ্দিন বরিশাল মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্হায় ছাএ শিবির”এর পক্ষে সংসদ
ভিপি পদে নিবার্চন করেন।
এমপি আফিল উদ্দিন একাধিক বিএনপি, জামায়াতের নেতাকর্মীকে উপজেলা আ.লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে বেনাপােল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সপ্মদক নুরজ্জামানকে ২০১৩ সালে শার্শা উপেজলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সপ্মদক নিবার্চিত করেন।বিএনপি সাবেক সাংসদ মরহুম আলী কদরের দেহরক্ষী অহিদুজ্জামানকে জেলা পরিষদের সদস্য, উপজেলা যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ সভাপতির পদে বসিয়েছেন।অগ্নি কন্যাখ্যাত মতিয়া চৌধুরীর মঞ্চ ভাংচুর করা ২০১১ সালে খোদ সাংসদ এর গাড়ি বহর থেকে শার্শা উপজেলা পরিষদ সামনে থেকে যুবলীগের সাধারণ সপ্মাদক বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে আটক হওয়া, সাবেক নাভারন কলেজ ছাএদলের সভাপতি সোহরাব হোসেনকে ২০০৩ সালে বানিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সপ্মাদক এখনো সোহরাব উপজেলা যুবলীগের চলমান সাধারণ সপ্মাদক। ২০১১,২০১৬তে তার প্রত্যক্ষ মদদে শার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে বানিয়েছেন চেয়ারম্যান। সোহরাব আন্তর্জাতিক চোরা কারবারি, মাদক,অস্ত্র, স্বর্ণ সীমান্তে চোরাচালান করে হয়েছেন শত শত কোটি টাকার মালিক, আমেরিকা বানিয়েছেন সেকেন্ড হোম।
এবার বেনাপোলে পৌর নির্বাচনে তার অনুসারী আঁচড়ার কামালকে কাউন্সিলার হয়েছেন সে স্বর্ণ পাচারের ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত অপহরণ ও হত্যা মামলায় যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করেছে।
স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান আকিজ শিল্পগোষ্ঠীর মালিক আকিজ উদ্দিনের ছেলে শেখ আফিল উদ্দিন তিনি আফিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নিবার্চিত হন এরপর থেকে অর্থ,ক্ষমতা,প্রভাব খাটিয়ে বাজিমাত করে টানা তিনবারের একই আসনে হয়েছেন সংসদ সদস্য।এলাকায় গড়ে তুলেছেন খুন,অস্ত্র ব্যবসা,মাদক ব্যবসা,সীমান্তে চোরাচালান সিন্ডিকেট,হুন্ডি ব্যবসা,হাটের নিয়ন্ত্রণসহ এক শক্তিশালী অপরাধের রাজত্ব। শার্শার বাহদুরপুর শেখারীপোতা সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর তার গড়ে তোলা মফিজুল বাহনী কর্তৃক চালিয়েছেন অমানুষিক নির্যাতন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ৩১টি হিন্দু পরিবার লুন্ঠন করা হয়েছে তাদের সম্পদ।
বেনাপোল পৌর আ.লীগ কার্যলয়ে চালিয়েছেন হামলা ভাংচুর, তার শাসনমালে বিগত ১৫ বছরে উপজেলায় করতে পারে নাই একটিও আ.লীগের দলীয় কার্যলয়।বনমান্দার এলাকায়
৫০০ বিষা জলাশয় করে গড়ে তুলেছেন মৎসা খামার। শার্শায় করেছেন সম্পদের পাহাড়, জুটমিল,উলাশী এলাকায় পোল্টি খামার।সরকারি জলাশয় বাওড়,বেতনানদী দখল করে তার অনুসারীদের দখল করে চাষ করা । সরকারের একটি অংশ হওয়া সত্বেও সরকারি নিদর্শনা অমান্য করে পোল্ট্রি দাম বাড়িয়ে দিয়ে লুটেছেন পোল্ট্রি সিন্ডিকেট ৫১৮কোটি টাকা সরকারকে ফেলেছিলেন বিপাকে। আফিল উদ্দিন যখন শার্শায় এসেছিলেন তখন তার শার্শায় একবিষা জমি ছিল না।এখন শত শত বিষা জমি।জুট মিলের ভিতর অনেকের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে চটকাপোতার নাজিম মাস্টার জমিও এর ভিতর রয়েছে।
তার শাসনামলে ২০০৮ থেকে ২০২৩ _পর্যন্ত_ শার্শায় খুন হয়েছেন ৬২ জন সরকার ও দলীয় নেতাকর্মী।
আহত হয়েছেন শত শত। পুরো উপজেলায়ই পরিচিতি পেয়েছে মৃত্যুপুরী হিসেবে।২০১০সালে সালে লক্ষণপুর ইউনিয়নের পারুইখুপি গ্রামে খুন হন বিএনপির কর্মী হামিদ সেই খুনের মামলায় আফিলের সর্মথিত কর্মীদের নামে অভিযোগপএ এজাহার ভুক্ত করলে ২০১০সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক এসআই আসাদসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে তার জুটমিলে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন বলে সেসময়ে সংবাদপএে প্রকাশিত হয়েছিল। এ বিষয়ে ওসি এনামুল হক বাদী হয়ে সাংসদ শেখ আফিল ও তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত করেন সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন নং৫৪-৫,ইং১৫/৮/২০১০
তারিখে এতে_ আরো ক্ষিপ্ত থানায় ঘেরাও করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আফিলের প্রত্যক্ষ মদদে থাকা পুটখালির নাসির উদ্দিন ওরফে গোল্ড নাসির, অস্ত্র,মাদক,স্বর্ণ,গরু পাচার,হুন্ডি ব্যবসাসহ সীমান্তে চোরাচালানের মূলহোতা কুখ্যাত সস্ত্রাসী নাসিরকে গত ২৩ স্বেপ্টবর ২০২৩ ইং: তারিখে বাগআঁচড়া থেকে তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রিভলভার ও ১৯ রাউন্ড গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।
২০১২ সালে সাংবাদিক জামালকে শার্শার কাশীপুর বাজারে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যার পর একটি চোখ তুলে নেয় বলে স্থানীয়রা জানায়।
মাদক বিক্রি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় জামালকে হুমকি দিয়ে আসছিল মাদক বিক্রেতারা। এ নিয়ে শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন তিনি। যশোর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি ছিলেন। ভারত সীমান্তবর্তী কাশীপুর গ্রামের এই বাসিন্দা শার্শা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সীমান্তে চোরাচালান ও হাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে যশোরের শার্শা উপজেলায় গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের ৬২ জন নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন শার্শা উপজেলায়।
খুন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সরকারি দলের ১ জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান, ১ জন সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ৯ জন, কৃষক লীগের ১ জন, সাংবাদিকসহ যুবলীগের ১৪ জন এবং ছাত্রলীগের ১১ জন নেতা-কর্মী রয়েছেন।
এসব ঘটনায় শার্শা থানায় ২৭টি ও বেনাপোল বন্দর থানায় ১৪টি মামলা হয়। পুলিশ জানায়, এই ৪১টি মামলায় অন্তত ২৫০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসামিদের কেউ কারাগারে নেই। সবাই আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সাংসদ আসামিদের কীভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, সরেজমিনে ঘুরে তার কিছু নমুনা পাওয়া গেছে। ২০০৯ সালে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুকে হত্যা করা হয়। মামলার প্রধান আসামি ইলিয়াস কবির বকুল।উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি খোরশেদ আলমকে সাতমাইল গরু হাটে প্রকাশ্যে মারধর লাঞ্ছিত করেন বকুল মারধর শিকার হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় তিনি মারা যান।সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়ে তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। এরপর ২০১৩ সালে ইলিয়াস কবিরকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও বসান। ২০১৬ সালে তাঁকে আবারও চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে সহায়তা করেন সাংসদ। পরে স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতিও হয়েছেন তিনি ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সপ্মাদক পদে বহাল আছেন। নজরুল হত্যা মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে আমার নাম ছিল। কিন্তু ওই মামলা থেকে আদালত আমাকে খালাস দিয়েছেন।’
বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ইবাদত হোসেন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও একই সুবিধা পেয়েছেন। এই মামলার তদন্তে নাম এসেছে স্থানীয় জুলফিকার আলী ওরফে মন্টু, মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও মাহতাবের। সাংসদ আফিল তাঁদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলে অভিযোগ আছে। সাংসদ ২০১৭ সালে জুলফিকারকে বেনাপোল স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, ওয়াহিদুজ্জামান ছিলেন যুবদল নেতা, তিনি শার্শার বিএনপির সাবেক সাংসদ ও অর্থদাতা মরহুম আলী কদরের দেহরক্ষী ছিলেন তাকেও বসিয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ওয়াহিদুজ্জামানকে যশোর জেলা পরিষদের সদস্য এবং মাহতাবকে বেনাপোল মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে বসিয়েছেন।

বেনাপোলের আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুস সামাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আমিরুল ইসলামকে ২০১৭ সালে স্থানীয় কাগজপুকুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে সাংসদ আফিল সহায়তা করেছিলেন।
এদিকে পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়। সাংসদের অনুসারী বলে পরিচিত সিরাজুলকে ২০১৩ সালে পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বসানো হয়। পরে মামলার অভিযোগপত্র থেকে পুলিশ সিরাজুলের নাম বাদ দিলে তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয় জেলা প্রশাসন। মামলার অন্য আসামিরা হত্যাকাণ্ডের পর রাজ্জাকের পরিবারকে হুমকি ও চাপ দিয়ে মামলা পরিচালনা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। বাদী ভয়ে এখন আর আদালতে যান না।
জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলাদলির কারণে আমাকে আসামি করা হয়েছিল ঠিকই। তবে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় বেনাপোল থানার পুলিশ আমাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছে।’
২০১৫ সালে যুবলীগের কর্মী তোজাম্মেল হোসেন ওরফে তুজামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলায় তৎকালীন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহিম সরদারকে প্রধান আসামি করা হয়। রহিম সাংসদ আফিল উদ্দিনের অনুসারী। আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। সাংসদের হস্তক্ষেপে বর্তমানে রহিমসহ আসামিরা এলাকায় ফিরেছেন। রহিম মাদক ব্যবসা, চাদাবাজি, চোরাই মোটরসাইকেল সিন্ডিকেটের মূলহোতা। সাংসদ রহিমকে এলাকায় ফিরিয়ে এনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সরকারি বরাদ্দের বিভিন্ন কাজ পাচ্ছেন রহিম বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতি করেন।
তোজাম্মেলের স্ত্রী ঝর্না বেগম বলেন, ‘এমপি আমাদের পক্ষে নেই। রহিমকে সহায়তা করেন। এ জন্য মামলা এখন আর চলছে না।’
২০০৯ সালের ১০ মার্চ রাতে শার্শার বাগআঁচড়া বাজারে বাড়ির ছাদে খুন হন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবিরসহ আটজনকে আসামি করে শার্শা থানায় মামলা হয়। রফিকুলের ভাই আসাদুজ্জামান বলেন, মামলার এক নম্বর আসামি ইলিয়াস কবির সাংসদ আফিলের অনুসারী। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামিরা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এখন তাঁরা ভয়ে আদালতে যান না।
আসামিদের এভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বেশির ভাগ যশোর-১ (শার্শা) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের অনুসারী। শেখ আফিল ১৫ বছর ধরে সাংসদ। আর আসামিরা প্রায় ১৫ বছর ধরেই সাংসদের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন। সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। সাংসদের ছবি ব্যবহার করে শার্শা ও বেনাপোল বন্দর এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুনও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতার দাপটে তাঁরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য মতে নিজ দলের ২শতাধিক নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর কত লোকযে লাঞ্ছিত- মারধরের শিকার হয়েছেন তার হিসাব নেই। এ গেল নিজ দলের হাতে গোনা কয়েকজনের আ.লীগের নেতাকর্মীদের কথা, এমন অংসখ্য উদাহরণ রয়েছে। এখানে আ.লীগের কর্মীরা নিরাপদ না বলে শঙ্খা করেন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী।
বিরোধী দলের ২০এর অধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।বিরোধী তথা বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন কর্মী বলেন আমার দুই ভাই খুন হয়েছে।আমাদের বসত ভিটা বর্তমানে শ্মশান হয়ে আছে আমরা বসত ভিটায় যেতে পারি না। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।তার আশ্রয় প্রশয়ে চিন্তিত অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আফিল উদ্দিন এবার আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে নেমেছেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাংসদ আফিলের উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম