ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিসহ ১০টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ ১০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেবে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক ও ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সভায় ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ বিভিন্ন ই-কমার্সের বিষয় উঠে এসেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু ইতোমধ্যে আইন অমান্য করেছে, সুতরাং মিনিস্ট্রি সরাসরি কোনো দায়িত্ব না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রেফার করে দেওয়া তারা যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এটা হলো কমিটির সুপারিশ। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানান হাফিজুর রহমান।

 

সঞ্চয়পত্রে বাড়ছে মুনাফার হার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুনাফার এ হার বাড়ছে অন্তত এক শতাংশ। তবে, সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীরা মুনাফা কিছুটা বেশি পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোর মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর বলে বিবেচনা করা হবে সঞ্চয়পত্রের এই নতুন মুনাফার হার। ৫ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার (সর্বশেষ ছয় মাসের নিলামের ভিত্তিতে) অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে এ মুনাফা। তবে, সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের হিসাবে সর্বোচ্চ ৫০ বেসিস পর্যন্ত প্রিমিয়াম যোগ হবে। এতে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কিছুটা বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে।

নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য সঞ্চয়পত্রের সম্ভাব্য মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই হিসাবে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর বেশি অঙ্কের বিনিয়োগকারীদের মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে মুনাফা হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ ছাড়া তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সম্ভাব্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এক্ষেত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। বর্তমানে এ স্কিমে মুনাফার হার হচ্ছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হলে পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। বর্তমানে এ স্কিমে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

 

সবা:স:জু- ৭১৯/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম