তারিখ লোড হচ্ছে...

আশুগঞ্জের হঠাৎ নেতা ওবাইদুল্লাহ কর্তৃক সাংবাদিক অবমাননা ও কাজে বাধা

 

নিজস্ব প্রতিবেদন :

সাংবাদিকরা তথ্য অনুসন্ধানে আশুগঞ্জে গেল ওবাইদুল্লাহ নামক একজন চাউলের চাতাল ব্যবসায়ী তার লোকজন নিয়ে তাদের কাজে বাধা দেয় বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তাঁর নেতৃত্বে যখন এদেশের সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করেন নিশ্চিন্ত মনে, ঠিক তখন হঠাৎ একদল মাঠ পর্যায়ের সংবাদকর্মীদের তাদের জাতির জন্য তথ্য অনুসন্ধানের কাজে বাঁধা দিয়েছেন একজন এমডি ওবাইদুল্লাহ, -এমন‌ই তথ্য দিলেন‌ ঢাকা থেকে আশুগঞ্জে যাওয়া একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদক দলের কাছ থেকে।

কে এই ওবাইদুল্লাহ?

এমডি ওবাইদুল্লাহ’র সম্পর্কে তথ্য মিলে, তিনি একজন হঠাৎ নেতা! আর হঠাৎ করে নেতা হবার পর‌ই দুই আড়াই বছরের মধ্যেই সে বনে গেছেন একজন সাধারণ ব্যাবসায়ী থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী! -এমন‌ই জানান সাধারণ চাতাল ব্যবসায়ীরা।

এমডি ওবাইদুল্লাহ চট্রগ্রাম বিভাগের আশুগঞ্জ উপজেলার একজন চাউল ব্যাবসায়ী ও সরকারি খাদ্য গুদামের চাউল সরবরাহকারী(বর্তমানে), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত বালি মিয়ার ছেলে।

সরেজমিনে মিলে ইদানিং এই এমডি ওবাইদুল্লাহ নিজেকে এতোটাই দাপুটে বলে মনে করেন যে সে মাঠ পর্যায়ের তথ্যকর্মীর কাজে বাঁধা দিয়ে, হুমকি ধামকি দিয়ে, আইডি কার্ড, ভোটার আইডি কার্ডের ছবি রেখে দিয়ে আর যেনো এই এলাকায় না দেখা যায়, এই ওয়ারনিং দিয়ে একপ্রকারের তাড়িয়ে দেন!

সংবাদকর্মীরা জানান তারা ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করা এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন, এমতাবস্থায় ওবাইদুল্লাহ এমরানের বড়োভাইসহ কয়েকজন লোকের সামনে এমন কিছু কথা বলেন যা ১০০% মিথ্যা, উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত, চক্রান্ত, অনৈতিক খায়েশ মিটানোর প্রয়াস, এমনকি এমরানের পরিবারসহ সবার ধ্বংস নিশ্চিত করার পাঁয়তারা বলে এমরানসহ এলাকার সকলেই এক বাক্যে মনে করেন।

আশুগঞ্জের এই ওবাইদুল্লাহ নামক ব্যক্তিটি গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য সংগ্রহের কাজে যেভাবে বাঁধা দেন, ভুল তথ্য দেয় ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেন তার টাকার দাপটের সাথে তা অচিরেই উক্ত সমাজে একটি দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারে বলেও কেউ কেউ আশঙ্কা করেন।

তথ্য মতে আরও জানা গেছে, এই ওবাইদুল্লাহ চাউলের চাতাল ব্যাবসার নেতা বনে যাবার পরে গত দুই আড়াই বছরের মধ্যেই সাধারণ ব্যাবসায়ী থেকে বিজনেস ম্যাগনেটে পরিনত হয়ে গেছে!

কি ভাবে ওবাইদুল্লাহ এতো দ্রুত গতিতে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন?
-এ প্রশ্নটির উত্তর ও রহস্য জানা যাচ্ছে ধীরে ধীরে এবং খুব শিগগিরই তা নিউজ আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

ওদিকে জানা গেছে, সরকারী খাদ্য গুদামে দেশের মানুষের জাতীয় খাদ্য চাউল সরবরাহের কাজে দুর্নীতি করেই ওবাইদুল্লাহ কোটিপতি হয়েছেন বটে, তবে তার অনৈতিক পদ্ধতির কারণে মানুষের প্রধান খাদ্য চাউল তার গুণগান মান হারাচ্ছে নির্বিচারে…..!

তথ্য অনুসন্ধানে মিলেছে ওবাইদুল্লাহসহ একাধিক চাউলের চাতাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হিসাব নিকাশ পদ্ধতি, পারসেন্টিস, রেট, ওসি এল‌এসডি’র ঘুষ (বৈধ করে নেয়া খ্যাত)সহ আদ্যপান্ত। এসব তথ্য জানতে তাদের সিন্ডিকেটের পাশাপাশি একাধিক ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলা হয়।

তাদের মতে, “এই সব সিন্ডিকেটের কারণে একাধারে আমরা আমাদের ব্যবসা হারাচ্ছি অনৈতিক প্রতিযোগীতায় হেরে গিয়ে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ হারাচ্ছেন তাদের জাতীয় অধিকার তথা খাদ্যমান যা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে মাঝখানে সে ও তারা বনে গেলেন কোটি কোটি টাকার মালিক …..।”

ওদিকে সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা দেবার কথাটি জানার পরে একাধিক সাংবাদকর্মী ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা ওবাইদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করত: আসল তথ্য প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি হোক, -এই দাবি জানান,

(চলবে….)

সিলেটে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি আশা করি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল কিডনি রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় রোগীদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

সাশ্রয়ী ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা দেয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য মাঠ পর্যায়ে তারা কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এটি মাইলফলক ভূমিকা রাখবে। কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সিলেটের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। গত শনিবার তেমুখীর বাদাঘাট রোডস্থ নাজিরেরগাঁও-তে অবস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সিলেটের নিজস্ব ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ট্রাস্টি ফিতরাত রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশীদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- চ্যানেল এস-এর চেয়ারম্যান আহমদ-উস-সামাদ চৌধুরী জেপি, মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান বীর উত্তম, ঢাকাস্থ ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুনুর রশীদ, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি’র চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম হাসান, শহীদ প্রফেসর শামসুদ্দিন আহমদ ফাউন্ডেশন অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সালাহউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ জাকি হোসাইন। কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের চেয়ারম্যান ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক কর্নেল মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বীর প্রতীক অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশীদ বলেন, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে ৭৬০০০টি প্রতিষ্ঠান আছে। কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটও এর অন্তর্ভুক্ত। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর ও কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতাল নির্মাণ সত্যিই একটি অসাধারণ কাজ। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এ কাজের জন্য সবার সঙ্গে সংযোগ করেছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদ কে চৌধুরী বলেন, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সিলেটের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একটি প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে হলে অর্থনৈতিক, প্রোগ্রাম্যাটিক, টেকসই দৃষ্টিভঙ্গি এবং যোগ্য উত্তরসূরি দরকার।

 

বা:স:জু- ৭৭২/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম