তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রধান মন্ত্রীর প্রতি আমার শতভাগ আস্থা রয়েছে -মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার মনির!

মূধা বেলাল॥
আসন্ন ৬ নং ধানগড়া ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার মনির। যিনি তার গোটা জীবন মানব সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। যিনি সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদী এক সৈনিক ছিলেন।
যিনি সত্যকে বরন করে মিথ্যেকে পরিহার করেছেন। খেটে খাওয়া,ভুক্তভুগি, হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছেন। তেমনই একজন মানুষ মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার মনির। তিনি সভাপতি,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ধানগড়া ইউনিয়ন শাখা,রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ। সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, রায়গঞ্জ উপজেলা, সিরাজগঞ্জ। সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রায়গঞ্জ উপজেলা শাখা, সিরাজগঞ্জ। (২০০৪-২০১৫), সাবেক সাধারণ সম্পাদক, লক্ষীকোলা সরকারি বেগম নূরুন্নাহার তর্কবাগীশ অনার্স কলেজ শাখা ছাত্রলীগ,রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ। (২০০৩-২০০৭)এ ছাড়াও রয়েছেন নানান সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জরিত। এই প্রতিবেদক কে মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার মনির জানান। আমি এ দেশ ও জনগনের কল্যাণে সারাজীবন কাজ করেছি এখনো করছি, আগামীতেও করতে চাই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ দেশ ও জনসাধারনের তরে নিজেকে সেবক হিসেবে নিয়োজিত রাখতে চাই। আর এই সেবাকে আরো এগিয়ে নিতে আসন্ন ধানগড়া ইউপি নির্বাচনে সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন একজন মুজিব সৈনিক হিসেবে নৌকা প্রতিক থেকে নমিনেশন প্রত্যাশী।
আমি যদি নৌকা প্রতিকে মনোনিত হই বিপুল ভোটে ধানগড়া ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে জয়যুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ। এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে উন্নয়নের অংশিদারী হতে চাই। মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার মনির আরো জানান। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতি আমার শতভাগ আস্থা রয়েছে,আমি যোগ্য হলে তিনি আমাকে নৌকা প্রতিকে মনোনিত করবেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও আব্দুর রহিম সরকার রাজনৈতিক দলের ইউপি সভাপতি পদে বহাল!

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ীর ৮৩ নং পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম সরকার।

অনুসন্ধানে জানায় যায়, তিনি একটি সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও কেমনে আব্দুর রহিম সরকার একটি রাজনৈতিক দলের ইউপি সভাপতি হলেন?

সরকারি কর্মচারী ( আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ২৫ বিধি মোতাবেক সরকারি কর্মচারী কোন রাজনৈতিক দলের বা এর অংগসংগঠনের সদস্য বা এর কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারবে না।যদি অংশগ্রহন বা জড়িত হয়, তবে তা অসদাচরণ হিসেবে গন্য হবে এবং এই অসদাচরণ এর দায়ে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী ( শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে।

জানা যায় বর্তমান তিনি সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই বিষয় নিয়ে ৮৩ নং পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান,আমাদের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম সরকার স্যার কখনো ক্লাস নেয় না এবং ঠিক মত স্কুলেও আসে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্কুলটির সহকারী শিক্ষকগণ আব্দুর রহিম সরকারের বাড়ীতে হাজিরা খাতা নিয়ে এসে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায়, তাছাড়াও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তিনি বাড়ীতে বসেই স্বাক্ষর করেন।

আরো জানা যায়,নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সব চেয়ে ক্ষমতাশালী একজন নেতা তিনি, তার কথায় এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষ উঠ বস করে।

অনুসন্ধানে উঠে আসে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ,
তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পদ পদবী ব্যবহার করেই চালিয়ে যাচ্ছে সকল অপকর্ম।

নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে আব্দুর রহিম সরকারের নেতৃত্বে চলছে মাদক ব্যবসা ও অনলাইন জুয়া,শুধু তাই না আব্দুর রহিম সরকারের মেয়ের জামাই নিশাদ একজন মাদকের বড় ডিলার ও অনলাইন জুয়া নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তার মেয়ের জামাইয়ের মধ্যে পুরা নাটুয়ারপাড়ায় মাদক খুচরা ও পাইকারী বিক্রি হয়।
আরো জানা যায়, আব্দুর রহিম সরকারের ক্ষমতার প্রধান সেফগার্ড হিসেবে কাজ করেন কাজিপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাজিপুর উপজেলার চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।

এই বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা জানান, এই আব্দুর রহিম সরকার একজন লেবাসধারী শয়তান, তার অত্যাচার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ! আরো বলেন, তিনি নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নটা মাদক ও জুয়ার হাট বানিয়ে ফেলেছে,তার মেয়ের জামাই নিশাদকে দিয়েই মাদক ও অনলাইন জুয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।

এই বিষয়ে কথার বলার জন্য আব্দুর রহিম সরকার কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, এটা কাজিপুর বাংলাদেশর সবজায়গার আইন কানুন কাজিপুরে চলে না।
কাজিপুরে একমাত্র প্রিয়নেতা মরহুম মোহাম্মদ নাসিম সাহের তৈরী করা আইন চলে এবং চলবে,তাই আমাদের আইন পাশ করে গেছেন আমাদের প্রিয়নেতা নাসিম সাহেব।

এই বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, কোন সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কখনো রাজনৈতিক দলের সাথে সংক্ষিপ্ত থাকতে পারবে না । তিনি আরো বলেন আমি আমার জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে তদন্ত করে আব্দুর রহিম সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম