তারিখ লোড হচ্ছে...

কাতারে এসএম সাগরের জমজমাট মাদক ব্যবসা, ঝুঁকিতে অভিবাসন খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ঢাকা থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে কাতার বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন বেশ কয়জন বাংলাদেশি। কাতারে প্রায় ৬০০ অধিক বাংলাদেশি বিভন্ন অপরাধে আটক হয়েছেন তার মধ্য মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার দায়ে আছে অনেক প্রবাসী। কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের থেকে মাদক পরিবহনের তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বাংলাদেশের কাতার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মাদক ব্যবসায় প্রবাসীদের সম্পৃক্ততার বিষয় উল্লেখ করে ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দূতাবাস সূত্র জানায়, যে কোনো ধরনের মাদক গ্রহণ, পরিবহন ও বিক্রি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে খুনের চেয়েও ভয়ঙ্কর অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু একশ্রেণির বাংলাদেশি কর্মী মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন।

মাহফুজ আলম পিয়ার নামে এক মাদক ব্যবসায়ী সহ অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তানীদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যেই মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ বাইরেও বিক্রি করছেন। ঢাকা থেকেই হাতে বা কার্গোতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গাঁজা বা ইয়াবা। মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। ধরনের গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য ৩ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির কর্মস্থল কাতার আরেক দফায় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

কাতার থেকে আসা বাংলাদেশিদের হাতে ঢাকা থেকেই ওষুধের প্যাকেটের বাহরাইনে বাজারজাত করে এক শ্রেনির অসাধু প্রবাসীরা । এ ধরনের ঘটনা ‘খুবই অপরিচিত’ মন্তব্য করেন কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউসিলর শ্রম সচিব শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুর ইসলাম। এতে বাংলাদেশের সুনাম বহুলাংশে ক্ষুন্ন হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মাদক ব্যবসা করা এক ব্যক্তি আটক হন। তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত, ওমানে ইয়াবা ব্যবহার ও চাহিদা বেড়েছে। তবে সেখানে মাদক পাওয়া এত সহজ নয়, কারণ এসব দেশ ইসলামিক নিয়মে চলে। ফলে প্রবাসীদের মধ্যে দেশ থেকে মাদক নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। আগে বেশি পরিমাণে গাঁজা পাঠানো হলেও এখন সবচেয়ে বেশি যায় ইয়াবা। কারণ পরিবহনে সুবিধা। প্রবাসী পরিচিত কেউ ছুটিতে দেশে এলে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের কাছে না জানিয়ে বা জানিয়ে বিভিন্ন ঠিকানার ব্যক্তিদের কাছে মাদক পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়।

বিশেষত পিঠা, বিভিন্ন শুকনা খাদ্য ও আচারের ভিতর মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে দেন এসব চক্রের লোকেরা। সব থেকে আচারের ভিতর ইয়াবা ঢুকিয়ে দিলে বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে না বলেও ওই পাচারকারী জানিয়েছেন। বাহরাইনে এসব বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বেশ কিছু ‘ফ্রি ভিসা’র প্রবাসী। তারা কাজ না করে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য গোপনে প্রবাসেই ব্যবসা করছেন। প্রতি পিস ইয়াবা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে চার থেকে পাঁচগুণ দামে এক-দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর এগুলো বাংলাদেশ তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে মাহফুজ আলম পিয়ার নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘৩০ জুন পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানামতে ৮ হাজার ৮৪৮ জন বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জেলে বা ডিটেনশন সেন্টারে আটক রয়েছেন।’ তিনি জানান, কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশি কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। এটা দূতাবাসের সাহায্যে রুটিন মাফিক করে আসছে মন্ত্রণালয়। অতি সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, লিবিয়া ও ভানুয়াতু থেকে আটকে পড়া অনেক বাংলাদেশি দূতাবাসের সার্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এবং দেশে ফিরে আসার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের ৪৪টি দেশে এসব বাংলাদেশি আটক রয়েছেন। এর মধ্যে সব থেকে বেশি আটক ভারতে। দেশটিতে আটক আছেন ২ হাজার ৪৯ জন। এরমধ্যে ২ হাজার ৩১ জন কলকাতায় বাকি ১৮ জন আগরতলায়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে আবুধাবিতে ১ হাজার ১৫৬ জন, বাহারাইনে ৬৯৩, মালয়েশিয়ায় ৫৭২, সৌদি আরবে ৭৬৮, ওমানে ৪৪২, কুয়েতে ৩১৬ এবং তুরস্কে ৩২৭ জন আটক আছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অংশীদারি ও সুদ বারবার!

বিশেষ প্রতিবেদক: অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা তিনি। অর্থের ব্যবহার বিধি কত প্রকার সেটা ভালো করেই জানেন তিনি। অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় চাকরি বিধি লংঘন করে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকার বিনিময় নিজের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে অংশীদারিত্ব নেয়া সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য প্রতিষ্ঠান সুদ কারবারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একজন গণমাধ্যমকর্মী তার মন্তব্য জানতে চাওয়ায় তাকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদ ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এর বরাত দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। তার সকল কর্মকান্ডের বিষয় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদ ইয়াসমিন শেল্টার দিবেন বলে মানুষকে বলে বেড়ান ফয়সাল আহমেদ। নিজের প্রতিষ্ঠিত বন্ধুবান্ধব সহ অনেক বড় বড় সাংবাদিক তার পকেটে রয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দলে অনেক পদ-পদবির বড় নেতারা তার ছোট ভাই তাদেকের দিয়ে ওই সংবাদ কর্মীকে শায়েস্তা করার হুমকি প্রদান করেন। যেসব অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগীরা সংবাদকর্মী থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও তার এসব চাকরি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করায় অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম সকালের সংবাদ এর সম্পাদক হাফিজুর রহমান সফিককে হামলা-মামলা সহ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সেক্রেটারি ইলিয়াস খান কে হেনস্তা করার হুমকি প্রদান করার পাশাপাশি অকথ্য অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে হেনস্থা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্মকর্তার সুদ ব্যবসা সহ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অংশীদারিত্বের বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত ও সচেষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মন্তব্য সহ বিস্তারিত জানতে সাথেই থাকুন।
চলবে……

language Change
সংবাদ শিরোনাম