তারিখ লোড হচ্ছে...

হাওড় ভ্রমণে ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম

রিমি সরদারঃ
গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত হয় “হাওড় ভ্রমণ “।

হাওর বিলাসে উপস্থিত ছিলেন
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি এবং সাংবাদিকদের প্রানের মানুষ কুদ্দুস আফ্রাদ, অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, কবি এবং সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব কোষাধক্ষ্য আশরাফুল আলম, জনকল্যাণ সম্পাদক এবং বিশিষ্ট নারী সাংবাদিক সোহেলী চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন।

ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হাসান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কচি, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক এম শিমুল খান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান অপূর্ব সহ আরো অনেকে। সকাল ৭ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করে দলটি। পথে কিছুটা বিরতি নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে যথাস্থানে পৌছায়। এরপর তিনটি সুসজ্জিত ট্রলারে তারা নৌ ভ্রমণ করে। দেশীয় বিভিন্ন ফোকগানের সাথে একসময় সবাই মেতে উঠে নির্মল আনন্দে।চারদিকে হাওরের স্বচ্ছ পানির সাথে প্রকৃতির রূপ আর দেশীয় গানের মাদকতা সবাইকে মুগ্ধ করে। এরপর দুপুরের খাবারের নানা দেশীয় মাছের স্বাদে ভ্রমণটি আরো আর্কষিত হয়। ভোজনবিলাস এর সহায়ক ছিলেন ধলা ইউনিয়ন তাড়াইল কিশোরগঞ্জ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মবিন। অবশেষে যোগ হয় মহামান্য রাস্ট্রপতির বাড়ি আর নিকলী মিঠামইনের অপার সৌন্দর্য। রোদ- বৃষ্টির খেলাতে মিঠামইনের সৌন্দর্য্য যেন নতুন বাংলাদেশ কেই মেলে ধরেছে সবার নজরে। খুব সহজেই দেশের উন্নয়নের অবকাঠামো ধরা দেয় সবার কাছে। এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরা চিরচেনা ঢাকার দিকে রওনা দেন।
আগামী প্রজন্মের কাছে সাংবাদিকতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী সম্মানজনক একটি পেশা হিসাবে উপস্থাপন করাই সংগঠন এর মূল উদ্দেশ্য।

ডিবির ক্যাশিয়ার পরিচয়ে চাঁদাবাজি; নেপথ্যে ❝সোর্স বেলাল❞

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ানো এক সোর্সের অত্যাচারে সাধারণ জনগণ আজ অসহায় হয়ে পড়ছে। চট্টগ্রামজুড়ে রয়েছে তার দাপট। কথায় কথায় দেখান পুলিশের ভয় বলছি, চট্টগ্রামে নগর গোয়েন্দা পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয় দেওয়া বিল্লাল হোসেন ওরফে সোর্স বেলালের কথা। ষশোর জেলার জিকরগাছা থানার রাজাপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে এই বেলাল। থাকেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার পান্নাওয়ালা পাড়া হাড্ডি কোম্পানী এলাকার হাজী কাশেমের বাড়ীতে ।

ডিবি পুলিশের নামে চাঁদাবাজি বন্দর-পতেঙ্গায়!  এই শিরোনামে ১৪ এপ্রিল ২০২২ সালে সিটিজি নিউজ ডটকমে এই বেলালকে নিয়ে  সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবুও দমে যাননি বেলাল, বন্ধ করেনি চাদাঁবাজিসহ নানা অপকর্ম।

প্রধান ক্যাশিয়ার পরিচয়ে বেলাল হোসেন প্রকাশ বেলালের রয়েছে চাঁদা আদায় করার জন্য ৫ সদস্যের একটি ভয়ানক সিন্ডিকেট । যাদের নাম এরশাদ মোল্লা, জাহাঙ্গির, নিজাম উদ্দিন ও নুর নবী তার ওই সিন্ডিকেটের সদস্য।

যদিও এদিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ডিবি পুলিশের কোন ক্যাশিয়ার নেই, যদি কেউ এমন পরিচয় দেয় তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

অনুসন্ধনে জানা যায়, মাদকের স্পট, জুয়ার আসর এমনকি পতিতালয়ের থেকে নিয়মিত মাসিকহারে মাসোহারা নিয়ে থাকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত একমাস ধরে এরশাদ মোল্লা প্রকাশ এরশাদ ও নুর নবী ‘ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার’ পরিচয় দিয়ে বন্দর-ইপিজেড এলাকার ব্যবসায়ীদেরকে মুঠোফোনে কল দিয়ে চাঁদা দাবি করছেন। মাসিক চুক্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে এসব চাঁদা দাবি করছেন অভিযুক্তরা। শুধু তা নয়, চুক্তিতে না আসলে তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন বেলাল, এরশাদ ও নুর নবী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, এরশাদ ও নুর নবী ডিবি বন্দর (পোর্ট) জোনের ‘ক্যাশিয়ার’ পরিচয় দিয়ে মাসিক চুক্তিতে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িকে ফোন দিয়ে মোবাইল নাম্বার পাঠাচ্ছেন। কোথাও কোথাও তাদের মূল ক্যাশিয়ার পরিচয়ে নিজাম উদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে আসছেন। তাদের সাথে চুক্তিতে না এলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন তারা।এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের গুরু হিসেবে কাজ করছেন বেলাল ।

জানা গেছে,  ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে নগরীর পতেঙ্গা পূর্ব কাটগড় একতলা মসজিদ এলাকার স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী ফারুকের কাছ থেকে ডিবি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে এরশাদ মোল্লা প্রকাশ এরশাদ অজ্ঞাত একজনকে সাথে নিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। ব্যবসায়ী ফারুক এসব টাকা ডিবির নামে ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী থেকে তুলে আনেন বলে জানায় একটি বিশ্বস্ত সূত্র।

জানা গেছে,  গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের ক্যাশিয়ার পরিচয়ধারী এই বেলাল দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের এ দুই বিভাগের (বন্দর ও পশ্চিমের) ক্যাশিয়ার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন বলেও লোকমুখে প্রচার আছে। তবে অভিযোগ থাকলেও সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় এই বেলাল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম