তারিখ লোড হচ্ছে...

নাটোরে চুলার আগুন থেকে পুড়লো ২০টি বাড়ি

অনলাইন ডেস্কঃ

নাটোরের নলডাঙ্গার রান্নাঘরের চুলা থেকে লাগা আগুনে ২০টি টিনসেড বাড়ি পুড়ে গেছে। রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার বাঁশিলা উত্তরপাড়া গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক একেএম মুরশেদ জানান, বাঁশিলা উত্তরপাড়া গ্রামের খলিল হোসেনের বাড়ির রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহুর্তেই সেই আগুন আশপাশের টিনসেড বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী প্রথমে নিজেরাই আগুন নোভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা বাড়ায় তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই তবে ২০টি টিনশেড বাড়িসহ সকল মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা তদারকিসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। আগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে।

সূত্রঃ যমুনা টিভি

চট্টগ্রাম বন সার্কেলে চলছে ঢালাও চাঁদাবাজি

চট্টগ্রাম বন সার্কেলে চলছে ঢালাও চাঁদাবাজি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগ, কক্সবাজার ও বান্দরবানে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বন কর্মকর্তা ড. মোল্লা রেজাউল করিমের কথিত সিন্ডিকেট। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিটে চাঁদাবাজি, বদলি বানিজ্য, কাঠ পাচার ও অবৈধ জোত পারমিট ইস্যু যেন নতুন করে শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ডিএফও কায়চার আহমেদ, ফরেস্ট রেঞ্জার আবদুল মালেক এবং ফরেস্টার রাশেদ, আনিছুর রহমান, মামুন মিয়া—এই পাঁচজনের নেতৃত্বে বিট ও রেঞ্জ সমূহে নিয়মিত চাঁদা আদায় এবং বদলির মাধ্যমে অর্থ বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফরেস্টার মামুন মিয়াকে সার্কেল বদলি করলেও মোল্লা রেজাউল করিমের ক্ষমতাবলে এখনো বহাল তবিয়তে দক্ষিণ বন বিভাগের পদুয়া রেঞ্জ এ আছেন। সূত্রের দাবি, সবকিছুই সিএফ ড. মোল্লা রেজাউল করিমের নির্দেশে ও তার ‘আশীর্বাদে’ ঘটছে।
বান্দরবান জেলা রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় ফরেস্টার আলতাফ এবং সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা এফজি নাছিরের বিরুদ্ধে অবৈধ কাঠ বিক্রি ও জোত পারমিট বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এখন জেলায় কোনো জোত পারমিট পেতে হলে প্রথমে আলতাফ ও নাছিরের ‘অনুমোদন’ নিতে হয়। তাদের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ সিএফ মোল্লা রেজাউল করিমকে পৌঁছায়, নতুবা অনুমতি মেলে না।
কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগে অবৈধ করাতকল, বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট পারমিট (টিপি) ও চেকপোস্ট চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন ফরেস্ট রেঞ্জার হুমায়ুন, ফরেস্টার সাদেক ও আলী নেওয়াজ। সিএফ মোল্লা রেজাউলের ‘বিশেষ ব্যক্তিগত পছন্দভাজন’ হিসেবে ফরেস্টার সাদেককে কক্সবাজার সদর রেঞ্জে বসানোর জন্যও তিনি তৎপর বলে দাবি সূত্রের।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের একজন সরকারি গাড়ি চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ডিএফও কায়চার আহমেদ প্রতি মাসে অন্তত দুইবার সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে সিএফ মোল্লা রেজাউল করিমের ঢাকার বাসায় যান। এ সময় ‘কাচাবাজার ও মাছের নামে’ টাকা ভর্তি বস্তা গাড়িতে তোলা হয়। ড্রাইভাররা আপত্তি জানালে ফরেস্ট গার্ড (এফজি) নেতাদের ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য দুদকের তদন্ত চলমান, তবুও পুরনো কৌশলেই ফিরেছেন মোল্লা রেজাউল
ড. মোল্লা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে পূর্বেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, বদলি বানিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালীন কিছুদিন গা-ঢাকা দিলেও বর্তমানে নতুন লোকজনকে কাজে লাগিয়ে পুরনো কাজ পুনরায় শুরু করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে সিএফ ড. মোল্লা রেজাউল করিমের বক্তব্য জানতে তার সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম