তারিখ লোড হচ্ছে...

দেবীগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৩ উদ্ভোধন

 

এনামুল,পঞ্চগড়,প্রতিনিধি:

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন)  দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২৩’ এর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস ও উপজেলা চেয়ারম্যান পুষ্টি সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা আব্দুল মালেক চিশতি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয় ।

মজবুত হলে পুষ্টির ভিত, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে নিশ্চিত- এই প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ডা:হাসিনুর রহমান

এ সময় উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স্বদেশচন্দ্র প্রমুখ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য মোছাঃরিতু আক্তার, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সারাবান তাহুরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য মোঃ সলিমুল্লাহ । আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান বর্গ সহ আরো অনিকেই।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আগামীর প্রজন্মকে একটি সুস্থ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে হলে জন্মের শুরু অর্থাৎ গর্ভে থাকা অবস্থাতেই শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। জন্মের পরপরই নবজাতককে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ৬ মাসের পর বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। কৈশোরকালীন সময়ে কিশোর-কিশোরীদের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বলেন বক্তারা।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ৩ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কৃষক- লীগ দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এমু বলেন এই।জাতীয় পুষ্টি কার্যক্রম ২০২৩।উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে প্রতিটা ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে মা-বোন সহ সকল মানুষের কাছে পৌছানো গেলে আরো বেশি সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করি সুতরাং এই অনুষ্ঠান থেকে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম, তবে দাম কমেছে দেশি মুরগির

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম, কমেছে দেশি মুরগির

রংপুর জেলা সংবাদদাতাঃ রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বেশ কিছু সবজির দাম। তবে দাম কমেছে দেশি মুরগির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম।মঙ্গলবার (১ জুলাই) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে কিছু সবজির দাম বেড়েছে।

প্রতিকেজি টমেটো ১১০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, ঝিংগা ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলার দাম কমে ২০-২৫ টাকা হালি, চিচিঙ্গা দাম বেড়ে ২৫-৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা, গাজর আগের মতোই ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সজনে ১২০-১৫০ টাকা, চিকন বেগুন আগের মতো ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, করলার দাম বেড়ে ৪০-৫০ টাকা থেকে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ২৫-৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৫০ টাকা, কচুমুখী ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০টাকা, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা, পেঁয়াজ আগের মতো ৫০-৫৫ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা ও বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহীন মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এখন বাজারে যে সবজির আমদানি কম তার দাম একটু বাড়তি।

এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গুটি স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৭০-৭৫ টাকা, জিরাশাইল, ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৫৮০ টাকা থেকে কমে ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টার্মিনাল বাজারের মুরগি বিক্রেতা আতিকুর রহমান বলেন, দেশি মুরগির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দাম কমলেও পাকিস্তানি মুরগির দাম গত তিন সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম গত সপ্তাহের মতো ৩৮-৪০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, চিনি ১১৫-১২০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকার ভেদে রুইমাছ ২৮০-৩৫০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাস ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা ও সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম